
ইধাফুশীর চারপাচটি হোটেলের মধ্যে ক্যাফে এইট আমার সবচেয়ে প্রিয়। এখানে যেই বাংলাদেশী ছেলেটা কাজ করে ওর নাম মাসুম। সারাদিন বিক্রীর পরে যত রুফিয়া হয়, রাতে মালিককে তা বুঝিয়ে দিতে হয়। প্রতিদিন মালিক ওকে ৭০ রুফিয়া দেয়। কোন দিন যদি লাভ বেশী হয় তাহলে ১০০ রুফিয়াও দেয়।

ক্যাফে এইটের ভিতরটা বেশ গোছানো এবং পরিপাটী


খাবার বলতে বাসা থেকে বানিয়ে আনা ভাজাপোড়াই বেশী পাওয়া যায়। তবে কখনও কেউ অর্ডার দিলে মাসুম নুডুলসও বানিয়ে দেয়। ভাজাপোড়া খাবারগুলোকে এইদেশে বলে হিদিকা। প্রতি পিস হিদিকা মাত্র ২ রুফিয়া (১রুফিয়া=৫.৪টাকা)। এবার প্রচলিত কিছু হিদিকার সাথে পরিচিত হোন...


এর নাম বিসকিমিয়া। বাধাকপি কুচি করে কেটে পেয়াজ, মরিচ আর হালকা মশলা দিয়ে হালকা ভেজে আটার ভিতরে ভরে তেলে ভাজা হয়।

গুলা। টুনামাছ আর নারিকেল গুড়া করে মাখিয়ে গোল করে ময়দা দিয়ে তেলে ভাজা হয়।

ভাজিয়া (আমার সবচেয়ে প্রিয়



তেলিয়েতী। হালকা মিষ্টি অনেকটা তালের পিঠার মত এক ধরণের পিঠা। দ্বীপবাসীরা অবশ্য একে ডোনাটও বলে


হাওয়াদলী বিস। টুনামাছের ভুনা আটার ভিতরে ভরে ভাপে সিদ্ধ করে উপরে মশলা মাখিয়ে দেয়া হয়

মাছ রশি। মানে হলো, মাছ রুটি। এই দেশে রশি মানে রুটি


হুনিয়াকু। পাতায় মুড়িয়ে ভাপে সিদ্ধ করে বানানো এক ধরণের পিঠা। ভিতরে নারিকেলের হালুয়া (একটুও ভালোনা :-< )

এর নাম ভুলে গিয়েছি। মাছ আর নারিকেল ময়দার সাথে মাখিয়ে কেকের মত করে বানানো হয়



ক্যাফে এইটে পানীয় হিসেবে কালুছা (প্লেইন টি), কফি আর অনেক রকমের টিনজাত কোমল পানীয় পাওয়া যায়। ১ কাপ কালুছা ১ রুফিয়া আর কফি ৩ রুফিয়া।
সবশেষে একটি দেশী খাবার দেখুন


অফিসের সবচেয়ে কাছেই লাফাংগা হোটেল, যেখানে তিনজন বাংলাদেশী কাজ করে। মাস দুয়েক আগে ওরা এই দেশী খাবারটি বানানো শুরু করলে ভালই জনপ্রিয়তা পায়। একদিন আমার সিংহালা কলিগদের জন্য অফিসে নিয়ে আসি, খেয়ে তো সবাই মুগ্ধ

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১০ ভোর ৬:২৯