জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’র যে বই দেয়া হয়েছে, তার ৮২ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, ‘বর্তমান সমাজে প্রচলিত কতিপয় হারাম বিষয় ও দ্রব্য তালিকা উল্লেখ করা হলো।’ মনে হয় বর্তমান সমাজে প্রচলিত আছে, তবে অতীতে অন্য প্রকার ছিল এবং ভবিষ্যতেও অন্য প্রকার হতে পারে। অত্যন্ত সূক্ষ্ম মগজ ধোলাই। গন্ডমূর্খ মুসলমান নেতৃত্বদের দ্বারা উপলব্ধি করা প্রায় অসম্ভব। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হারাম-হালাল সুনির্দিষ্ট এবং অপরিবর্তনীয়। এখানে ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হারাম-হালাল’ না বলে বলছে ‘বর্তমান সমাজে’
এখানেই মগজ ধোলাই কার্যক্রম শেষ হয়নি। ওই তালিকার ৫ নম্বরে লিখেছে, ‘দেবদেবী বা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে উৎসর্গকৃত পশুর গোশত খাওয়া হারাম।’ কত সূক্ষ্মভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে দেবদেবীর কথা সংযোগ করিয়ে দেয়া হয়েছে। এ এক চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ নগ্ন মগজ ধোলাই কার্যক্রম। কেনইবা এ ধরনের কার্যক্রম হবে না? আমাদের অসাম্প্রদায়িক সরকার এবং শিক্ষামন্ত্রী ভারতীয় দাদাদের খুশি রাখার জন্য শতকরা মাত্র দুই ভাগ হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং তদীয় যাবতীয় অধিদফতরে প্রায় ৭০ ভাগ হিন্দু কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে। নবম ও দশম শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’র বইতে এহেন পরিকল্পিত কুফরী লেখনীর জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে জাতির সম্মুখে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতরসমূহে হিন্দুদের আধিপত্য দ্রুত কমিয়ে আনা ফরয-ওয়াজিব।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