দাতাদের অবহেলার মুখে চরম সংকটে পড়া পদ্মা সেতু অবশেষে আলোর মুখ দেখল। বাংলাদেশের একমাত্র ভবিষ্যত, স্বপ্নে দেখা ও স্বপ্নে পাওয়া তরুন প্রজন্ম জাগো এগিয়ে এসেছে পদ্মা সেতুর কাজ আঞ্জাম দিতে। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে প্রকল্পের কাজ চূড়ান্ত হয় এবং মিটিং শেষ হওয়া মাত্রই জাগো’র সংগে বাংলাদেশ সরকার এর চুক্তি হয়। জাগোর পক্ষে চুক্তিতে সই করেন মেক আউট খ্যাত করভি রোকশানদ এবং বাংলাদেশ এর পক্ষে সই করেন সদা হাস্যময়ী যোগযোগ মন্ত্রী আবুল। এসময় মন্ত্রীপরিষদের অন্য আবুলও (সিনিয়র) উপস্তিত ছিলেন
চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছরের জুলাই নাগাদ সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। দাতারা যখন মুখ ফিরিয়ে নিল তখন ঠিক কোথা থেকে এত বড় একটা কাজ এর ফান্ড জোগাড় সম্ভব হল? সাংবাদিক দের এমন প্রশ্নের জবাবে সম্ভাবনাময়ী তরুন করভী রোকশানদ জানান যে আসলে ব্যাপারটা খুব সহজ। এইটা আসলে একটা মাইক্রো কন্সেপ্ট। অনেকটা মাইক্রো ক্রেডিট এর মত। করভী বলেন,
“আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন আমাদের জাগোফাইড ভলান্টিয়ার্স কত কষ্ট করে পথশিশুদের ফুল নিজেরাই বিক্রি করে পথশিশুদের ভাগ্য ফিরাচ্ছে, দেশের দারিদ্রকে জাদুঘরে পাঠাচ্ছে। ঠিক একই ভাবে এখন থেকে আমাদের ভলান্টিয়ার্স ঢাকার রাস্তায় ইঁট বেচবে। এব্যাপারে একটা গার্মেন্টস কম্পানির সাথে চুক্তিও হয়ে গেছে যে তারা নিতম্বের সাথে অনায়াসে দুটো ইঁট রাখা যায় এমন পকেট বিশিষ্ট জিনস এর প্যান্ট বানাবে। তবে মেয়েদের জন্য উজ্জ্বল রঙ এর ফতুয়ার সাথে এইটা ম্যাচ করানো যাচ্ছেনা কিছুতেই। যহোক জাগো দের ইট বেচা টাকা থেকে পদ্মা সেতুর ফান্ড জোগাড় করা হবে”।
ফুলের বদলে এবার ইঁট, পাথর, বাঁশ ইত্যাদি হাতে দেখা যাবে জাগো দের
করভী আরো জানান জাগোরা এই সেতুর শ্রমিক হিসেবে ভলান্টীয়ার করতেও খুব আগ্রহী। ইতিমধ্যে ভলান্টীয়ার হিসেবে নাম লিখিয়েছে তিহাত্তর হাজার ইংরেজী মাধ্যমের ছেলেমেয়ে। বাংলা মাধ্যম এর ছেলেমেয়েদের নেয়া হবে কিনা সেটা এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চুক্তিব্যাপারে আবুল (জুনিয়র) জানান তিনি বরাবরের মতই আশাবাদী। আর আবুল (মাল) জানান তিনি আসলে এই মাইক্রো কন্সেপ্টে পদ্মা সেতুর ফাইন্যান্সিং দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন। তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন বাংলাদেশের সকল সম্ভাবনার আধার করভী অবশ্যই অবশ্যই নোবেল পাবে। উল্লেখ্য এসময় করভী তার একটা ছোটখাট নোবেল প্রাপ্তির ছবি সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ করেন।
সেমি-নোবেল প্রাইজ হাতে বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনার আধার করভি রোকশানদ
সচিত্র প্রতিবেদনটি দেখুন
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩৪