বড়ো বড়ো টাকার অংক মধ্যে আয়ের দেশের মধ্যো শিক্ষিত মানুষ বুঝেনা। তার প্রধান কারণ মিলিয়ন লক্ষ বিলিয়ন কোটি ট্রিলিয়ন লক্ষ কোটি ডলার টাকা সব মিলেমিশে মাথায় ভ্যাজাল করে। তাই এখানে শুধুই টাকা ও লক্ষ কোটি অনুযায়ী বলতে চেষ্টা করবো। সরকারের উন্নয়ন ,সরকার টাকা কোথায় কত পেয়ে ও কত ব্যায় করে কি করছে। টাকা পাবলিক কত ঋণী হচ্ছে।
আসুন মনে রাখার চেষ্টা করি।
[১০০% হুবহু ]
টাকার অংকে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ। রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে রাশিয়া। বাকি টাকার জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে নির্মাণ হচ্ছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ৫১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মাণ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) ঋণের পরিমাণ ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা।
চীনের ঋণে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৭০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ ব্যয় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের ঋণ ২১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।
যানজট কমাতে ঢাকায় তৈরি হচ্ছে ছয়টি মেট্রোরেল লাইন। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রথম লাইনটি (এমআরটি লাইন-৬) তৈরিতে ঋণ দিচ্ছে জাইকা। লাইনটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা জাইকার ঋণ।
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন ডুয়াল গেজ রেলপথ তৈরি করা হচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা এডিবির ঋণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
জাইকার ঋণে যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে রেলওয়ের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে আলাদা সেতু। রেলসেতুটি তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকার ঋণ ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা।
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়কটি ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেনসহ চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে এডিবির ঋণে। সড়কটি তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ১১ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা।
আমাদের বিদেশী ঋণ ও জিডিপি অনুপাত এখনো কম, ১৩ শতাংশের মতো। আমাদের সাবধান ও সতর্ক থাকা দরকার। যেহেতু মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ ঘটেছে, ফলে সুদের পরিমাণও বাড়ছে। বিষয়গুলোকে আমাদের অবশ্যই বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। বৈদেশিক ঋণ নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রাধিকার খাত ঠিক করতে না পারলে বা প্রকল্পের ব্যয় যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে না পারলে এসব অবকাঠামো থেকে ভবিষ্যতে জনতার দুর্দশা বাড়বে। ফলাফল জানা নাই ,ভবিষৎ বলবে। তাই বলতে চাচ্ছি :-
উন্নয়ন করছে সরকার,ঋণী হচ্ছে দেশ,ঋণশোধের দায় পাবলিকের।
দেখা যাচ্ছে যত উন্নয়ন হচ্ছে তার মূলধন বা টাকার যোগান হচ্ছে ঋণ নিয়ে ,যদিও এটাকে ধার করে ঘি খাওয়া বলা যাবে না
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