অথচ গতকাল খেলা শেষ হতে না হতেই একের পর এক এস এম এস আসতে থাকলো। নানা প্রকার ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে এস এম এস গুলো বৃষ্টির মতো আসতে থাকলো। পরে ভয়ে রাত ১২ পর্যন্ত মোবাইল বন্ধ করে রাখলাম।
গত রাতে গিয়েছিলাম মিরপুর, সেখানে ১০নং মাঠে খেলা দেখে বাসায় ফেরার পথে দেখলাম কিছু ছেলেপেলে বেশ কিছু মোটরবাইক ও গাড়ি নিয়ে আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে উল্লাস করছে। আমি খুবই অবাক হলাম। ওরা কি নিয়ে উল্লাস করছে? ওরাতো নেদারল্যাল্ডের জয়ের জন্য উল্লস করছে না।
উল্লসিত হবার কারন ব্রাজিলের হার। অবাক হবার মতো ঘটনা। নিজের দলের জয় না হওয়া কোনো কারন নেই, অন্যের দল হারার কারনে উল্লাস? অন্যের ক্ষতি দেখে উল্লস? আমার যে জাতি হিসাবে কতটা অবিবেচক হয়ে গেছি এটা তার আর একটা উদাহরন।
এটা দুক্ষজনক অন্যের হার হওয়াতে আমারা উল্লসিত হয়। অন্যের ক্ষতিতে আমরা আনন্দ পাই। হায়রে আমাদের বিবেচনা... হায়রে আমাদের বুদ্ধি.... হায়রে আমাদের মনমানসিকতা....
এখন অন্যের পরাজয়ে আমার উল্লসিত হই। যদিও সেই পরাজয়ে আমাদের বিন্দু মাত্র কিছু আসে যায় না। ব্রাজিলের পরাজয়ে আর্জেন্টিনার আজকের খেলার কি কিছু আসে যায়?
এই ধরনের মাত্রাহীন, কান্ডজ্ঞানহীন উল্লাসের ঘটনা দেখে মনে হলো, ম্যরাডোনা নাকি বলেছেন আর্জেন্টিনা জয়ী হলে বুয়েনয়ার্য়ের্সের রাস্তায় নাকি নগ্ন হয়ে দৌড়াবেন। সেটা তো তার বিজয়ের আনন্দের জন্য, তার খুশির হবার কারনে নগ্ন দৌড়....
তা হলে কি আমি আজ আর্জেন্টিনা হেরে গেলে ঢাকা শহরের মধ্যে দিয়ে নেংটা হয়ে দৌড়াবো.... এই খুশিতে যে, যা শালা আর্জেন্টিনাও ধরা খাইল....
আফসোস... আফসোস... আফসোস.... আমাদের বিবেক বুদ্ধি লোপ পাচ্ছে।
আজ পত্রিকায় পড়লাম। কয়েক জায়গায় নাকি গাড়ি ভাংচুর হয়েছে। দুক্ষ জনক ঘটনা। আমরা জাতি হিসানে কতটা যে, হুজুগে হয়ে পরেছি এটা তার একটা নমুনা। অন্যদেশের পতাকা উড়ানো নিজের জন্য কতটা যে, নিন্ম মনমানসিকতার পরিচয় সেটা আমারা ভূলে গেছি। গত ১ মাসে সারা দেশে যে পরিমান বাজাতীয় পতাকা উড়েছে তার সিকি ভাগ পতাকাও মনে হয় আমাদের মহান বিজয় দিবসে উড়ানো হয় না। বড়ই আফসোস।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:৩০