ছবি -নেট থাকে কাটাকুটি
বিচ্ছেদে যেভাবে নারীরা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে,(বিশেষ করে রংপুরের নারীরা), তাতে করে পুরুষেরা পিছিয়ে যাচ্ছে। মনে হয় সরকারের কাছে সমঅধিকারের কোটার আবেদন না করলেই নয়। এতো পিছিয়ে পড়লে ইজ্জত নিয়ে চলা মুশকিল। !?
[সব যুগেই পুরুষের দোষ (যদিও অনেকাংশে সত্য )]
আগের দিনে বিচ্ছেদ হতো পুরুষের দ্বারা।তখন বলা হতো -নারী মুখ বুজে সকল অত্যাচার সৈবারে পরেও কেনো স্বামী বিচ্ছেদ ঘটালো ,সমাজে ইজ্জত রইলো না ,মেয়েটা এখন কি হবে ইত্যাদি। লোক লজ্জার ভয়ে মামলা মোকদ্দমায় কেউ যেতোনা
পরবর্তীতে -
বিচ্ছেদের পর বিভিন্ন দাবি আদায়ের(ভরণ পোষণ ও অন্যান্যের ) জন্য মামলা মোকদ্দমায় শুরু হয় ,শুরু হয় মুখরোচক প্ররোচনা
বর্তমানে বিচ্ছেদ স্বাভাবিক বিষয় ,বনাবনি না হলে ,কে কাকে আগে নোটিস পাঠাবে এই প্রতিযোগিতার যুগ এখন।
হুবহু পত্রিকা
♦ ৫ মাসে ঘটেছে ৩০০ ঘটনা ♦ স্বামীর মাদকাসক্তি, যৌতুক, নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ
বিচ্ছেদে এগিয়ে রংপুরের নারীরা
রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় গত ৫ মাসে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে ৩০০টি। প্রতি মাসে গড়ে ৬০ টির মতো বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে দুটি করে তালাক হচ্ছে। পুরুষের চেয়ে নারীরাই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছেন বেশি। প্রায় সবগুলো আবেদনেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। সিটি করপোরেশনের সাধারণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ২২ মে পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ৫ মাসে ৩০০ বিবাহ বিচ্ছেদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি। এই সময়ের মধ্যে ১৮০ জন নারী বিবাহ বিচ্ছেদ করেছে। এছাড়া ১২০ জন পুরুষ বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে। সূত্র জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতের বনিবনা না হওয়া, স্বামীর মাদকাসক্তি, যৌতুক, নির্যাতনসহ বিভিন্ন কারণে নারীরা স্বামীকে তালাক দিচ্ছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রয়েছে শিক্ষিত ও ধনী পরিবারের। যৌতুক, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং স্বামীর পরনারীতে আসক্তি ইত্যাদি কারণে নারীদের মধ্যে বিচ্ছেদের প্রবণতা প্রতিদিনই বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে অনেক নারী একাকিত্ব জীবন যাপন করেন। সম্প্রতি রংপুরে এক মধ্য বয়সী নারীর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে ওই নারী একাই বাড়িতে থাকতেন। পুলিশের ধারণা বাথরুমে পরে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই নারী মারা যান। কয়েকদিন পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বিবাহ বিচ্ছেদ সামাজিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যারা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছেন তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই একা থাকছেন এবং একাকিত্ব অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। বিচ্ছেদ হওয়া এক নারী জানান, স্বামী কথায় কথায় সন্দেহ করতেন আবার অন্য নারীর প্রতি আশক্তি থাকায় সংসারে প্রায় অশান্তি লেগে থাকত। তাই বাধ্য হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিচ্ছেদ হওয়া এক পুরুষ জানায়, বিয়ের পর থেকে নানা কারণে বনিবনা না হওয়ায় তালাকের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রংপুর জজ কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল জলিল বলেন, তালাক হচ্ছে একমাত্র আইনগত পদ্ধতি যার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তালাকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রংপুর সিটি করপোরেশনের সাধারণ শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাইম উল হক জানান, প্রতি মাসেই ৬০ থেকে ৭০টি তালাক কার্যকর হচ্ছে। কোনো পক্ষই আপস করছে না। তিনি বলেন, গত ৫ মাসে সিটি করপোরেশনে ৩০০ তালাক কার্যকর হয়েছে। আপসের সংখ্যা নাই বললেই চলে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:০৬