somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তিযুদ্ধে মহুরী চাচার পরিবার

০৯ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
এপ্রিলের মাঝামাঝি একদিন বিকাল বেলা মহুরি চাচা তিন ছেলে মেয়েসহ পুরো পরিবার নিয়ে এসে হাজির। চাচার ছোট ছেলে ঘ্যান ঘ্যান করে কাঁদছে। চাচার মাথায় ছালার বস্তা। বড় ছেলের হাতে দুইটি বাচ্চাসহ রাম ছাগল। চাচার বড় মেয়ে আইভি আপার বগল তলে মাঝারি সাইজের একটা ব্যাগ। চাচীর কাঁকালেও একটি কাপড়ের পোটলা। একটি পরিবার দেশান্তরি হলে নাটক সিনেমাতে যে অবস্থা দেখে থাকি ঠিক চাচাদের পুরো পরিবার যখন আমাদের বাড়িতে পৌঁছেছিল তখন ঐরকমই দৃশ্যটি ছিল।

মহুরি চাচা আমার আপন খালুর ছোট ভাই। রংপুর শহরে বসবাস করতেন। খালু সবার বড় ছিলেন। রংপুর জেলা জজকোর্টের সিনিয়র উকিল এ্যাডভোকেট নেসার আহমেদ উকিল আমার খালুর মেজো ভাই। মহুরী চাচা সবার ছোট।

চাচাতো ভাইবোনগুলোর চোখ মুখ শুকিয়ে আমচুর হয়ে গেছে, শুকনা মুখ নিয়েই তিন ভাইবোন আমাদের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। তারা যে ক্ষুধার্ত এবং ক্লান্ত তা তাদের শুকনো চোখ মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমাদের প্রতি তাদের ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকার কারণ হলো-- মহুরী চাচা আমাদের বাড়িতে মাঝে মাঝে যাতায়াত করলেও এই চাচাতো ভাইবোনগুলো কখনো আসে নাই। আমাদের বাড়ি থেকে রংপুর শহর শত মাইল দূরে হওয়ায় তাদের বাসায় একমাত্র বাবা ছাড়া আমাদের কারো যাতায়াত ছিল না। যে কারণে বাবার সাথে পরিচয় থাকলেও আমাদের সাথে পরিচয় ছিল না। প্রথম দেখায় তারা বুঝতে পারছিল না কাকে কি বলবে। অচেনা অজানা অবস্থায় কিছু বুঝে উঠতে না পেরে আমাদের বাড়ির লোকদের মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়েছিল।

চাচী ছেলে মেয়ে নিয়ে উঠানে দাঁড়ানো ছিল, এ অবস্থায় মা চাচীকে ঘরে গিয়ে বসতে বললে চাচী কোন কথা না বলে সরাসরি ঘরে ঢুকে খালি চৌকির উপর সটান শুয়ে পড়ে। কতটা ক্ষুধার্ত আর ক্লান্ত হলে একটা মানুষ প্রথম প্রথম আত্মীয়ের বাড়ি এসেই খালি চৌকির উপর ধপাস করে শুয়ে পড়তে পারে তা সেই সময়ের পরিস্থিতি না দেখলে বিশ^াস করা কঠিন।

আমাদের হাঁড়িতে সবসময় দুই একজনের ভাত বাড়তি থাকতো। এই নিয়মটি শুধু আমাদের বাড়ি নয় তখনকার বেশির ভাগ গৃহস্থ বাড়িতেই হিসাবের চেয়ে বেশি ভাত রান্না করতো। তখনকার সময় এখনকার মতো যোগাযোগ করার জন্য আধুনিক কোন প্রযুক্তি ছিল না। কোন মেহমান কারো বাড়ি বেড়াতে আসলে হুট করেই চলে আসতো। অসময়ে মেহমান আসার সাথে সাথে কোন গৃহস্থ বাড়ির বউঝির পক্ষে তৎক্ষণাত রান্না করে খাওয়ানো সম্ভব হতো না। গৃহস্থ বাড়ির বউঝিদের উপর প্রচুর কাজের চাপ থাকতো। তারা কাজের চাপে ফুরসত নেয়ার সময় পেত না। সেই কারণে গৃহস্থ বাড়িতে সব সময় বাড়তি ভাত রান্না করা হতো যাতে রান্না করা বাড়তি ভাত দিয়ে মেহমান বা অতিথ মুসাফিরদের খাওয়ানো যায়। দুপুরেই আমাদের খাওয়া দাওয়া শেষ হয়েছে। তবে বাড়তি কিছু ভাত হাঁড়িতে থাকলেও কোন তরকারি ছিল না। মা তাড়াতাড়ি কিছু মুড়ি তিন ভাইবোনকে খেতে দিলে তারা গোগ্রাসে সেই মুড়ি খেয়ে নেয়।
আমাদের ঘরে অনেকগুলো হাঁস মুরগী থাকায় দুই এক হালি ডিম সবসময় থাকতো। মা মাচা থেকে সেই ডিম এনে ভেজে চাচীকে খেতে দিলে চাচী বলল, বুবু, আমাকে দেয়া লাগবে না, পাতিলে যা আছে তা আপনি আমার ছেলে মেয়ে তিনটাকে ভাগ করে দেন, ওরা দুই দিন হলো না খাওয়া।

