এক বান্ধবী কিছু ছবি সহ মেইল পাঠিয়ে বলল, হোটেল র্যাডিসনে আয়োজিত একটি প্রোগ্রামের ছবি। প্রোগ্রামের নাম Halloween White party - হ্যালোইন হোয়াইট পার্টি।
তাকে ফোন করলাম। এটা আবার কি পার্টি?
কেন তুই জানিস না?
না, আগে কখনো শুনিনি।
জানার চেষ্ঠা করলাম। যা জানলাম তা হলো, প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর সূর্য ডোবার সাথে সাথে আমেরিকা সহ বিভিন্ন খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ট দেশে শিশুরা ভূত সেজে অতৃপ্ত আত্মার শান্তির অন্বেষনে ব্যাগ হাতে এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ির দরজায় ঢুঁ মারে। ‘ট্রিট অর ট্রিক’, ‘হ্যাপি হ্যালোইন’ সহ নানা সম্বোধনের মাধ্যমে তারা হাতের ব্যাগটি বাড়িয়ে দিলে বড়রা চকলেট দিয়ে থাকে। ভূতেরা তাতে তুষ্ট হয়ে ফিরে যায় বাড়ির আঙ্গিনা থেকে। তাদের বিশ্বাস এই দিনে অশুভ শয়তান ধরনীর বুকে এসে অনিষ্ট করার প্রয়াস পায়। তাই অশুভ শক্তিকে খুশী করে নিজেদের রক্ষা করতে ক্যান্ডি সহ নানা সামগ্রী দিয়ে অশুভ শক্তিকে কাবু করতে চেষ্টা করে।
মনে হলো এ অনুষ্ঠান মূলতঃ শিশুরা করে থাকে। তবে বড়রাও করে থাকে। বড়দের অনুষ্ঠান গুলো নেশা দ্রব্য সহ উলঙ্গপনাতে ভরপুর। উপমহাদেশে বা বাংলাদেশে এ ধরনের বিশ্বাস কেউ করেনা। তাই এসব পালনও কেউ কখনো করেছে বলে শোনা যায়নি।
গত ৩১ অক্টোবর ২০১১ ইং তারিখে হোটেল র্যাডিসনে নাকি সেই হ্যালোইন হোয়াইট পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল বাংলাদেশে। ছবিগুলোই বলে দেয় সেখানে হ্যালোইন হোয়াইট পার্টির নামে কি হয়েছিল।
ভ্যালেন্টাইনস ডে, থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন সহ পশ্চিমা বিভিন্ন অপসংস্কৃতি আমাদের দেশে স্থায়ী রূপ লাভ করে ফেলেছে। সে সব অনুষ্ঠান অসভ্যতা, উলঙ্গপনা, নির্লজ্জ বেপরোয়া মেলামেশাতে থাকে ভরপুর। এখন হ্যালোইন হোয়াইট পার্টির নামে নতুন অসভ্যতার আমদানী শুরু হয়েছে।
তাহলে কি আরেকটি অপসংস্কৃতির কবলে পড়তে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম? এই সব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কথিত আধুনিকদের হাত ধরে র্যাডিসন-এর নিশি জীবনের অসভ্যতা, অশ্লীলতা আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়বে নতুন প্রজন্মের ভিতর এবং ফলাফল অনিবার্য সামাজিক অস্থিরতা ও নৈতিক অধঃপতন...
আরো কিছু পোস্ট-
১। এবার নাকি বাংলাদেশে হবে মিস ইউনিভার্সিটি প্রতিযোগীতা!!
২। এসব অসভ্যতা নাকি ভোগবাদী মানসিকতা?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৫