(ঈদের আগের লেখা কুরবানীর আগে দিলাম)
এখানে আসার আগে বেতন কি নিজ থেকে কখনো বুঝিনি। তাই এটা নিয়ে মানুষের কল্পনার রকম-সকম কেমন হয় তাও জানা হয়ে ওঠেনি কখনো। আমরা যারা বাঙ্গালী তারাই সব থেকে ছোট এখানে। সেটা টাকার দিক দিয়ে বলেন আর শিক্ষার দিক দিয়েই বলেন। কখনো কখনো দস্তখত দিতে বললে, বলে ” আপনে দিয়া দেন ভাই। আবদুস সালাম, খালি সালাম লিখলেই হবে’’। আমি কখনো কখনো শুধু সালাম লিখে দেই, কখনো তাকে দিয়ে লেখাই। তবে সংখ্যায় আমরাই বেশি। এখানে বাঙ্গালী বলা মানেই অদৃশ্য স্ক্রাচে পিঠের উপর আকিয়ে দেওয়া “কমন লেবার’’ ট্রেডটি। আফসোস নেই, যে দেশের কর্তা চায় এদেশের ভাত শুধু মাতুব্বরদের সে দেশের সাধারণদের বিদেশে এসে এ ট্রেডের ক্ষয়ে ক্ষত হয়না কারো। আমরাও তাই বিদেশে এসে ক্লিনিং এ দিব্যি আনন্দে আছি।
মূলত আমার প্রসঙ্গ এটা নয়। গতকাল জুলাই এর স্যালারি দিয়েছে। স্যালির দিনে অফিস সেরে ৫টার মধ্যে ক্যাম্পে আসা যায। আমি এসে গোসল দিয়ে যখন কাপড় রোদে দিচ্ছিলাম দেখি আমাদের বাঙ্গালিরা খুব আনন্দে মোবাইল ফোনে কথা বলছে। ঠিক আড়ি পাতা নয়, আমি শুধু টপিকটা শুনতে চাচ্ছিলাম। শুনে নিয়ে ভাবলাম, লিখে ফেলি। তাই লিখতে বসা। যদিও ঈদের মাস, তাই তাদের বাজেটের ম্যাক্সিমাম অংশই ঈদের জন্য। অল্পকিছু ব্যতিক্রমও ছিল। সব মিলিয়েই লেখাটা।
হাসান, জব নং- আইডব্লিউ বি -৬৩, ঃ ট্রেড অনুযায়ী কাজ না করে তাকে কাজ করতে হচ্ছে ম্যাটারিয়াল কন্ট্রোলার হিসেবে। ড্রয়িং দেখে দেখে পাইপফিটার, ফোরমান, সুবপারভাইজরদেরকে ম্যাটারিয়াল বুঝিয়ে দেন। কালো ছেলে, মাদারিপুর বাড়ি, তিনি ক্রিকেটার আশরাফুলের সাথে হোটেল শেরাটনের তার বন্ধু বৈশাখী টিভির রিপোর্টসারে সাথে এক পার্টিতে ছিলেন। হাসান বলেছেন, আশফুল তারমতোই খাটো মানুষ। হাসানের জুলাইয়ের স্যালির পরিমান ১২৪৮ ডেরহাম। তিনি গতমাসে টাকা ধার করে ৪৫ হাজার টাকায় একটা চেইন কিনেছে। এই চেইনটা আপাতত তার মায়ের গলায় থাকবে, দেশে গিয়ে বিয়ে করলে মেয়ে দেখার দিন মা নিজেই তার গলা থেকে খুলে বউয়ের গলায় পড়িয়ে দিবেন। সে তারপরও তার মাকে ঈদের খরচের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছে। মা বলছে, তোর ভাইরাতো সব আলাদা হয়ে গেছে। যে যার মতো ঈদ করবে। টাকা পাঠিয়ে কি করবি? দরকার নেই। হাসান তারপরও বুদ্ধি করে ১০ হাজার টাকা পাঠাবে। এ টাকা দিয়ে তার মা তার বাবাকে ও বাবা মাকে পাঞ্জাবী ও শাড়ি কিনে দিবেন। তার এ পরিকল্পনা আমার কাছে ‘‘ খারাপ না’’- মনে হয়েছে।
