somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আড়ি

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হাসান ছিলো আমার খুব ক্লোজ বন্ধু, জিগরীদোস্ত বলে যদি কিছু থাকে একমাত্র ওর ক্ষেত্রেই অনুভব সম্ভব। বন্ধুত্বতায় এমন পক্ষপাত্বিত্ব হাসানও জানতোনা, অন্যেরা জানলে হয়তো কবেই আমাকে ছেড়ে যেতো সবাই, তাই সযতনে লুকিয়ে গ্যাছি। বন্ধুর সংখ্যা নেহায়তই কখনো দুই থেকে তিন জনের বেশী হয়নাই। ব্লুজম ফ্রেন্ড বলতে ওই হাসন-ই ছিলো !

সামাজিক অবস্থানে সেসময় হাসানে’রা বেশ উঁচুতে, নিতান্তই সে তুলনায় পাকিস্তান আমলের একটা সরকারী কোয়ার্টারের তেতলা বাড়ীতে আমাদের আশ্রয়, তাও কাঁচা-পাকা পরিত্যক্ত একটা রাস্তার ধারে। অবস্থান আর শ্রেনীর বিভেদটা কখনোই আমাদের মাঝে আসতে দেয়নি ও। সংকোচে বহুবার নিজেই এড়িয়ে যেতে চেয়েছি, বারেবারে আটকে গ্যাছি ওর বাঁধনে। সীমাবদ্ধতা আকড়ে ধরতো, তখন স্বপ্ন দেখাতো আমাকে।

আড়ি-আড়ি খেলার বয়সটা তখন শেষের সীমানায়, পরিণত হবার ঝুকির আশংকাটাও মাথার উপর, বয়সটা এমনই - সন্ধিক্ষণ যাকে বলে। সময়ের যোগ বিয়োগে দুইজনাই কৈশোরের শ্রেণীবিভাগে। স্কুলের গন্ডীতে দুরন্তপনার নিয়ন্ত্রিত শৃঙ্খলাবোধের বাধা নিষেধে কখনো সর্তক সংকেত, এসেম্বলী ফাকিঁর স্মৃতিময় কিছুক্ষন, ক্লাসের সময়টাতে একই বেঞ্চে পাশাপাশি, কখনো প্রতিপক্ষ হতে চাইতোনা, সে যেমন খেলায় কিংবা পড়ায়। বাড়ী ফেরার পথে রাস্তার শুরুতেই ওদের বাংলোটা, বাকীটা পথ একলাই ফিরতাম। কখনো ধরে রাখা শক্ত হাতের মুঠোটা ধরেই বলতো “চল, তোকে বাসায় পৌছে দেই” -// না রে হাসান, তুই যা, আমি একলাই যেতে পারবো “ক্যান, গেলে কি হয় ?” -// তুই এতদূর কষ্ট করবি ক্যান। ওর ‘কষ্টের’ অযুহাতে আমার পারিবারিক অসামর্থকে স্বকৌশলে আরো একবার লুকিয়ে ফেলতাম।

‘কাল কিন্তু তুই আমাদের বাসায় আসবিই আসবি’
-// ক্যান
‘আরে তোরে আসতে বলছি, তুই আসবি’
-// না, ঠিক আছে সে না হয় আসবো
-// কিন্তু কি ? কোন অনুষ্ঠান ?
‘হ্যা’
-// কিসের ?
‘আরে আগে তুই আয় না!’
-// কখন ?
‘সন্ধ্যায়’
‘শোন, তুই যদি না আসিস তাইলে কিন্তু ....’
-// আচ্ছা দেখি

