ইস্যু ভরা সমাজ আমার এই তো সোনার বাংলার
ইস্যুর সাথে জ্ঞানের হেথায় নিত্য সোনার সংসার
নিত্য নতুন ইস্যু ওঠে , ইস্যু যায় পড়ে
জন্ম থেকে দেখছি বাঁধা ইস্যুর বাহুডোরে
কথার পরে কথা কত , কতই আহাজারী
এখানে তাই ইস্যুর বন্যা ভীষন দরকারী !!!!!!!
কবিতার মত বাক্য কখানা আরও অগ্রসর হতেই পারত। আটকে দিলাম। আমার তৈরী বাক্য , আমার ইচ্ছে। কিন্তু আর বাকী চৌদ্দ কোটি নিরাব্বই হাজার নয়শত নিরানব্বই ( ধরেই নিলাম, এ দেশে ধরে নেয়া যায় খুব সহজেই, পরিসংখ্যান খুবই সফসটিকেটেড) জন হিউম্যানের মন বা মস্তিষ্ক প্রসূত বাক্য আটকে দেয়ার ক্ষমতা আমার কেন সকল মানবেরই মহা অসাধ্য এক ব্যাপার। তা না হলে আটকে দেয়া যেত। নিত্য নতুন আবির্ভুত ইস্যু অথবা ইস্যুর চক্র যাত্রার সুবাদ বা কু বাদে তাহলে আর টিভি , পত্রিকা , সেমিনার , সিম্পোজিয়াম, গোল টেবিল বৈঠক এর সংলাপ, আলাপ, প্রলাপ কিংবা জ্ঞাবিলাপ(জ্ঞান বিতরণী আলাপ) আসরে দেখে দেখে চক্ষুর দর্শন ক্ষমতা কুলষিত বা দুর্বল করার অনৈচ্ছুক প্রয়োজন হতো না।
সবাই বলে , বলত আগেও। আজকাল একটু বেশী বলে। এই ব্লগেও বলে ( মানে লেখে আর কি) । এত জ্ঞান আমার এই সোনার বাংলায় , কিন্তু আমরা নির্জ্ঞান ফলপ্রাপ্ত। ইকুয়েশন মেলেনা। মন আর মস্তিষ্ক মাঝে যে অল্প সল্প জ্ঞান নামক উপাদান কালের পবন আগ্রাসে জমে গেছে তা যেন বার্ডেন হয়ে ওঠে। আমি কিছু বলবনা, কিন্তু তারপরও বের হয়ে আসে সেই জ্ঞান নামক জঞ্জালের চাপে, যেমন অভ্যন্তরীন বায়ু নিম্ন পায়ু পথে বেশী ণ আটকানো যায়না। তবুও চেষ্টা তো করা যায়। শব্দটাকে তো নিয়ন্ত্র ন করা যায়। গন্ধ টাকে যে যাবেনা , সেটা সত্য ।
একটু পেছনে তাকাব,
আজ থেকে বছর খানেক আগে এক বন্ধুর সাথে তর্ক হচ্ছিল। একটু বলা প্রয়োজন, বন্ধুটি ১১ই জানুয়ারীর অপ্রত্যাশিত প্রত্যাশিত ঘটনার বিশেষ সমোঝদার বা কদোরদার ছিল ( বর্তমান তার মানসিক অবস্থান জানা হয়নাই, যোগাযোগ কম)।
স্বভাবতই সুশীলীয় ( টিভি খুললেই , যে কোন চ্যানেল যে কোন সময়, বুঝবেন সুশীলীয় তর্ক কাহাকে বলে) তর্কখানার বিষয়ই ছিল ঐ ব্যাপারে।
এক পর্যায়ে আমি একটা উদাহরণ দিচ্ছিলাম। ও হেসে উড়িয়ে দিচ্ছিল। উদাহরণটা আবার এখানে আপনাকে উদ্দেশ্য করে দেই, খেয়াল করে।
তার আগে একটা সামঞ্জস্য পূর্ণ ছোট সত্য ঘটনা।