সুলতান, জব নং ৬৭ঃ কালো ও লম্বা ছেলে। পুর্বে পাইপ ফিটার ছিল এখন স্কাফোল্ডার ফোরমান। তার ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাজ করতেও কোনো সমস্যা হয়না বলে সেওয়াগ হা বে নামে এক কোরিয়ান তাকে খুব পছন্দ করে। পছন্দ করে তাকে গত মে-জুন-জুলাই মাসে নিয়মবহির্ভুত ইনসেনটিভ দিয়ে বে নিজেই কোম্পানী কর্তৃক ১০ দিন স্ট্যান্ড বাই থেকেছেন। এবং মিঃ বে’ কে এর শাস্তি স্বরুপ হুন্দাই ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে অস্থায়ীভাবে এসটিএক্স ইঞ্চিঃতে ট্রান্সফার করেছে। গত মাসের ২৪ তারিখ সুলতান ও বে লাইভ লাইনের ভোল্ট খুলতে গিয়ে এসিডে দগ্ধ হয়েছেন। সুলতান এখন ক্যাম্প ক্লিনিকে। ডাক্তার তাকে ভালো ভালো খাবার খেতে বলায় এ মাসের টাকা তিনি ফল-পাকড়ায় খরচ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মোতালেবঃ মোতালেবের ডাক নাম মিঠু। স্ট্যাফ ব্যতিত অফিসে কোন ফিলিপিনো ঢুকলে মিঠু সাহেব এমনজোড়ে ধমক দেন মাঝে মাঝে আমিও অবাক হয়ে যাই। পরে আমাকেও ধমকান, ‘‘আপনি কিছু কননা ক্যান? সবাই অফিসে ঢোকে ক্যামনে? শক্ত হন, এ্যাডমিনের কাজ করতে হইলে শক্ত হইতে হয়’’। আমি তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থকি। এসিস্ট্যান্ট সাইট ম্যানেজার অফিস এসিস্ট্যান্ট মিঠুকে পাইপিং ম্যানেজার বলে ডাকেন। ম্যানেজার এ মাসের টাকা দিয়ে কিছু টাকা বাড়িতে পাঠাবেন বাকী টাকা তার সম্ভাব্য সৌদে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে জমা করে রাখবেন।
ইমরানঃ পিসি অপারেটর। তিনিও আমার মত বিএনসিসি’র (বরিশাল, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা) একজন। চাঁদপুরী। এখানে চাকুরীর পাশাপাশি ভিওআইপ এর বিজনেস করেন। সেদিন বললেন, তিনি নিজ্ইে একটা ডায়ালার বানাবেন, ১০ লক্ষ এর মতো খরচ হবে নাকি। আবার গতকাল বললেন, তার বিজনেস ভালোনা বলে তিনি ল্যাপটপ কিনতে পারছেন না, ১২/১৩ শত দেরহামের মধ্যে একটা নোটবুক কিনবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই, আল্লাহ তার নোটবুক কেনার আশা পুরন করুক।
