বরাাবরের মতো এবারো ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনায় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।
প্রথম আলো: এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে 'নারী ও কন্যা শিশুদের নির্যাতনকারীদের আর ক্ষমা করা নয়'
যুগান্তর লিখেছে: এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য_ 'ধর্ম নিয়ে রাজনীতি চলবে না'।
আমাদের সময় লিখেছে: এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, 'নারী ও নারী শিশুর ওপর সহিংসতার দায়মুক্তির সমাপ্তি'।
বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন প্রতিপাদ্যের কথা বলেছে। আসলে প্রতিপাদ্য দিয়ে কি নারীদের অধিকার নির্ধারণ করা যায়। এটাও কি একধরনের শৃঙ্খলা নয়?
আমাদের এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। জীবনের সবকিছুতেই কি তারা এই অধিকারটুকু অর্জন করতে পেরেছে? দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও নারী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সমাবেশ-মিছিল ও আলোচনা সভা। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নেত্রীবৃন্দ চমৎকার সব বানী দিবেন। আমরা পুলকিত হবো। আশায় বুক বাধব। আর বছরের বাকি দিনগুলো বানী কপচিয়ে পার করে দিব। বিদেশ থেকে ফান্ড আসবে... দামি গাড়ি হাকিয়ে দিন-রাত্রি ঘাম ঝরানো, অভাবক্লিস্ট, নিপীড়িত নারীদের কাছে যাব। বিভিন্ন চ্যানেলে ক্যামেরা আসবে। কঠিন কঠিন সব কথা আওড়াবো... সন্ধ্যায় বিভিন্ন গোল/চ্যাপ্টা টেবিল আলোচনায় ঝড় তুলবো...
প্লিজ ... প্লিজ ... প্লিজ ... আপনাদের সকলের কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি... নারী আমার প্রেয়সী... নারী আমার বোন... নারী আমার মমতাময়ী মা, আমার গর্ভধারিনি মা... যিনি না থাকলে এই পৃথিবীর আলো দেখতাম না। এই সামহোয়ারইনব্লগ এ লেখা হতো না... তাকে নিয়ে/তাদের নিয়ে রসিকতা করবেন না... যদি সৎভাবে কিছু করতে চান... এগিয়ে আসুন... আমি থাকবো আপনার সাথে...
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০