হাঁড়িতে যে ভাত ছিল গ্রামের হিসাবে দুইজনের হলেও শহুরে লোকেদের তিন চার জনের খাবার। মা ভাতগুলো তিনজনকে সমান ভাবে ভাগ করে দিলে তারা পেট ভরে খাওয়ার পরও কিছু ভাত বেচে যায়। মা অবশিষ্ট ভাত চাচীকে খেতে দিলে, চাচী ভাতে পানি দিয়ে কাঁচা মরিচ আর ডিম ভাজা দিয়ে খেয়ে নেয়। তিন ভাইবোনসহ চাচীর ভাগ্যে ভাত জুটলেও মহুরী চাচার ভাগ্যে ভাত জুটল না, মা মহুরী চাচার জন্য কিছু মুড়ি পানিতে ভিজিয়ে দুধের সাথে গুড় দিয়ে খেতে দিলেন, চাচা দুধ মুড়ি খেয়েই শত মাইল পায়ে হেঁটে আসা ক্লান্ত দেহ কাচারী ঘরের চৌকিতে এলিয়ে দিলেন।

মজার ব্যাপার হলো-- মহুরী চাচা রংপুর থেকে পাক্কা তিনদিন শত মাইল পথ পায়ে হেঁটে শুধু পরিবার নিয়ে আসে নাই সাথে দুইটা বাচ্চাসহ রাম ছাগলও এনেছেন। বাড়ি ঘরের মায়া ত্যাগ করলেও রাম ছাগলের মায়া ত্যাগ করতে পারেন নাই। এতো কষ্ট করে আনা চাচার রাম ছাগল দেখে অনেকেই টিটকারী করতে ছাড়লেন না। যেখানে নিজেদের জীবন বাঁচানোই দায় সেখানে ছাগল নিয়ে আসাটা কেহই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারে নাই। তাদের কথা হলো-- যদি রাস্তায় খান সেনাদের সামনে পড়তো তখন এই পরিবারের কি অবস্থা হতো। ছেলেমেয়ের জীবন বাঁচাতো না ছাগল রক্ষা করতো! কিন্তু চাচার কথা হলো বাড়ি ঘরে তালা দিয়ে এসেছি, থাকার মতো কেউ নাই, আসেপাশের বাসায়ও কোন লোকজন নাই, ফাঁকা বাড়িতে এই ছাগল কার কাছে রেখে আসবো, ছেড়ে দিয়ে আসলে কোথা থেকে কোথায় যায় কে দেখবে। সেই চিন্তা করেই ছাগল সাথে নিয়ে এসেছি।

তবে কষ্ট হলেও চাচা ছাগল এনে ভালোই করেছেন। শত মাইল পথ হেঁটে ছাগল আনাটা তাদের অনেক উপকারেই লেগেছে। আমাদের যেহেতু গ্রামের বাড়ি। চারদিকে ঘাসের অভাব ছিল না। কাঁচা ঘাস খেয়ে এই ছাগল এক দেড় সের দুধ দিতে লাগল। আমাদের ছাগলের সাথেই গোয়াল ঘরে রাখা হতো। সকাল হলেই চাচী ছাগলের দুধ দহন করতো। আমরা না খেলেও ওরা তিন ভাইবোন তৃপ্তিসহকারে খেত ।