জালালঃ স্পুল কন্ট্রোলার। উনার বাড়িতে এবার ধানি জমীর ধান বিক্রি করে সব খরচ মেটানোর পরও ৩২ হাজার টাকা লাভ থেকেছে। তাই বাড়িতে ৮ হাজারের বেশি টাকা পাঠানোর দরকার নেই। এই টাকাও নাকি তার মা-বাবা দুমাসের আগে শেষ করবে না। মা বাবার এমন আচারণে তিনি সন্তুস্টু না। তিনি বলেন, ‘‘ বুড়ো মানুষ, বাঁচবে আর কয়দিন। তারপরও টাকা পয়সা জমিয়ে রাখার অভ্যেস গেল না!’’ আমি জালাল ভাইকে বলেছি, জালাল ভাই, আমরা যারা গরীব, তাদের সব বাবা মায়েরা প্রায়ই একই রকম। তারা কোনদিনই নিজেরা ভালো খেতে চাইবেনা তার সন্তানকে রেখে। আপনি পারলে অন্য কাউকে দিয়ে শহর থেকে ফলমুল কিনে বাবা মার বিছানার পাশে রেখে দিন। ফ্রিজ থাকলে বিছানায় না রেখে ফ্রিজেও রাখতে পারেন।’’
আপোস্তলঃ ফিলিপিনো আয়রন ওয়ার্কার ফোরমান। তিনি যখন সৌদি ছিলেন তখন মুসলমান হয়েছিলেন। তার স্ত্রী এটা মানতে নারাজ বলে এখন আর নামাজ রোজা করেন না। তবে ইসলাম তার কাছে এখনো খুব ভালো লাগে। তিনি মানেনও তাই। তিনি কখনো বৃহস্পতিবারের রাতে দুবাইরে হোটেলে গিয়ে রাত কাটানা না। তিনি বলেছেন, এক জীবনে একটাই ভালোবাসা। যতদুর জানি তিনি তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসেন বলে রাত ২ টায় জেগে প্রতিদিন ভিডিও চ্যাট করেন। রাতে মাত্র ৩ ঘন্টা ঘুমান। উনি এবারে তার স্ত্রীকে কিছু টাকা পাঠাবেন মোড়কের লড়াইয়ে জন্য। ফিলিপিনে এটা খুব মজার একটা প্রতিযোগিতা। মেয়েরা তাই শখ করে অনেকেই মোড়ক পোষে। এরপর মোড়ক লড়াইয়ের আয়োজনে পোষা মোড়কের খেলা দেখে। যে ড্রেস পড়ে তারা এ খেলা দেখতে আসে সে ড্রেসে আমাদের বোন-ভাবীদেরকে কখনো দেখলে আব্বা সেই দিনই তাদেরকে ঘর ছাড়া করতেন।
প্রসবঃ সেফটি সুপারভাইজর। তিনি ইন্ডিয়ান ক্যারেলা ও ১৬৫০ ডলার বেতন পান। গত মাসে হুন্দাইর নিয়ম অনুযায়ী নতুন এগ্রিমেন্টে তার এখনকার বেতন ১৭৬০ ডলার। আমার হিসেব মতে তার ন্যাশনালিটি ইন্ডিয়ান না হলে যোগ্যতার বিপরীতে তাকে কখনোই ২০০ ডলারের বেশি দেওয়া হতোনা। তারপরও তিনি পাচ্ছেন কারণ বাড়িতে তিনি হাতি পালন করেন। সেদিন ছবিতে দেখলাম হাতি উঠোনে শুয়ে আছে। কালো মোচের আড়ালে সামান্য গর্বের মুচকি হাসি চাপার চেস্টা করেও ব্যর্থ হয়ে দাঁত বের করেই বললেন, অনেক খরচ, তারপরও শখ হলো তাই। এই পুরুষ ছেলেটি দৈনিক টুলবক্ষ মিটিংএর শেষ দিকে বলেন, থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ ভেরী মাচ, হ্যাভ এ নাইস ডে, থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ। আমরা সবাই তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি, এবং তার ‘‘থ্যাংক ইউ’’ লাইনটার দীর্ঘায়ু প্রত্যাশা কর্।ি তিনি এবারের টাকা দিয়ে ডেল এর ল্যাপটপ কিনবেন। কেনার ঠিক আগে আগে তিনি আমাকে আবার জিজ্ঞেস করবেন, কোন ব্র্যান্ড যেন? বলবো, ডেল। তিনি উত্তরে বলবেন, থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ ভেরী মাচ, হ্যাভ এ নাইস ডে, থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ। আল্লাহ পৃথিবীতে অনেক প্রজাতির পশু-পাখির পাশাপাশি অনেক প্রকারের মানুষও বানিয়েছেন বলে যেটা শোনা যায় সেটা সত্য।
