কাজের শেষে বাসায় ফিরে
ফ্রেস হতে, চেঞ্জ করেছি ড্রেস,
এখন আর নেইতো কাজের তাড়া
মনের মাঝে লাগলো ভারি বেশ।
ক্লান্ত দেহে সোফায়; গা এলিয়ে বসি
যদি চায়ের চুমুক দিতে পারি কাপে,
ক্ষণ যেতেই মুদে এলো চোখ
এক নিমিষেই হারাই স্বপ্নলোকে।
ফুলে-ফলে ভরা, হরেক রকম পাখি
আর কতোনা সবুজ পাতারাজি,
কি যে তার অপূর্ব সেই রূপ
শরীর ভেজে ঝর্ণা জলে আজি।
ভাবতে গায়ে আনন্দের ঢেউ তোলে
খুশিতে নাচে আমার অবুঝ বুক,
এসেছি নাকি স্বর্গলোকে বুঝি
হৃদয় জুড়ে অনুভুতির সুখ।
গোলাপ ফুলে ভরা চারিধার,-
সুগন্ধে তার মন মাতোয়ারা,
নানা রঙের গোলাপ ফুলের মাঝে
গোলাপীটার রূপে দিশেহারা।
একটি ফুলের ঘ্রাণ নিতে
দ্রুত এগিয়ে গেলাম কাছে,
রূপের ছটায় মুগ্ধ দুনিয়া
স্বপ্নে হারাই বিভোর হয়ে পাছে।
ঘ্রাণ নিচ্ছি, ঘ্রাণ পাচ্ছি
পাচ্ছি ঘ্রাণ, নিচ্ছি ঘ্রাণ,
ঘ্রাণ পাচ্ছি, ঘ্রাণ নিচ্ছি
নিচ্ছি ঘ্রাণ, জুড়ায় প্রাণ।
আবেগ ভরে আলতো করে-
হাত বাড়িয়ে ধরতে গেলাম যেই;
আচমকা হাত লাগলো কারো বুকে
শরীর ভেজে অজানা শিহরনেই।
ভেঙে অলসতা এক ঝটকায়
শরীর থেকে ছুটলো ঘুমের জট,
তাকিয়ে দেখি আমার ঠোটের উপর
পাতলা সরু লাল গোলাপী ঠোট ॥
তাং : ১১.০৭.২০২১ ইংরেজি, মডেল টাউন, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৯