আইভি আপা সবার বড় ছিল। তখন তিনি ক্লাস এইটের ছাত্রী ছিলেন। তার ছোট এনায়েত, এনায়েত আমার সমবয়সি এবং ক্লাস সিক্সে পড়তো। সব ছোট ছিল বেলায়েত, সে তখন ক্লাস ফোরে পড়তো।

প্রথম দুই একদিন ইতস্তত করলেও একটা সময় তারা আমাদের পরিবারের সাথে পুরোপুরি মিশে গেল। সারাদিন তিন ভাইবোন আমাদের সাথেই হৈহুল্লোড় করে সময় কাটায়। এনায়েত বেলায়েত আমার সাথেই মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়াতো। গাছে উঠে আম পেরে খাওয়াসহ গ্রামের কোন কিছুই বাদ দিত না। আইভি আপা বেশ গল্পবাজ ছিল, সন্ধ্যা হলেই উঠানে বসে আমাদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনে কিচ্ছা কাহিনীমূলক গল্প বলতো। তারা কয়েক দিনেই শহুরে পরিবেশের কথা ভুলে গিয়ে গ্রামের পরিবেশে সাথে বেশ খাপ খাইয়ে নিল।
চাচা পরিবার নিয়ে আসার সময় দুইরাত অন্য মানুষের বাড়িতে রাত কাটিয়েছে। প্রথম রাতে একজন তাদেরকে ঘরে থাকার ব্যাবস্থা করলেও পরের রাতে তারা যে বাড়িতে ছিল তাদের বাড়তি কোন ঘর না থাকায় বারান্দায় ঘুমাতে দিয়েছিল। খোলামেলা বারান্দায় চাটাইয়ের উপর তিন ভাইবোন ঘুমালেও চাচা চাচী সারা রাত বসে বসে নির্ঘুম কাটিয়েছেন। কারণ, আইভি আপা তখন বিবাহযোগ্যা হয়েছে। দেখতেও যেমন ফর্সা তেমন সুন্দরী। দুই ছেলে নিয়ে চাচার তেমন চিন্তা ছিল না, কিন্তু আপার চিন্তায় চাচা চাচী ঘুমাতে পারেন নাই, একে তো অচেনা অজানা জায়গা, তারোপর দেশের ভয়াবহ অবস্থা, এই অবস্থায় যদি কিছু একটা অঘটন ঘটে যায় তখন এই ক্ষতি জীবনেও শুধরানো যাবে না। মানুষ কতটা বিপদে পড়লে নিজের পাকা ঘরবাড়ি ফেলে বিবাহযোগ্যা মেয়ে নিয়ে অচেনা অজানা মানুষের বারান্দায় রাত কাটাতে বাধ্য হয়, তা সেই সময়ের দৃশ্য না দেখলে বোঝা মুশকিল।

রংপুর শহর থেকে বের হয়ে পুরো রাস্তায় চাচা যেমন অসহায়ত্ববোধ করেছিলেন, আমাদের বাড়ি আসার পরে তার সেই অসহায়ত্ববোধ কেটে সুস্থ্যবোধ করতে লাগলেন। আর কিছু না হোক ছেলে মেয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে না। এই এলাকায় যত বিপদই আসুক না কেন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো আত্মীয় স্বজন এখানে আছে। আমরা ছাড়াও চাচার নিজস্ব কিছু অত্মীয়স্বজন চর এলাকায় ছিল। মহুরি চাচা সেই ভরসাতেই রংপুর শহর ছেড়ে এখানে এসেছেন।

মহুরি চাচা আমাদের বাড়িতে প্রায় দুই সপ্তাহ থাকলেন। তার ধারণা ছিল খুব তাড়াতাড়িই হয়তো দেশের এই সমস্যার সমাধান হবে এবং আমাদের বাড়ি থেকেই তিনি আবার রংপুর ফিরে যাবেন। কিন্তু দিন দিন যখন দেশের অবস্থা ভয়াবহ হতে লাগল, ফুলছড়ি থানাতেও আর্মি চলে আসলো তখন তিনি আর আমাদের বাড়িতে থাকা নিরাপদ মনে করলেন না। তখন একমাত্র নিরাপদ ছিল ব্রহ্মপুত্র নদীর চর এলাকা। চাচীসহ ছেলেমেয়েদের নিয়ে তিনি নদী পারের এক আত্মীয়ের বাড়ি চলে গেলেন। সেই বাড়িতে রাত থেকে সকাল বেলায়ই দেখি তিন ভাইবোন এসে হাজির। তাদের দেখে মা জিজ্ঞেস করল, তোমাদের মা কই?। আইভি আপা বলল, মা আসে নাই আমরা এসেছি। ওই বাড়িতে আমরা থাকবো না, খ্যাতা দিয়ে বিশ্রি গন্ধ, সারা রাত তিন ভাই বোন খ্যাতার বোটকা গন্ধে ঘুমাতে পারি নাই। আমরা ওখানে আর যাবো না, আমরা আপনাদের এখানেই থাকবো। মা একটা হাসি দিয়ে বলল, ঠিক আছে থাকো।