রোজার জুবাহিবঃ পাইপিং ইঞ্জিনিয়ার। তার এখন একটাই কথা, প্রজেক্ট শেষ করেই তার মেয়েকে কোলে নিয়ে চুমু খাবে। সে দৈনিক তার মেয়ের ছবি দেখায় আর বলে, পারে (বন্ধু), দ্যাখোতে, আমার মেয়ের চোখ আর আমার চোখের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কিনা? আমি থাকলেও বলি ‘নেই’। ওনারও একটা চাপা কস্ট আছে। তিনি যাকে ভালোবাসতেন ২১ বছর আগের তুচ্ছ একটা ঘটনায় তাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তার সেই মানুষটার নামে তিনি দৈনিক ফেইসবুকে সার্চ দেন, পাননা, ঐ মেয়ের বোন, ভাই, মা- সবাইকে পাওয়া গেলেও তাকে পাওয়া যায়না। রোজার আমাকে বলেছেন, তিনি তাকে অনেক ভালোবাসেন। রোজারের বন্ধু সিক্সটো ভাবছেন, মেয়েটা মারাও যেতে পারে। এ ঈদে তিনি তার সব টাকা (১১,৯৯১ দেরহাম) তার আদরের মেয়ের নামে পাঠাবেন।
রহমানঃ ছেলেটা নকরি কোম্পানীর। কমন লেবার। রমজানের আগে থেকেই তলপেটে তার ব্যাথা। তিনি ডাক্তারও দেখিয়েছেন। ওষধে কাজ হচ্ছেনা বলে তার অভিযোগ এদেশের মানুষ দেখার ডাক্তার আর আমাদের দেশের মুরগি দেখার ডাক্তার সমান সমান। তার ছোট বোনকে একটা জানোয়ার সাথে বিয়ে দিয়েছে গত ৫ মাস আগে। ঐ জানোয়ারের হাত থেকে তার বোনকে আনার জন্য শালিশি মতে মেয়ে পক্ষের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপুরন দিতে হবে। চাকুরীর পাশাপাশি পেপসি বিক্রি করে নকরির ছেলেটা এ ৩ মাসে যা কামিয়েছেন সেগুলো এবার সবই বাড়িতে পাঠাবে। এরপর বোনকে ছাড়িয়ে এনে বাড়ির সবার সাথে ঈদ করাবে। কিন্তু ছোট্ট আর একটা কারনে তার এ কাজটা করা হয়ে ওঠেনি। তিনি ঈদের ৫ দিন আগে মারা গেছেন। তার স্ত্রীর সাথে তার রুমমেটরা মোবাইল ফোনে কথা বলতো। একপর্যায়ে তার স্ত্রী তার থেকে তার বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বেশি পছন্দ করা শুরু করে। এ নিয়ে রুমমেটদের সাথে রাতে কথাকাটাকাটি হলে ভোর রাতে লোকজন যখন সেহরি খেতে ওঠেন, দেখেন পাকিস্তানি ব্লকের সামনে মোবাইল হাতে ছেলেটি মরে পড়ে আছে। যতদুর জানি রুমের ৪ জনকে পুলিশ পরদিন এসে ধরে নিয়ে গেছে। আর একজন ঐ রাতেই পালিয়েছে।