হাসান, কিন্তু ...’ শেষ না করেই চলে যায়। বিকেলের সূর্যটা সন্ধ্যা অব্দি আকাশে ঝুলে থাকবে, আমিও একটা অনিশ্চয়তায় পড়ে গেলাম সিদ্ধান্ত নেবার আগ পর্যন্ত; কিসের দাওয়াত, কেন হঠাৎ, বাড়ীতে মা’কে জানাতে হবে, পারমিশন, কোন গিফট্ নিতে হবে কিনা .. আবার সেই নিত্য অতীত হওয়া অথনৈতিক অস্বচ্ছলতার হাতছানি। কোন ড্রেসটা পড়ে যাবো.. শেষ ঈদের শার্টটাও এখন পুরোনো.. স্কুলের নেভী ব্লু প্যান্টটা আয়রন করলে কিছুটা মানুষ্য সমাজের যোগ্য হয়.. না না ! এভাবে .. আসলে না জানি ওদের কত বড় আয়োজন .. কত মানুষ .. থাক, হাসানকে না হয় একটা মিথ্যে বলা যাবে। ও বুঝতেই পারবেনা।

‘তুই কালকে আসলিনা ক্যান’
-// আসলে হাসান ...
‘না, রে তুই কাজটা ভালো করিস নাই’
‘আমি খুব কষ্ট পাইছি’
-// হাসান শোন, আসলে .... হইছিলো কি জানিস ..
‘তুই আমার সাথে আর কথা বলবিনা’
‘কসম, একদম আড়ি তোর সাথে’
‘আর যদি জীবনে তোর সাথে কোনদিন কথা বলি’
-// হাসান দাড়া, হাসান ... শোন আমার কথা .. আরে শুনবিতো ..

হাসান কখনো এভাবে এর আগে আড়ি দেয়নি, হাসানকে আমার না বলা কথাগুলো সেদিন এবং আর কখনোই তা বলা হয়ে উঠেনি। ক্লাসে প্রতিদিন আসতো কিন্তু কথা হতোনা, টিফিনে যতবার গা ঘেষে দাড়াতাম, সরে যেতো। একটা সময় যখন বুঝলাম সেদিনকার মিথ্যে অযুহাতের জন্য ওকে ‘সরি’ বলা উচিত। আজ বলি, কাল বলি, তাও বলা হয়না, কিন্তু কিভাবে ? হাসান তো আমার বন্ধু, ওতো এম্নিতে রাগ করে আড়ি নিয়েছে !

মাঝের বেশ ক’দিন ও ক্লাসে আসলোনা। কেউ কিছু জানেওনা। ভাবলাম ওর বাড়ীতে গিয়েই ‘সরি’ বলবো। কতটা কষ্ট পেলে একটা মানুষ কষ্টের তিক্ততা ভুলে যায়, আমার বুঝবার সময় কাল ছিলোনা সেটা। সুখ-দু:খকে আলাদা করবার বয়সও নয়, অপ্রস্তুত অভিজ্ঞতায় সেটাই ছিলো প্রথম কষ্ট পাওয়া, যখন সন্ধ্যায় ওর বাড়ীতে গিয়ে জানতে পারলাম, হাসানের বাবা ট্রান্সফার হয়ে এ এলাকা ছেড়ে গিয়েছেন, সাথে হাসানদের পরিবারও। পশ্চিমের আকাশে সূর্য তখনও খানিকটা উকিঁ দিয়ে আছে, এ সময়কে শেষ বিকেলের ফাকিঁ বলে, হাসান আমাকে ফাকিঁ দিলো ক্যানো? চারপাশটা কেমন ফাঁকা হচ্ছে দ্রুত, যে যার ব্যস্ততায় ঘরে ঢুকে পড়ে, নীরবতা আশ্রয় নেয় রাস্তার সোডিয়াম বাতির আলো-অন্ধ পথে, আমি সে পথেরই পথিক হোই।