শহর এলাকায় জন্ম এবং শহর এলাকায় বেড়ে উঠার কারণে গ্রামের ছেঁড়া কাঁথার সাদামাটা পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারছিল না। দেশের পরিস্থিতি পরিবেশের কারণে চাচা চাচি বিষয়টি মেনে নিলেও ছেলেমেয়েদের পক্ষে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল। চাচা চাচী দেশের অবস্থা বুঝানোর চেষ্টা করলেও তারা বুঝতে চাচ্ছে না। তবে আমাদের বাড়িতে এসে তারা সেই সমস্যাটা উপলব্ধি করে নাই। কারণ আমরা সব ভাইবোন স্কুল কলেজে লেখাপড়া করতাম। আমাদের পরিবেশটা ছিল গ্রামের অনেক বাড়ি থেকে একটু আলাদা। শহরের মতো চাকচিক্য না থাকলেও অবজ্ঞা করার মতো পরিবেশ ছিল না। যে কারণে তারা অন্য বাড়ির পরিবেশ মেনে নিতে না পারলেও আমাদের বাড়ির পরিবেশে থাকতে স্বাচ্ছন্দবোধ করতো।

মহুরী চাচা ওদেরকে ঐ বাড়িতে নেয়ার জন্য খুব চেষ্টা করল কিন্ত তিন ভাইবোন কিছুতেই রাজি হলো না। ছেলে মেয়েরা ঐ আত্মীয়ের বাড়িতে না যাওয়ার কারণে দু’দিন পরে চাচা চাচী নিজেরাই আবার আমাদের বাড়ি চলে আসল। আমাদের বাড়িতে আরো দু’দিন থেকে পুরো পরিবার নিয়ে খোলাবাড়ির চরে চাচীর বাপের বাড়ি চলে গেলেন এবং সেখানেই যুদ্ধের নয় মাস কাটিয়েছেন।

মহুরী চাচা আমাদের বাড়ি থেকে চলে গিয়ে ভালই করেছিলেন। চাচা চলে যাওয়ার তিন চার দিন পরেই আমাদের গ্রামে পাাক সেনারা হামলা চালায় এবং পর পর দুইদিন হামলা করে সাতজনকে ধরে নিয়ে যায়। চাচারা যদি থাকতো তাহলে এই পরিস্থিতিতে তারাও যেমন বিপদে পড়তো তেমনি আমরাও বিপদে পড়তাম। কারণ পাকসেনাদের আক্রমণে আমরা নিজেরাই ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলাম, ঐসময় আমাদেরও আশ্রয় নেয়ার জায়গা ছিল না। ছোট ফুফুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। তার বাড়িতে বাড়তি কোন ঘর ছিল না। বাধ্য হয়ে ফুফুর রান্না ঘরে শুয়েই রাত কাটাতে হয়েছে। এই অবস্থায় যেখানে আমাদেরই থাকার জায়গা ছিল না সেখানে তাদের জায়গা দেয়াটা আরো সমস্যা বাড়িয়ে দিত।

(ছবিঃ ইন্টারনেট)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
[/সব

আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তার চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না, তবুও

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২



শেখ হাসিনার নাকি বায়ক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। শেখ মুজিবের বেয়ে নাকি দুর্নীতি করতে পারে না। সে এবং তার পরিবার যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনভুতে বিশ্বাসী বাংগালী ও ঢাকায় ৫০ হাজার ভারতীয় একাউন্টটেন্ট

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩




ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪



আমাদের গ্রামের খুবই সুশ্রী ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×