ভাঙন রোধে মাটি কাটা যন্ত্র
ছবি ০২
নদী ভাঙন রোধে নৌকা থেকে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
ছবি ০৩
বস্তায় বালু ভরানো হচ্ছে।
ছবি-০৪
নদী ভাঙন রোধে বেকু ব্যবহার করা হচ্ছে।
ছবি-০৫
বস্তায় বালু ভরা হচ্ছে।
ছবি ০৬
বস্তায় বালু ফেলার দৃশ্য।
ছবি-০৭
নদী ভাঙনের ভয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ির গাছ গাছালি কেটে ফেলা হচ্ছে।
ছবি-০৮
নদী ভাঙনের ভয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ির গাছ গাছালি কেটে ফেলা হচ্ছে।
ছবি-০৯
ভাঙন কবলিত যমুনা নদীর পারেই বাড়ি।
ছবি-১০
নদীর কোল ঘেষে বাড়ি।
ছবি-১১
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের বর্তমান অবস্থা।
ছবি-১২
উপায় নেই কাছেই নদী। নদী ভাঙনের আগেই গাছ কাটা দরকার, যাতে নদীর কবলে জমি গেলেও গাছ গাছালি না যেতে পারে।
ছবি-১৩
বস্তা ফেলে নদী ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করলে কি হবে, নদীও বসে নেই, ধীরে হলেও সে তার কাজ ঠিকই করে যাচ্ছে।
ছবি-১৪
চারিদিকে পানি তাই দুরে থেকে নৌকা বোঝাই করে বালুর বস্তা আনা হচ্ছে।
ছবি-১৫
এ বাড়িটি নদী থেকে একটু দুরে হলেও ভয়ে আছে, তাই আগে ভাগেই গাছ কেটে ঝামেলা কমিয়ে ফেলছে।
ছবি-১৬
অনেক লোক নদী ভাঙন দেখতে দুর দুর থেকে চলে আসে, গলা শুকিয়ে গেলে কি খাবে? তাই ভ্রম্যমান রুটি বিস্কুটের দোকান।
ছবি-১৭
বাঁধের পশ্চিম পাশে কুঁদলী বিল পূর্ব পাশে যমুনা নদী।
ছবি-১৮
নদী ভাঙন দেখতে আসা কিছু মানুষ।
ছবি-১৯
সাইকেলে গ্রামে ঘুরে ঘুরে হাঁস মুরগীর ডিম কিনতে এসেছে। নদীর পারে এসে সেও থ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে।
ছবি-২০
নৌকা থেকে বালু নামানো হচ্ছে।
ছবি-২১
নদী ঠেকানোর জন্য বালু দিয়ে বালির বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।
ছবি-২২
বর্ষাকাল নদী ভাঙনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে? সারা বছর তো আর আষাঢ় মাস থাকে না? আষাঢ়ের মাছের স্বাদই আলাদা, এই স্বাদ অন্য মাসে পাওয়া যাবে না তাই ছোট্ট তরী নিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে।
ছবি-২৩
নদীর পারে স্থায়ী দোকান দেওয়া সম্ভব নয়, যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে, তাই বালুর বস্তার উপর বসে রুটি বিস্কুট খাওয়ার ব্যবস্থায় ছেলেটি নিয়োজিত। অবশেষে এই নিবেদিত প্রাণ ছেলেটির কাছ থেকে দশ টাকার বিস্কুট আর ফ্রি পানি খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে নদী ভাঙনের জ্বালা বুকে নিয়ে চলে এলাম।
জ্বালার কারণ হলো, রুটিওয়ালা ছেলেটির ঠিক কয়েক শ' গজ পূর্ব পাশেই আমার বাপ দাদার বাড়ি ছিল এবং আমার জন্মস্থান। কয়েক বছর আগেই বাড়িটি নদীর কবলে চলে গেছে। এখন শুধু পানি আর পানি। শৈশব কৈশরের কথা মনে হলে ঘরবাড়ি না থাকলেও মাঝে মাঝে এসে পানি দেখেই মনের জ্বালা মিটিয়ে যাই। আজকেও এসেছিলাম সেই জ্বালা মিটাতে এবং মিটিয়ে গেলাম।
ভাঙন রোধের নামে অসময়ে কোটি কোটি টাকা পানিতে ফেলা হচ্ছে। অথচ শুকনার সময় অনেক কম খরচ করেও এর চেয়ে অনেক বেশি প্রতিরোধ ব্যবস্থা করা যেত। শুকনার সময় কাজ না করার কারণও আছে, শুকনার সময় এই কাজটি করলে বেশির ভাগ টাকা নদীর পেটে যেত, তাতে নদীর পেট ভরতো নদীর ক্ষুধা কমে যেত ভাঙন রোধ হতো, কিন্তু মানুষের পেটের ক্ষুধা মিটতো না। এখন নদী সে সুযোগ পাবে না, কারণ এক বস্তা বালু ক্ষুধার্ত নদীর পেটে ফেলা হলে বিনিময়ে বিশ বস্তা মহা ক্ষুধার্থ তদারককারী মানুষের পেটে যাবে। এতে নদী ভাঙন বন্ধ না হলেও মানুষের পেট মোটা হবে।
নদী ভাঙনে আস্তে আস্তে গ্রামকে গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে। সাথে সাথে আমার ভাগ্যও বিলীন হয়ে গেছে। যেখানে আমার বাবা এই গ্রাম থেকে হাজার মণ ধান পেত সেই গ্রাম থেকে আমি এবছর এক ছটাক ধানও পাইনি।
ছবিগুলি গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত সিংড়িয়া গ্রাম থেকে তোলা।
ছবিগুলো তুলে ছিলাম গত ১৪/০৬/২০১৫্ইং রবিবার দুপুর সময়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