somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হ্যালোইন হোয়াইট পার্টি- নতুন অসভ্যতার আমদানী?!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক বান্ধবী কিছু ছবি সহ মেইল পাঠিয়ে বলল, হোটেল র‌্যাডিসনে আয়োজিত একটি প্রোগ্রামের ছবি। প্রোগ্রামের নাম Halloween White party - হ্যালোইন হোয়াইট পার্টি।

তাকে ফোন করলাম। এটা আবার কি পার্টি?
কেন তুই জানিস না?
না, আগে কখনো শুনিনি।
জানার চেষ্ঠা করলাম। যা জানলাম তা হলো, প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর সূর্য ডোবার সাথে সাথে আমেরিকা সহ বিভিন্ন খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ট দেশে শিশুরা ভূত সেজে অতৃপ্ত আত্মার শান্তির অন্বেষনে ব্যাগ হাতে এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ির দরজায় ঢুঁ মারে। ‘ট্রিট অর ট্রিক’, ‘হ্যাপি হ্যালোইন’ সহ নানা সম্বোধনের মাধ্যমে তারা হাতের ব্যাগটি বাড়িয়ে দিলে বড়রা চকলেট দিয়ে থাকে। ভূতেরা তাতে তুষ্ট হয়ে ফিরে যায় বাড়ির আঙ্গিনা থেকে। তাদের বিশ্বাস এই দিনে অশুভ শয়তান ধরনীর বুকে এসে অনিষ্ট করার প্রয়াস পায়। তাই অশুভ শক্তিকে খুশী করে নিজেদের রক্ষা করতে ক্যান্ডি সহ নানা সামগ্রী দিয়ে অশুভ শক্তিকে কাবু করতে চেষ্টা করে।

মনে হলো এ অনুষ্ঠান মূলতঃ শিশুরা করে থাকে। তবে বড়রাও করে থাকে। বড়দের অনুষ্ঠান গুলো নেশা দ্রব্য সহ উলঙ্গপনাতে ভরপুর। উপমহাদেশে বা বাংলাদেশে এ ধরনের বিশ্বাস কেউ করেনা। তাই এসব পালনও কেউ কখনো করেছে বলে শোনা যায়নি।

গত ৩১ অক্টোবর ২০১১ ইং তারিখে হোটেল র‌্যাডিসনে নাকি সেই হ্যালোইন হোয়াইট পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল বাংলাদেশে। ছবিগুলোই বলে দেয় সেখানে হ্যালোইন হোয়াইট পার্টির নামে কি হয়েছিল।

ভ্যালেন্টাইনস ডে, থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন সহ পশ্চিমা বিভিন্ন অপসংস্কৃতি আমাদের দেশে স্থায়ী রূপ লাভ করে ফেলেছে। সে সব অনুষ্ঠান অসভ্যতা, উলঙ্গপনা, নির্লজ্জ বেপরোয়া মেলামেশাতে থাকে ভরপুর। এখন হ্যালোইন হোয়াইট পার্টির নামে নতুন অসভ্যতার আমদানী শুরু হয়েছে।

তাহলে কি আরেকটি অপসংস্কৃতির কবলে পড়তে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম? এই সব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কথিত আধুনিকদের হাত ধরে র‌্যাডিসন-এর নিশি জীবনের অসভ্যতা, অশ্লীলতা আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়বে নতুন প্রজন্মের ভিতর এবং ফলাফল অনিবার্য সামাজিক অস্থিরতা ও নৈতিক অধঃপতন...

আরো কিছু পোস্ট-
১। এবার নাকি বাংলাদেশে হবে মিস ইউনিভার্সিটি প্রতিযোগীতা!!
২। এসব অসভ্যতা নাকি ভোগবাদী মানসিকতা?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৫
২৮টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=হয়তো কখনো আমরা প্রেমে পড়বো=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০০


পোস্ট দিছি ২২/১২/২১

©কাজী ফাতেমা ছবি

কোন এক সময় হয়তো প্রেমে পড়বো আমরা
তখন সময় আমাদের নিয়ে যাবে বুড়ো বেলা,
শরীরের জোর হারিয়ে একে অন্যের প্রেমে না পড়েই বা কী;
তখন সময় আমাদের শেখাবে বিষণ্ণতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বর্তমান সরকার কেন ভ্যাট বাড়াতে চায় ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১০


জুলাই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে জনগণ ছাত্রদের ডাকে রাস্তায় নেমে আসে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটায়। অবশ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরিবের ডাক্তার জাফরুল্লাহ্ সময়ের চেয়ে অগ্রবর্তী মানুষ ছিলেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি।

লিখেছেন রাকু হাসান, ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:১০



“যুগে যুগে জড় জীব সবে পড়ে রবে নিবিড় অবেলায়
ধুলি ধূসর পদচিহ্ন আঁকা মরুর বালুকায়
”- নিজ জয়গায় গেয়ে গেছেন ডা জাফরুল্লাহ স্যার। অবিভক্ত বাংলার ভাসানী থেকে ডা জাফরুল্লাহ, এমন কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনার অন্তরে ঠিক যা রয়েছে, আপনার জিহবা দিয়ে ঠিক তাই বের হবে।

লিখেছেন রিফাত-, ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৪১



"আপনার অন্তরে ঠিক যা রয়েছে, আপনার জিহবা দিয়ে ঠিক তাই বের হবে।"

এ কথাটি আমাকে একজন ভাই এশার সালাতের পরে বলছিলেন।

বেশ কিছুদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে কাজলার মোড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিপূরক.......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৯

পরিপূরক............

০৩ জানুয়ারী ২০২৪ খৃষ্টাব্দ, আমি ৬৭ বছরে পদার্পণ করেছি। অর্থাৎ আমার বরাদ্দ আয়ু সীমা থেকে ৬৬ বছর চলে গিয়েছে।
জন্মদিন মানেই মৃত্যুর আরও কাছে যাওয়া....
জন্মদিন মানেই জীবন পথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×