তারপর সময় পেরিয়েছে অনেকটা, খুজে ফিরেছি বহু জাগায়, বাবারও ট্রান্সফার হলো, ভাবলাম নতুন এলাকায় যদি পেয়ে যায় ওকে, প্রথমেই ‘সরি’ বলবো। মেট্রিক পরীক্ষার যে হলটাতে সিট পড়লো, সবকটা স্টুডেন্টকে দেখেছিলাম, হাসন কে পায়নি। তখন শহরে, কলেজে ভর্তি হয়েছি, =একজন মেস মেম্বার আবশ্যক.. ঠিকানা ...= রাতে শুয়ে ভাঙা কাচেঁর জানালায় মেঘ-চাদেঁর আকাশে তাকিয়ে ভাবতাম, হাসান একদিন এসে বললো বলে ‘মেস মেম্বার থাকতে চাই, সিট হবে?’ কত রাত এভাবে ভাবতে ভাবতেই শুয়েছি না খেয়েই, ওকি জানবে কখনো ? না জানুক, তাতে কি ? ও যে সত্যি আড়ি নিতে পারে? বুঝতে দেয়নি কখনো ..

আর্থিক টানপোড়নে তখনও গ্লানি টেনে চলেছি, এখন বন্ধুত্বে খুব সতর্কতা। একলাই কতটা পথ পাড়ি দিলাম। যখনই কাউকে ওভাবে খুজতে চেয়েছি, হাসানের স্মৃতিগুলো সামনে আসতো। ‘অলটারনেটিভ’ বলে হাসানের দ্বিতীয়টি আর কখনোই ভাবা হয়নি। ততদিনে চাকরীতে পুরোদস্তুর কর্মজীবি। এ্যাডমিনিস্ট্রেশন এন্ড পাবলিক রিলেশন ডিপার্টমেন্ট। কত মানুষের সাথেই প্রতিদিন কথা হয়, হাসিমুখে হ্যান্ডশেক করে আমার চাকরীদাতা কোম্পানীর গুণগাণ গাই। এখনও ভাবি, এইতো হাসান, আমার... পাবলিক রিলেশন সার্ভিসের এই ওয়ার্কষ্টেশনে .. এসে বলবে ..
‘হ্যালো মি: আই নিড ইউর হেল্প, প্লিজ’
-// ইয়েস স্যার, হাউ ক্যান আই হেল্প ইউ ?

হাসানকে আমি স্যার বলবো ? হাসান ? মানে আমার সেই আড়ি নেয়া বন্ধু হাসান, স্যার হবে ?

নতুন একটা কোম্পানীতে সিভি দিয়েছিলাম, রিটেনের পর ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের ইন্টারভিউ, এটা পার হতে পারলেই পুরোনো চাকরীটা ছেড়ে এখানে আসার চিন্তা। এক ধাপেই বেশ ক’টা টাকা, আবার পজিশনটাও আপগ্রেড হবে।

-// মে আই কাম ইন স্যার
: প্লিজ, কাম ইন
: প্লিজ বি সিটেড
: ইউ মি: .........
-// ইয়েস স্যার

ইন্টারভিউ বোর্ডের এ রুমে একটা বড় কনফারেন্স টেবিল, টেবিলের এ প্রান্তে আমি। মাঝের ডান আর বাম দিকে এক্সিকিউটিভ আর সিনিয়র মিলে প্রায় গোটা দশ জন। শুরুতেই চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিলাম, ক্ষনিকেই টেবিলের ও প্রান্তে থাকা মানুষটার চোখে চোখ আটকে যায়, এক মুহুর্তের জন্য পুরো পৃথিবী নিস্তব্ধ হয়, সেকেন্ডের কাটার টিক টিক শব্দ আর শোনা যায়না, সময়ের পতন হয়, হাত ঘড়িটায় চেয়ে দেখি সময় দ্রুত এগুচ্ছে, সময়ের মতো আমিও চলতে শুরু করি ......