আমিঃ আমার বেতনের খামটা আমার ভাইয়ার বালিশের নিচে রেখে এসে ইফতারির পরে গিয়ে বলেছি, পাশের রুমের হুমায়ুন ভাই যে ৩৯ ডেরহাম পেত ওটা দিয়েছি। আমরা ইউসুফগুলের বাবদ যে ৫ ডেরহাম পাবো ওটা উনি পরে দিবেন। অবশ্য ঐ ৫ ডেরহামে একটা হিসেব আমি মনে মনে করেও রেখেছি। সম্পার যে বান্ধবীটার সাথে সপ্তাহ ধরে কথা হচ্ছে , তার সাথে আরো তিনদিন কথা বলে মোট ২৫ মিনিট হলে হুমায়ুন ভাইকে বলে দিবো, পাওনা ৫ ডেরহাম দিতে হবেনা। মোবাইল বিল দিয়ে কাটাকাটি করে দেন। ভাইয়া যদি জিজ্ঞেস করে আমার মোবাইল থাকতে তুই হুমায়ুন ভাইর মোবাইল দিয়ে কথা বলতে গেলি কেন? মনে মনে বলবো, ঐ ৫ ডেরহাম দিয়ে আমি যার সাথে যেসব কথা বলেছি ওটার হিসেবতো আপনাকে দিতে পারতাম না। ’’
আসলেই পারতাম না। কারণ কাল দুপুরে হঠাৎ মেয়েটাকে ফোন দিলে সে বলে, ৩ দিন পরে আবার কি মনে করে?’’ বললাম, এম্নিতেই, ভাললাগছেনা তাই! মেয়েটা বলল, আর একটু লবন দিয়ে নিন, ভালো লাগতে পারে’’- এইরকম কথাবার্তার কাহিনীতো ভাইয়াকে বলা যায়না।
প্রায় ১৪/১৫ বছর আগে লবন ও ভালোলাগা সংক্রান্ত আদি প্রচলিত এ লাইনটা শুনেছি আমার চাচতো বোন লাকি আপার কাছে। উনার আর দুলাভাইয়ের প্রেম সংক্রান্ত গল্পে কি প্রসংগে যেন এটা বলেছিলেন। সম্পার বান্ধবীটাকে এমন পুরনো একটা লাইন শোনানোর জন্য ঐ দিন তাকে ৫ টা গুড দিয়েছি। তিনি বলেছেন এরকম গুড দিলে সে দৈনিক একটা করে সুন্দর লাইন বলবে। এরপর গুডের পরিমান ১০০ হলে সে আমাকে বিস্মিত করে আর একটা বহুল প্রচলিত চমকে দেয়া লাইন বলবে।
২ মাস হয়ে গেলো এখনো ৯৫টা গুড বাকী পরে আছে।
(মুলত এ লেখাটা বীথিকার জন্য লেখা না। ব্লগে দিবো করে। বীথিকার জন্য খুব শখ করে একটা গল্প লিখছিলাম। অসাবধানে সেটা ৮ পেইজ হয়ে গেলে বীথিকা কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি আবদারের সাথে বলি। তারা স্ট্রেট বলে দিয়েছেন, ৪ ফর্মার একটা লিটল ম্যাগাজিনে ৮ পেইজের গল্প ছাঁপানো সম্ভব না। পরে তাদেরকে আমার নানান কস্টের কথা বলি। মন নরম করার চেস্টা করি। বলি, আমিতো বিদেশ থাকি, মন ভালো থাকেনা, আপনারাতো দেশে থাকেন; মোবাইলে মিস কল পান, মন ভালো থাকে। গল্পটা ছাপা হলে অন্তত গোটা ২০ দিন আমি ভালো থাকবো।’’ তারা আবারো স্ট্রেট বললেন, ব্যক্তির মন ভালো রাখা-না রাখার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখলে ম্যাগাজিন কনটিনিউ করা সম্ভব না। ’’ আমি তাদেরকে আর কোন রিকোয়েস্ট না করে এটা লিখে ফেললাম এবং ভাবলাম, তাদের কথাই ঠিক। )