বিশ্রী একটা পাপবোধ কাজ করছে। পৃথিবীতে বেশ কিছু গাছ আর প্রাণী আছে, যারা অকারণে গরল ছড়ায়। নিজের সুন্দরী স্ত্রী ফেলে বেশ্যালয়ে গিয়ে ধুমসো মেয়েছেলের গোদা পায়ের লাথি খায় পয়সা খরচ করে। কি বিশ্রী রুচি-বিকৃতি নিয়ে সমাজে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মৌরী নাজনীন নামে এক আপু অসাধারণ একটা স্ট্যাটাসে আমাদের রেসিস্ট জাতি হিসেবে বলতে গিয়ে বলছেন, "সাহারা খাতুনের দোষ বলতে গিয়ে আমরা শুরু করি তার চেহারার বর্ণণা দিয়ে! খালেদা জিয়াকে নিয়ে বলতে গেলে শুরু হয় তার শাড়ী আর মেকাপের ডিটেইল দিয়ে।........................" আমি আপুর সাথে দ্বিমত পোষণ করার কোন কারন পাইনি। তবে আপু যেটাকে রেসিজম বলছেন সেটাকে আমি বিকৃত রুচির উদাহরন বলবো। এরা হলেন গরল ছড়ানো সমাজের সেই সব লোক। হরহামেশাই আমরা এরকম গরল ছড়িয়ে যাচ্ছি। কিভাবে ছড়াচ্ছি তার প্রমাণ হিসেবে বলতে পারি বর্তমান সেলিব্রেটি ব্লগার আরিফ জেবতিক এর একটি পোস্ট। কয়েকদিন আগে ফেইসবুকের কোন পেইজে সৌদিআরবের ভিসা লাগানো একটি পাসপোর্ট পাওয়ার কথা উল্লেখ করে যোগাযোগের জন্য মোবাইল্ল নাম্বার সহ তা পাবলিস করা হয় এবং তা শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করা হয়। এই শেয়ারের পরিমাণ যখন ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায় ঠিক তখন আরিব জেবতিক ভাই সবার দৃষ্টি আকর্ষন করেন মোবাইল নাম্বারের দিকে। দেখা যায় মোবাইল নাম্বারগুলো ছিল ভুয়া। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ১২ হাজার লোক কি তাহলে না দেখেই পোস্ট শেয়ার করে বিরাট একটা মানবিক কাজ করে ফেললাম বলে বসে থাকা সেই সব মানুষ নয়? যারা অমি রহমান পিয়াল "বাল" লিখে কমেন্ট করলেও লাইক করে!!!
জামাত বীরোধী স্ট্যাটাসে শত শত লাইক শেয়ারের পর শেয়ার। কিন্তু ভিতরে কি লেখা সেটা কি বুঝতে পারছি? এরকম একটা স্ট্যাটাস দেখেছিলাম কয়েকদিন আগে Ishrat Rathy নামে এক আপুর। তিনি লিখেছিলেন "এদেরকে ভাতে-হাটে-ঘাটে মারতে হলে জীবনের প্রত্যেকটি বলয়ে তাদেরকে বর্জন করতে হবে। পারিবারিকভাবে এদের বর্জন করুন, সামাজিকভাবে এদের
বর্জন করুন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এদের বর্জন করুন, কর্মক্ষেত্রে এদের বর্জন করুন। আপনার
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা কর্মসংক্রান্ত ফেসবুক গ্রুপে এদের বিরুদ্ধে হাক ছাড়ুন, সাথে কেউ কন্ঠ না মেলালেও আপনি একাই চিৎকার করতে থাকুন।" কিন্তু আসলে কি বাস্তবতা তাই বলে। ওদেরকে আমরাতো সেই কবেই বর্জন করছি। বর্জন করেছি বলেই আজকে ওরা দাড়ি আর টুপির মাধ্যমে নিজেদের পরিচিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে, শিক্ষা ক্ষেত্রে ওদের বর্জন করছি বলেই ওরা আশ্রয় নিয়েছে মাদ্রাসা মসজিদে। কর্মক্ষেত্রে বর্জন করছি বলেই আজকে ওরা তৈরী করে নিয়েছে নিজেদের কর্মক্ষেত্র যেখানে আপনি আমি গেলে চাকুরি পাবোনা।!!! ওখানে চাকুরি পেতে হলে আমাদেরকেও তাদের মত হতে হবে। আর এই সব কিছুর ফলেই আজকে ওরা ধর্মের দোহাই দিতে পারছে। বিরোধীতার কারনে ঘৃণা, তর্কের খাতিরে তর্ক করে এ যুদ্ধে জয়ী হতে পারবেন না আপু।বরং সেটা আরও ফটিকছড়ির তৈরী করবে!!!