somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি রাতের গল্প- -পর্ব-২

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি রাতের গল্প-১

এদিক ওদিক তাকাতে লাগল শুভ। কেমন ভয় মাখা দৃষ্টি ওর দু চোখে এখন।হঠাৎ ওর চোখ দুটো আটকে গেল টেবিলে রাখা ফুলদানিটার উপর।সেখানে কিছু রজনীগন্ব্ধা সাজানো।

রজনীগন্ব্ধা শুভ'র খুব প্রিয় ফুল।ওর মনে পড়ে গেল ফেলে আসা সেই দিনগুলির কথা।তিলু ওকে অনেক রজনীগন্ব্ধা কিনে দিত।দু ' হাত ভরে। হঠাৎ তিলুর কথা মনে হল কেন? ও তো সেই কবেই তিলুকে ছেড়ে চলে এসেছে। প্রায় বছর দুয়েক। বিদেশে আসার পর বেশ কিছুদিন যোগাযোগ ছিল ওদের মাঝে।তারপর এখানকার আধুনিক বেশভূষা আর দূরত্ব- দু 'টোই শুভ ' র ভালবাসাকে আস্তে আস্তে ম্লান করে দিয়েছে।আর প্রয়োজন বোধ করেনি তিলুর সাথে যোগাযোগ রাখার।কিন্তু এতদিন পরে এসব কেন? নাহ্‌, এসব নিয়ে চিন্তা করার সময় ওর নেই এখন। ওর হাতটাকে কিছু একটা করা দরকার।
আবার উঁঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল শুভ।এবার ঠিক পারল। আস্তে আস্তে ড্রইং রুম পেরিয়ে রান্না ঘরের কাছে আসতেই দেখতে পেল, ওর মা শাড়ির আঁচল হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে। গায়ে একটা সাদা শাড়ি জরানো।শুভ' র চোখ আবার বিস্ফরিত হয়ে এল।
-মা! অনেকদিন পর দেখছি তোমাক. কেমন আছ তুমি মা?
-ভালো খোকা, তুই তো আমাকে একদম ভুলে গেলি।সেই কবে তোকে আমার আঁচল দিয়ে তোর মুখটা মুছে দিয়েছি! আয় বাবা, কাছে আয়।আঁচল দিয়ে তোর মুখ খানা মুছে দেই।শুভ মণ্ঞমুগ্ধের মত তাকিয়ে রইল ও'র মার মুখের দিকে।কি দেখছে এসব? কি ভাবছে এসব ও।মা' তো সেই কবেই মারা গেছেন। বছর দুই হবে। রাগ করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিল ও। তারপর তিনদিন পর বাড়ি ফিরে দেখতে পেয়েছিল, সাদা কাপরে মোড়া মায়ের লাশ।সেই শুভ আবার বাড়ি ছেড়েছে আর ফিরে যায়নি সেখানে।

চলবে..
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৩
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিচারের জায়গা না পেলে মানুষ প্রেত হয়ে ওঠে

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯


(সামাজিক অবিচার, রাষ্ট্রীয় অনুপস্থিতি এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড কাঠামোর মধ্যে সাধারণ মানুষ কীভাবে হারিয়ে যায়।)

মানুষ যখন বারবার অবিচারের শিকার হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একদিন এসো সন্ধ্যে ফুরোলেই=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫



ভালোবাসা ছড়ানো পাতায় পাতায়, সবুজাভ স্নিগ্ধ প্রহর আমার
এখানে উঁকি দিলেই মুগ্ধতারা চুয়ে পড়ে টুপটাপ;
ধূসর রঙ প্রজাপতিরাও এখানে রঙিন ডানায় উড়ে,
কেবল অনুভূতির দোর দিতে হয় খুলে, চোখগুলো রাখতে হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

চীনের জে-১০ যুদ্ধবিমান কোনো চকচকে ল্যাব বা বিলাসবহুল ফ্যাক্টরিতে জন্মায়নি

লিখেছেন নাঈম আহমেদ, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬

চীনের জে-১০ এর পেছনেও রয়েছে সেই ত্যাগ আর সংকল্পের গল্প—
১: গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) দলের অক্লান্ত পরিশ্রম।
২: বাইসাইকেলে চেপে কাজে যাচ্ছেন প্রধান প্রকৌশলী সু চিশৌ।
৩: প্রথম উড্ডয়নের পর কেঁদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Bangladesh bans ousted PM's Awami League under terrorism law

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১২ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬





হায়রে এরেই বলে কর্মফল। ১৭ টা বছর গুম , খুনের মাধ্যমে এক ভয়ের রাজ্য তৈরী করে কেড়ে নেয়া হয়েছিল মানুষের বাকশক্তি। চোখ, কান, মুখ থাকতেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিন গেলে আর দিন আসে না ভাটা যদি লয় যৌবন

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১২ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:২৬


এমন কোনো ইস্যু আছে, যা নিয়ে জাতি পুরোপুরি একমত? ৫০%ও একমত এমন কোনো বিষয় চোখে পড়ে না। একপক্ষ রবীন্দ্রনাথের গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মনেপ্রাণে ধারণ করে, আরেক পক্ষ বদলাতে চায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×