সীমান্তে বিএসএফ এর হত্যার নিন্দা জানিয়ে গত ২৩ তারিখে যুক্তরাজ্যের "গার্ডিয়ান" পত্রিকা একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে ছিল। এই লেখার প্রেক্ষিতে ভারতীয়দের মন্তব্য দেখুন।
১। তুমি যদি সূত্রটি লক্ষ্য কর তাহলে দেখতে পাবে অনেক ব্রিটিশ আসলে বিএসএফ এর ভাবনা ও কৌশলের তারিফ করেছে। তারা অবৈধ পাকি অভিবাসন রুখতে ব্রিটিশ সরকার কে বলছে বিএসএফ এর কাছ থেকে শিক্ষা নিতে। আমি এরকমই আশা করছিলাম ব্রাউন সরকার যুক্তরাজ্যকে ছোটখাট পাকিস্তান বানিয়ে ফেলার পর। যাই হোক একজন উত্তর-পূর্ব ভারতীয় হিসেবে আমি হত্যা করার জন্য গুলি করার আদেশকে শতভাগ সমর্থন করি।
বাংলাদেশ তৈরী করা হয়েছে বাংলাদেশীদের জন্য এবং এটাকে তাদের ভূমি দাবি করার জন্য তারা ভারত থেকে স্বাধীন থাকতে চেয়েছে। ভাল কথা। সেই জন্য তাদের সন্ত্রাসী মূর্খ মোল্লাদের দেখভাল করা আমাদের দায়িত্ব না, যারা আমাদের ভূমিতে এসে চরমপন্থী সমাজতান্ত্রীক-ধর্মনিরপেক্ষ-ফ্যাসিস্টদের ট্রেন ধরে জলদি নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য।
চালিয়ে যাও বিএসএফ! সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারত তোমাদের সাথে আছে।
গার্ডিয়ানের লেখাটির এক পর্যায়ে বলা হয়ে ছিল, "বিদেশী সরকার গুলোর এই হত্যার ঘটনা গুলির ব্যাপারে আগ্রহের ঘাটতি বিষ্ময়কর ব্যাপার, যারা দাবী করে থাকে মানবাধিকারের বিষয়ে তারা সচেতন।"
মন্তব্যকারী এই ব্যাপারে বলে"মূল শব্দ গুলি হচ্ছে....... টিপিক্যাল পশ্চীমা চরমপন্থী যারা মানবাধিকারের ফালতু নীতি ব্যাবহার করে। (আপনারা সবাই এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আমার স্বাক্ষরিত সূত্রটি পড়ুন, উত্তর-পূর্ব ভারতীয়রা কিসের ব্যাপারে বলছে।)"।
২। ভাল করেছ বিএসএফ, এমনটি ধরে রাখ। এখন চীন-ভারত সীমান্তে আমাদের এই নীতির প্রয়োগ করতে হবে। পানিতে ডুবে যাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ কাঁদতে পারে। "ওহ সে তো ইতিমধ্যে ডুবে গেছে"। কিন্তু বিএসএফ এর উচিত মনযোগ দিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করা।
বিস্তারিত পড়তে এইখানে দেখুন।
সীমান্তে হত্যার বিষয়ে অধিকাংশ ভারতীয়দেরই একই রকম মত। ভারতীয়রা কখনই আমাদের বন্ধু হতে পারে না। কৌশল গত কারনে তারা যদি কখনও সীমান্তে হত্যার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশও করে তারপরও তারা কখনো আমাদেরকে অর্থনৈতিক ও সাংষ্কৃতিকভাবে পরাধীন করার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হবে না। আমরা ইতিমধ্যে তাদের অর্থনৈতিক, প্রাকৃতিক, সাংষ্কৃতিক আগ্রাসন সহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। ঘুরে দাঁড়াবার জন্য নষ্ট করার মত সময় আমাদের হাতে নেই। আমাদের এখুনি অন্তত অর্থনৈতিক ও সাংষ্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আসুন আমরা ভারতীয় পণ্য ও সংষ্কৃতি আজই বর্জন করি।