বাংলাদেশের সকল স্কুলের জন্য বর্তমান সরকার কর্তৃক বিতরণকৃত একটি পাঠ্য বইয়ের নাম ‘শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য’। নাম দেখলে যে কেউ মনে করবে শিশু-কিশোরদের মধ্যে শারীরিক সচেতনতা এবং সুস্থ থাকা সংক্রান্ত একটি পাঠ্য পুস্তক। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম পর্যন্ত সকল শ্রেণীতে পড়ানো হয়। নুতন একটি চ্যাপটার সংযোজন করা হয়েছে বয়ঃসন্ধিকালের বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করে। হঠাৎ করে কেউ দেখলে ধারণা করবে বিষয়টি খারাপ নয়। তবে আমরা যদি সমসাময়িক ইতিহাসের দিকে তাকাই এবং অন্তর্দৃষ্টি, দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞা সহকারে বিষয়টি বিবেচনা করি তখন এর অন্তর্নিহিত চক্রান্তটি উপলব্ধি করা সম্ভব। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকালে যখন শিশু-কিশোরদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক যৌনানুভূতি প্রকৃতগতভাবেই আসতে শুরু করে, তখনই তাদেরকে এ বিষয়ে বিশদ জ্ঞানদানের মাধ্যমে অতিরিক্ত আগ্রহ জাগ্রত করে বিপদগামী করতে প্ররোচনা দেয়া। মহান আল্লাহ পাক সৃষ্টির জীবনচক্র চলমান রাখার লক্ষ্যে অন্যান্য প্রাণীকুলের মতো মানবজাতির জন্য ও যখন প্রজনন শক্তি এবং আগ্রহ প্রদান করতে শুরু করেন তখনই শয়তান প্রচেষ্টা চালায় তাদেরকে অন্যায় কাজে ধাবিত করতে। এই বয়সে শিশু-কিশোররা প্রজনন কর্মকান্ড সম্বন্ধে যত কম জানবে, বিষয়টি নিয়ে প্রকৃতগত ভাবেই তারা ততবেশি বিরত থাকবে, যত বেশি ঘাটাঘাটি করবে তত বেশি অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়বে। তথাকথিত উন্নত দেশগুলোর সমাজে তাই হয়েছে। এই বয়সের যৌন শিক্ষা তাদেরকে পাপের পঙ্কিলতার চরম পর্যায়ে নিয়ে পৌঁছিয়েছে। অবাধ যৌনাচারের (ফ্রি সেক্স) পর্যায় অতিক্রম করে তারা পশুর চেয়ে অধম যৌনবিকৃতিতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবেই সমলিঙ্গে বিবাহ অনুমতি পেয়েছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, শুরুটা ছিল ওই শিশু-কিশোর বয়সের যৌন শিক্ষা। আকাশের পাখি, বনের পশু কিংবা পানির মাছ কেউই যৌন শিক্ষা গ্রহণ করে না। পৃথিবীর জন্মলগ্ন হতে আজ পর্যন্ত তাদের জীবনচক্র চালু থাকতে কোন প্রকার অসুবিধা হয়নি। এমনকি ভবিষ্যতেও কোন প্রকার অসুবিধার সম্ভাবনা নেই। যৌন শিক্ষায় অশিক্ষিত ওই পশু পাখি মাছ যদি তাদের জীবনচক্র সচল রাখতে পারে তবে মানুষের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজনীয়তা কেন আসলো? আসলে শয়তান তার মানবরূপী প্রতিনিধিদের দিয়ে এভাবেই মানবজাতিকে যুগে যুগে নষ্ট করেছে, ফলশ্রুতিতে বারবার খোদাই গযবে ধ্বংস হয়েছে। ভাল করে লক্ষ্য করুন, তৃতীয় বিশ্বের মুসলমান দেশসমূহের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রথম বিশ্ব বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করে থাকে প্রতি বৎসর। অথচ তাদের দেশে জনসংখ্যা ভয়ানক হারে কমে যাচ্ছে, শত চেষ্টা এবং লক্ষ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ করেও তারা জনসংখ্যার অধঃগতি ঠেকাতে পারছে না। স্থানীয় ভাষায় একেই বলে, ‘আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর’। আফসুস যে, গন্ডমূর্খ তথাকথিত মুসলমান নেতৃবৃন্দ তা বুঝতে পারে না। [কেন বুঝতে পারে না জানতে চাইলে ক্লিক করুন: Click This Link শিক্ষামন্ত্রী এনসিটিবি’র ডিজির দায়িত্ব দিয়েছে একজন হিন্দুকে যার দায়িত্ব স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তক এবং পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করা। এর চেয়ে দেশের জন্য ক্ষতিকর আর কি সিদ্ধান্ত হতে পারে? ৯৭ ভাগ মুসলমানদের দেশে আমাদের নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রী একজন যোগ্য মুসলমান খুঁজে পেল না ওই দায়িত্ব পালনের জন্য? সে কেন তার মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা অধিদফতরের ৭০ ভাগ হিন্দু কর্মকর্তার নিয়োগ দিয়েছে? সে আসলে এই বাংলাদেশী মুসলমানদের কোথায় নিয়ে যেতে চাচ্ছে? পাঠকদের মাঝে এমন কেউ কি আছেন কি তাকে এই প্রশ্নটি করার? কিংবা এই লেখাটি দেখাবার এবং সবিনয়ে অনুরোধ করা- যাতে সে পাঠ্যপুস্তক থেকে যৌনবিষয়ক অধ্যায়সমূহ দ্রুত বাদ দিয়ে দেয়। ভারতের মতো “ধর্ষকদের দেশ” না হয়ে যাতে আমরা ভদ্র ও শালীন জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে নিজেদেরকে উপস্থাপন করতে পারি। মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে নাস্তিকতার হুমকি থেকে রক্ষা করুন, বাংলাদেশী মুসলমানদের হিফাযত করুন। (আমীন)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৯