[ চিঠি টা লিখেছিলাম একটি মেয়েকে। বছর পাঁচেক আগে। পত্র মিতা হওয়ার জন্য। কিন্তু জানা অজানা বেশ কিছু কারনে শেষ পর্যন্ত চিঠিটা আর তাকে পাঠানো হয়নি। সেদিন পুরাতন বই পত্র পরিষ্কার করতে গিয়ে ধুলা বালি তে ভরা কিছু ফাইল এর নিচে হঠাত পেলাম চিঠি টা। ছিড়ে ফেলার আগে হঠাত মনে হলো ব্লগ এ পোস্ট করে দেই... at list পাঠোকদের কিছুটা সময় বিরক্ত তো করা যাবে ]
দোলা,
সেদিন বাসার পুরাতন খবরের কাগজ আর মাগ্যাজিন বিক্রি করছিলাম। অনেক গুলো হয়ে ছিলো তাই বেশ সময় লাগছিল ওজন দিতে। এই ফাকে অলস বসে থেকে দু-একটা মাগ্যাজিনের পাতা উল্টাছিলাম আমি। হঠাৎ “সাপ্তাহিক ২০০০” এর একটা সংখ্যা তে তোমার লেখাটা চোখে পড়লো। কোন কারন ছাড়াই পড়তে আরাম্ভো করলাম। লেখাটা পড়ে একটু ভালোই লাগলো। নাহ্ একটু না অনেক টুকুই ভালো লাগলো। একটা ছোট্ট কাগজে তোমাত ঠিকানাটা টুকে নিলাম(কারোন ইয়াং মেয়ে বলতে তুমিই ছিলে সেখানে)। ভাবলাম রুমে লিখবো তোমাকে। তারপর রুমে আসলাম,ডিনার করলাম,টিভি দেখলাম,আড্ডা দিলাম, কিন্তু তোমাকে লেখার কথা এক বারও মনে হলোনা। তারপর ঘুমানোর জন্য বিছানাই যাওয়ার ঠিক আগে মনে হলো তোমাকে চিঠি লেখার কথা। কিন্তু ততোক্ষণে ঘুম নামোক বস্তুটি আমাকে আচ্ছন্ন করার সমস্থ আয়োজন সম্পন্ন করে বসে আছে। যাইহোক, শেষ পর্যন্ত আমি হারিনি। বসে পড়লাম চিঠি লিখতে। তোমাকে। কিন্তু এবার ঠিকই হার মানতে হলো। কারোন চিনিনা,জানিনা এইরকম একটা অপরিচিতো মানুষ কে(বিশেষ করে মেয়েকে) কিইবা লিখবো। সেইবা কি মনে করবে। ভাববে কথাকার কোন বখাটে ছেলে বিরক্ত করছে। কিন্তু জনাবা ‘দোলা’ for your kind information, I am quite a gentleman.
যাইহোক, লেখাটাতে তোমার thinking style টা আমার সত্যিই ভালো লেগেছিলো। আসলেই দিনে দিনে আমরা আনেক বেশি যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি। আর আমাদের ভেতরের আবেগ অনুভূতি গুলো দিনে দিনে ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। আমরা কিছুই করতে পারছিনা, শুধু মেনে নেয়া ছাড়া। উফ্ বিজ্ঞের মতো কথা বলতে আরাম্ভো রেছি দেখছি। এ্যাই মেয়ে তোমাকে আরও অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে। তবে তার আগে আমাকে জানতে হবে ইতোমধ্যে তোমাকে কতোটুকু বিরক্তো করলাম। যদি খুব বেশি হয়ে থাকে তবে কানে ধরছি(ধরিনি মিথ্যা মিথ্যা লিখলাম) আর লিখবনা। আর যদি কম বিরক্তো হও তবে আবারো লিখব অন্য কোন দিনে।
ভাল থেক তুমি...
-আমি।