১
Unable to locate ‘Kohe-Kalf’. Don’t try to go forward. It’s not safe for you !
গত ছ’ঘন্টা যাবৎ একই তথ্য দিচ্ছে । ডেস্কটপের কোথা ও বিন্দুপরিমাণ ফাঁকা নেই । আই.পি.এস ব্যাকাপ প্রায় শেষের পথে । ক্ষুধায় রোহানের পাকস্থলির আশে-পাশে ঘুমিয়ে থাকা কৃমিরা এইবার জেগে উঠেছে ; তারা যুদ্ধ করতে চায় . হঠাৎ -
Well done, bravo ! It’s the ghost world ‘Kohe-Kalf’. Now you are in the darkest place outside the human world.
মেসেজটা পড়তেই আনন্দের আতিশয্যে কন্ঠ রোধ হবার উপক্রম হয় রোহানের । চোখে ফুঁটে ওঠে আনন্দাশ্রু , মুখে ফুঁটে ওঠে বিজয়ের হাসি । ক্ষুধার কথা তখন তার খেয়াল নেই , চেতনায় শুধু মৃত্যুক্ষুধার অনাবিল আকর্ষন । ইয়াহু মেসেঞ্জারে গিয়ে রোহানের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে ! অ্যাড্রেসবুক আর কনট্যাক্ট লিষ্টে মনুষ্য পৃথিবীর সমস্ত অ্যাড্রেস যেন কোন্ অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে উধাও হয়ে গেছে । অ্যাড্রেস শুধু একটাই – ‘কোহেকাফ’ , যা কিনা একমাত্র অতৃপ্ত আত্মা ও প্রেতাত্ত্বাদের অন্ধকার রাজ্য । রোহান চট করে ঢুকে পড়ে সে রাজ্যের কোনো এক অজ্ঞাত কক্ষে । কানে লাগায় হেডফোন , বা হাত কি-বোর্ডে আর ডান হাত মাউসে । অজানা শিহরনে হাত কাঁপতে কাঁপতে মাউস অন্য দিকে সরে যায় । তবু ও ছোট্ট বুকে নিজের সমগ্র সাহসটুকুন সঞ্চয় করে মাইক্রোফোনে মুখ লাগিয়ে সে বিড়বিড় করে বলে -
Hi, I’m Rohan – from earth. It’s the third nearest planet from the sun.
তৎক্ষণাৎ ওপাশ থেকে বেশ কিছুটা গম্ভীর স্বরে ভাইব্রেশন সহকারে জবাব আসে –
Hey Roan, tanks a lot ! You are the only man who as entered to tis death heaven. I’m congratulating you coz of your bravery. This is ‘Kohe-Kalf’ – the most far place from the eart . It’s the place of darkness, dust and dismay . No doubt It’s the most haunted place you can ever found ! On top of tat ………………..
রোহান থামিয়ে দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে – Who are you ?
ওপাশ থেকে এবারে বেশ শান্তশিষ্ট গলায় জবাব আসে – My name’s ‘Ruponthy’. I’m the youngest fairy in my ground.
রোহান – Now tell me – what’s your age ?
রুপন্থী – Only 420.
রোহান – 420 !!!??? Is it possible ?
রুপন্থী – Yea. Why are you so surprised ?
রোহান - Because, my age is only 20.
রুপন্থী - Is it true ?
রোহান - Hundred Percent.
রুপন্থী - What do you mean by “Hundred Percent”?
রোহান - That means “Entire”.
রুপন্থী - Tanks. Now tell me about your planet and you.
রোহান - I will tell you later. I have to go now. I’m hungry. Bye.
রুপন্থী - Are you joking ?
রোহান - Not really.
রুপন্থী - Really hungry ?
রোহান - Yep.
রুপন্থী - Alright. Good bye.
