বিসিবির সরকার মনোনীত সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আজ লন্ডনে এক অনুষ্টানে বলেছেন .............. "বাংলাদেশ পাকিস্তান সফর এর ব্যাপারে অনেক আগেই কথা দিয়ে রেখেছে , তাই এই সফর হতেই হবে । তিনি তার বক্তৃতায় খেলোয়ারদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছুই বলেননি । বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে তিনি বিসিবির কার্যকরী কমিটির নীতিমালা নিয়ে সাবেক সভাপতি সাবের হোসেনের মন্তব্যের সমালোচনা করেন ।"
এটা খুবই দুকখজনক যে বিসিবের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল তার হীন স্বার্থ চরিতার্থ করে আইসিসির সহসভাপতির পদে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য পাকিস্তানকে কথা দেয় বাংলদেশ যাওয়ার ব্যাপারে । এটা আসলেই লজ্জাজনক ; এইসব পদে নির্বাচিত কেউ থাকলে এরকম সেচ্চ্বাচারী কাজ করতে পারতনা ।
যাইহোক , এখন আমাদের এই সিধান্তের বিরুদ্দে দাড়াতে হবে ; সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এর প্রতিবাদ করতে হবে । ব্যক্তিগতভাবে ও সাংগাতনিকভাবে , অনলাইন ও রাস্তায় , পাড়ায় ও গলিতে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন ।
গতকাল ২৩শে ডিসেম্বর , বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন হয়েছে।‘চট্টগ্রাম অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম’ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন হয়। কয়েকশ’ তরুণ এতে অংশ নেয়। তারা দাবি করেন, বিসিবির বিদায়ী সভাপতি মুস্তফা কামাল ‘সুবিধা’ নেয়ার জন্য পাকিস্তানে বাংলাদেশ দলকে পাঠিয়ে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন। সেসময় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা তা পারে নি। পরবর্তীতে নানা ‘ষড়যন্ত্রের’ মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়ে পাকিস্তান পাঠানোর পাঁয়তারা চলছে।
আসুন আমরাও সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলি । আমাদের প্রিয় ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের সমূহ বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে বিসিবি । আমরা প্রতিরোধ না করলে এই সফর হয়তো ঠেকানো যাবেনা । আসুন , ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিকভাবে, যে যেভাবে পারি এর প্রতিবাদ করি ; জনমত গড়ে তুলি ।
এই সম্পর্কিত আমার আগের পোস্টের জন্য এইখানে ক্লিক করুন । যারা আমার এই পোস্টের সাথে সহমত নন ...তাদেরকে মন্তব্ব করার আগে আমার পূরবর্তী পোস্টের
মন্তব্বগুলো পড়ার পর বুঝেশুনে মন্তব্ব করার অনুরোধ করছি ।