এইতো কিছুক্ষণ আগে সেই মশহুর বনস্পতি ঘোর এসে আমাকে আবার ঘিরে ধরেছে। হৃদয়ের মহল্লা জুড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে কম্পনের শেকড়। ব্যাগভর্তি ভয় ঢেলে দিলে; ভয়ের পিঠে ভেসে যাচ্ছে আমার চোখের চশমা, হাতের ক্রাচ, ওষ্ঠের মাঠ। চৈত্র মাঠের মতোন ফাটল ধরেছে ত্বকে। পাঁজরে ঢুকে দখল করে নিয়েছে ধূলোর তাপ। কিছুক্ষণের মাঝেই অন্ধকারের গন্ধ ছড়িয়ে সূর্যাস্ত হবে। আহা! এমন সময় আমি কি কখনো একা থাকতে পেরেছি?
মনে আছে? শেষবার যেদিন এমন হয়েছিল, আমি ভুলে গিয়েছিলাম পোশাকের উন্মাদনা। সুউচ্চ পাহাড়ের উপর থেকে সুর্যাস্ত দেখব বলে বুক পুরে নিয়েছিলাম গলিত লাভা। আগুনের প্রতি আমার একধরনের দূর্বলতা কাজ করে। সূর্যাস্তের সময়, ওই দূরের সূর্যটা যখন আগুনের রঙ ধারণ করে; আমার খুব ডুবে যেতে ইচ্ছে করে তার মাঝে। সেদিনও নিছক এ ঘোরের মাঝেই পোঁছে গিয়েছিলাম পাহাড়ে। উৎসর্গ করব বলে নিজেকে ছেড়েছিলাম সামাজিক সংসার।
কিন্তু পারিনি। পেছন থেকে তোর শীতল হাত আমার কাঁধ স্পর্শ করলে আমি ছুঁড়েছিলাম প্রাচীন প্রেমের খসড়া। তীব্র তৃষ্ণায় জমাট পাথুরে কন্ঠ ভিজে গিয়েছিল স্পর্শের জলে। আমি সেদিন স্পর্শের নাম জানতাম না বলেই হয়তো ভুল করে ডেকে উঠেছিলাম ''ভালবাসা''। তারপরেই তো শ্রাবণ এলো। আমি ঢুকে গেলাম বৃষ্টির ভেতর। তলোয়ারের শাণের মতোন ফোঁটার নিচে পেতে দিয়েছিলাম শির। সেদিন থেকেই তো অহোরাত্রি তোর আঁচলে বন্দী থাকি; আগুনের মায়া ভুলে হৃদয়ে করি শীতলের চাষ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৫১