ব্যাপারটা স্বপ্ন নাকি বাস্তব – তা এ মুহুর্তে বুঝতে পারছে না রোহান । চিমটি কেটে পরীক্ষা করা যায় , তা ও করতে ইচ্ছা হচ্ছে না । কারণ যদি ব্যাপারটা সত্যিই স্বপ্ন হয় তবে সে প্রচন্ড শক্ পাবে – যা তার পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব । এভাবেই বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকে । ধীরে ধীরে ঘোর কেটে যাচ্ছে । মিনিট পাঁচ-ছয় পরে সে হাল্কা ধরনের একটা ঝাকুনি খেয়ে বাস্তবে ফিরে আসে ।
হুম্ ! তাহলে ব্যাপারটা সত্যিই ঘটেছিল । কোহেকাফের এক পরীর সঙ্গে কথা হয়েছিল তার ।
কি যেন নাম পরীটার ? মনে করতে চেষ্টা করে রোহান । কী আশ্চর্য ! এই মাত্র কিছু আগে যার সঙ্গে কথা হলো তার নামটা মনে পড়ছে না ! বহু চেষ্টা কিন্তু ফলাফল শূন্য । ইয়েস্ , মেডিটেশন । একমাত্র মেডিটেশন ই তাকে এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে । দু’হাটুতে ভর দিয়ে সোজা টানটান হয়ে বসে হাত দু’টো সামনের দিকে রেখে সে বসে । চোখ বন্ধ রেখে নিঃশ্বাস নিতে এবং প্রশ্বাস ছাড়তে থাকে অতি সন্তর্পণে । হ্যা , এতে কাজ হয় । ধীরে ধীরে সব কিছু মনে পড়ে যায় তার । মেয়েটার নাম – রুপন্থী । শুনতে একটু অদ্ভূত তবে তাতে কী বা এসে যায় ! বরং এ ধরনের অদ্ভূত নামধারী একজন প্রেয়সীকেই তো রোহান ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে খুঁজে বেড়িয়েছে । স্বপ্নে পায়নি , এবারে সে পেয়ে গেছে বাস্তবে ।
বয়সটা কিঞ্চিৎ বেশি – ৪২০ বৎসর । অবশ্য ভালই হয়েছে । ৪২০ বৎসর বয়সী বিরল অভিজ্ঞতাসম্পন্না একজন হুরপরীকে জীবন-সঙ্গীনী হিসেবে পাওয়ার সৌভাগ্য ক’জনার ই বা হতে পারে ? এ সুবর্ণ সুযোগ হেলায় হারানো চলবে না – ভাবতে থাকে রোহান । যদি ও এখন সে তার চ্যাটিং সঙ্গীনী তবু ও দু’দিন পরে ডেটিং , সিটিং কিংবা হিটিং সঙ্গীনী হতে তো কোনো আপত্তি নেই ।
আচ্ছা, একটা ব্যাপার তো জিজ্ঞাসা করা হয়নি । পরীরা কত বৎসর বাঁচে কে জানে ! রোহানের বর্তমান বয়স ২০ । একজন মানুষের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল ১০০ বৎসরের কাছাকাছি । সে হিসাবে অন্তত আরো কম করে হলে ও ৭০-৮০ বৎসর বেঁচে থাকার সম্ভবনা আছে তার । পরীদের গড় আয়ুষ্কাল যদি ৪৫০ বৎসর হয় তবে রুপন্থীর আর মাত্র ৩০ বৎসর বাঁচার সম্ভবনা থাকে । তাছাড়া পৃথিবীর ১ বৎসর হয় ৩৬৫ দিনে , ১ দিন ২৪ ঘন্টায় , ১ ঘন্টা ৬০ মিনিটে , ১ মিনিট ৬০ সেকেন্ডে । কোহেকাফের টাইম-টেবিল কী একই রকম ? নিশ্চয়ই নয় ।
রুপন্থী বিবাহিত না অবিবাহিত ? ৪২০ বৎসর একটা বিশাল সময় । এই সময় পর্যন্ত একজন যুবতী পরী নিশ্চয়ই আনমেরিড থাকবে না ! ধ্যাৎ, যুবতী বলাটা বোধ হয় ঠিক হয়নি । রোহান তো আর তাকে দেখতে পায়নি , শুধু কথাই বলেছে । তাহলে সে কি করে বুঝলো রুপন্থী যুবতী ? এমন ও তো হতে পারে – কোহেকাফে যৌবনে পদার্পণের বয়স ১০০০ বৎসর । সেক্ষেত্রে রুপন্থী একজন কিশোরী । কিন্তু যদি এর উল্টোটা ঘটে অর্থাৎ যদি কিনা ২০০ বৎসর হয় যৌবনের মৌসুম আর ৪০০ বৎসর হয় রস-কষহীন প্রৌড়ত্বের সময় তবে তো রুপন্থী প্রৌড়া নারী । আবারো সমস্যা । ওদের দেশে নিশ্চয়ই ব্যাকরণ বই পড়ানো হয় না । আর পড়ানো হলে ও হয়তো বা ওদের দেশীয় ব্যাকরণ । সেখানে পুং-লিঙ্গ, স্ত্রী-লিঙ্গ নামে আদৌ কোনো চ্যাপ্টার আছে কিনা সে ব্যাপারটা ও অনিশ্চিৎ । তাই রুপন্থীকে ‘পৌঢ়’ বলা ঠিক নাকি ‘প্রৌঢ়া’ ? রোহান তাকে ধরে নিয়েছে একজন ‘পৌঢ়া নারী’ হিসেবে । পরীরা কী নারী ? – সেটা ও একটা জিজ্ঞাস্য ....................
[ আজ এ পর্যন্তই । বাকীটা পরের পর্বে ]