-// আরে, ও হাসান না ! !
সংযত হোই।

: হ্যা, মি : ..... আপনি এর আগে কোথায় ছিলেন?
-// জ্বী ...............
: ওখান থেকে কেন আসতে চাইছেন?
-// আসলে ........
: তাহলে এবার আমাদের কিছু প্রশ্নে উত্তর দিবেন ?
-// জ্বী বলুন

আজ যখন চৌদ্দ বছর পর ওর সাথে এভাবে দেখা, কর্পোরেট কঠোরতায় দুজনা’র আলাদা দুটো পরিচয়, দাতা-গ্রহীতা সম্পর্ক ! বন্ধুত্বের আবেদনটা এখানে মলিন। হাসান একবারেই শুধু আমার দিকে তাকিয়েছিলো কিন্তু কোন প্রশ্ন করেনি।

ডান আর বামদিকের সবাই যে যার টপিকসে প্রশ্ন করছে, কমার্শিয়াল, এইচআর, পাবলিক মিটিং, কারেন্ট ইস্যুছ ... আমি সব উত্তরই ‘সরি’ বলেছি। জেনেও, না জেনেও। হাসান কি বুঝতে পেরেছিলো এই ‘সরি’ গুলো ওকেই বলা। এতদিন পর যখন দেখা ওর সাথে, এই ‘সরি’টাতো ওকেই আগেই বলা উচিত। সেই ‘আড়ি’; আর না বলতে পারা ‘সরি’, কতটা রাগ, অভিমানে চলেছে এতোটা বছর !
হাসান তো এখন অনেক বড়, ও কি আর আগের মতোই আছে ? সব কি মনে রেখেছে? চিনতে পেরেছে কি আমাকে? চিনতে পারলে কি কথা বলবে না এড়িয়ে যাবে? আমাদের ‘আড়ি’র’ বয়সও আজ প্রায় চৌদ্দ বছর, কতটা ভালোবাসলে এতটা রাগ করা যায়, ওকি সেই পরিমিত বোধটা বুঝে ? এরকম কতশত প্রশ্নে রিসেপশনের টেলিফোনে থাকা মেয়েটিকে একবার অনুরোধ করি ..

-// হাসান সাহেবের সাথে, আজ দেখা করা যাবে কি ?
; সরি, স্যার আজকে ইন্টারভিউ শেষেই চলে গিয়েছেন
; কোন ম্যাসেজ
-// না, ঠিক আছে, থ্যাংকইউ

না দেখা করেই হাসানের চলে যাওয়াটাকে অস্বাভাবিক মনে হয়না, স্বাভাবিক সেটাই, চিনতে না পারাটা। কিছু অপরাধবোধে সংকোচ আসে, ঘৃণা হয়, পুষে রাখা বন্ধুত্বের ভালবাসাটাকে অনেক ছোট করে ফেলি, সাথে নিজেকেও। রিসেপশন থেকে বিদায় নেবার আগে ওর কর্পোরেট হাউজের শ্বেত পাথরে খোদাই লেখা ....... গ্রুপ অব কোম্পানীজ এন্ড ইন্ড্রাসট্রীজে - হারানো হাসান’কে আরো একবার খুজেঁ পাই।

মাস খানেকও হয়নি, বাড়ীর দরজায় ফেলে রাখা এনভেলপ-টা আমার কাছে অনাকাঙ্খিতই ছিলো। কিসের লেটার এ অসময়ে ? অস্থিরতা এবং উত্তেজনায় খামটা খুলতে গিয়ে বারবার হাত কাঁপে। ‘এপয়েন্টমেন্ট লেটার’ সেই কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমাকে এই চাকরীর চিঠি দিয়েছে, অনুজ্জ্বল স্মৃতিতে পাথুরে খোদাই ....... গ্রুপ অব কোম্পানীজের ঠিকানাটাই এই লেটার হেড প্যাডে দেখতে পাই। হাসান তাহলে এখন ম্যানেজিং ডিরেক্টর !
এ লেটার-টা হাসানকে নয়, সেই কোম্পানীর এম.ডি কেই লিখছি ...
টু
ম্যানেজিং ডিরেক্টর
... গ্রুপ অব কোম্পানীজ এন্ড ইন্ড্রাসট্রীজ

ডিয়ার স্যার,
আই এ্যাম সরি টু ছে দ্যাট, আই এ্যাম আনবল্ টু একসেপ্ট দ্যা ....... পজিশন এ্যাট ইউ কর্পোরেট এ্যাডমিনেস্ট্রেশন ..
..............................................................
..............................................................
‘এ ঠিকানায় ও থাকতোনা আগে?’
- জ্বী, ছিলো, কিন্তু গত মাসে বাসাটা ছেড়ে দিয়েছে
‘গত মাসে ?’
- জ্বী
‘কোথায় গ্যাছে কিছু জানেন? বা কোন এড্রেস ?’
- না কিছুই বলে যায়নি ..
- আপনি ?
‘আচ্ছা ঠিক আছে, থ্যাকইউ’
..............................................................
‘ও না এখানে কাজ করতো আগে?’
= করতো, কিন্তু ও তো চাকরীটা ছেড়ে দিলো মাস খানেক হয়েছে
‘মানে, গত মাসে?’
= হ্যা, বললো ভালো বেতন, বড়ো কোম্পানী
= তাই চলে গ্যালো
= আপনি ?
‘আমি হাসান’
‘ওকে খুজছিলাম এম্নিতে’
‘কোথায় জয়েন করেছে, কিছু বলেছে?’
= না, ও কিছুই জানায়নি আমাদেরকে
‘ঠিক আছে, আসি’
..............................................................
..............................................................

চাকরীটা ছাড়বার আগেই বাসাটা বদলে ছিলাম। নতুন বাসা-চাকরীটাও নতুন - মাঝের সময়টাতে গুণে গুণে দম ফেলা, অপরিপূর্ণতায় নিজেকে কিছুটা গোছানো, সর্বময় এলোমেলোতায় একটু হাফ ছেড়ে বাঁচার চেষ্টা। কতক কোলাহলকে নির্বাসনে পাঠিয়ে আত্মগোপন। “আউট অফ সাইট; আউট অফ মাইন্ড” - মানতে চাইতাম না, এখন বিশ্বাস করি।

গোধূলী বেলার এ শেষ আলোটা যখন বাড়ীর সামনের দু-চারটে নারকেল গাছ টপকে আমার ব্যলকনীতে এসে পড়ে, বিকেলের অবসরে চেয়ারে হেলান দিতে গিয়ে রাস্তায় খেলতে থাকা শিশুদের সারল্যতায় দৃষ্টি পড়ে। ওরা খেলা থামিয়ে কি একটা য্যানো বোঝাপড়াতে ব্যস্ত, অল্প সল্প কোলাহলের মৃদু আওয়াজ পাচ্ছি ... কেউ বোকছে, কেউ সামলাচ্ছে .. সবাই কিন্তু একই বয়সী!
.... ‘যা, তোর সাথে আর কোনদিন কথা বোলবোনা, এই আড়ি-আড়ি-আড়ি’ - আমি স্পষ্ট শুনতে পাই ‘আড়ি’ শব্দটা, খুব পরিচিত একটা শব্দ, পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম শব্দের একটি ...
জোড়ে চিৎকার করে বলতে চাই -// না তোমরা আড়ি নিওনা, কখ্খোনা .... তোমাদেরকে অনুরোধ, প্লিজ তোমরা আড়ি নিওনা
ছেলেটি শুনতে পায়না আমার আত্ম চিৎকার, না বুঝেই খেলার সাথীকে পেছনে ফেলে যায়

আমি জানি, এ ছেলেটি হয়তো আর জীবনে কখনো ওই ছেলেটির সাথে কথা বলবেনা, সম্পর্কও রাখবেনা
হারিয়ে যাওয়া অতীতে; হাসানকে মনে পড়ে, এভাবেই ‘আড়ি’ নিয়েছিলো একদিন
‘আড়ি’ ‘আড়ি’ই- থেকে গ্যাছে, আজও ভাঙ্গা হয়নি - সুদীর্ঘ চোদ্দটি বছরের আমাদের ‘আড়ি’ সম্পর্ক।


কৃতজ্ঞতা: : হাসান ভাইকে লেখাটি উৎসর্গ করছি।
(চরিত্র, ঘটনা কাকতালীয়ভাবে মিলে গেলে কেউ কাউকে দায়ী করা চলবেনা)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৮
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×