আমার পরোলকগত পিতা যে বাড়ী খানা এই ইট পাথুরের জঙ্গলে আমার থাকার জন্য উপহার দিয়ে গেছেন, সেই বাড়ী খানা বানানোকালে এর দক্ষিণ পার্শ্বে মাটি খোড়া হচ্ছে। পিলার বানানো হবে। যতই খোঁড়া হয় শক্ত মাটি আর বের হয়না। কারন কি?--- গোবর। বেশ অনেক খানি জায়গা জুড়ে কেবল গোবর আর গোবর মানে গরুর বিষ্টা। উপর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। নিচে গোবর আর গোবর। খুড়তেই গন্ধ ছড়াতে লাগল। ঐ জমির পূর্ব মালিক কোন এক সময় জেলে ছিলেন। তার স্ত্রী সেই দুর্যোগ কালীন সময়ে শুনেছি মাটি বেঁচেও সংসার চালিয়েছেন। ফলে তাদের পালিত গুরুও গোবর গুলো সেই মাটির শূণ্যস্থান ভরাট করার কাজে লেগেছে। শোনা কথা। সে যাই হোক। গোবর যখন পাওয়া যেতেই লাগল। উপায় নেই গোবরের বংশ নির্বংশ করতেই হবে। ভিত্তি গড়ানো হবে বাড়ীর। সোজা কথা। খুড়তে খুড়তে বিশাল এলাকা শূণ্য হলো। ফলে শক্ত গাছের লম্বা লম্বা গুড়ি কিনা হলো, দেয়া হলো পাইলিং। যাক সেই ভিত্তির উপর ঠিক সেই বরাবর তিনতলা উপরে বসে এই লেখা এখন লিখছি। টলছেনা বাড়ি।
সেই উদাহরণ টা শুনন। ধরুন। আপনি গরু পালেন। গরু পাললে গোবর হবেই। সেগুলো তো আপনার গরু পালার ইয়ার্ডে এক স্থানে জড়ো করতেই হবে।করলেন পারিপার্শ্বিক রোদে চাপে উপরটুকু শুকনো থাকে। নিচের কাঁচা গোবর দুর্গন্ধ ছড়ায়না তাই আর। কোন কারনে গরু পালকের পদ হতে আপনি পদচ্যুত হলেন। স্থানটিও হারালেন। নতুন পরিচালক আপনার গরু সব বেঁচে দিল। এখন গোবর তো সরাতেই হবে। আপনি হলেন সুশীল চালক। বেলচা এনে , একদল লোক নিয়োজিক করে দিলেন। আর তারপর যেই তারা বেলচা চালাল। সে কি ভংকর দুর্গন্ধ। টেকায় যায়না এলাকায়। আপনি আশেপাশের সকলকে বললেন, সুন্দর পরিষ্কার স্বচ্ছ পরিবশের জন্য একটু কষ্ট তো করতেই হবে। খুবই ভাল। কিন্তু গোবরের আধিক্য এত বেশী , শেষই হয়না। এবং সব গোবর সরানো আসলেই সম্ভব হলোনা। গন্ধ ছড়াতেই লাগল।
কোন কাজ না করার চেয়ে আধা খেচরা( সাতরিার আঞ্চলিক ভাষা) করে করা ভীষণ নেতিবাচক।
বুঝলেন, এত বছরের জঞ্জাল , সব যদি সরানো যেত , নির্মল পরবিশে আর সমাজ অবশ্যই হতো। কিন্তু এখন যে গন্ধ বের হচ্ছে। আর সবটুকু গোবর না সরিয়ে এভাবে রেখে দিচ্ছে ...কি হবে ?
আমার বন্ধুর সাথে আমি পারিনি তর্কে। পেসিমিষ্টিকরা একটু দুর্বলই হয়। আমিও যে তাই। আমার কথা যেন সত্যি না হয়।
সবটুকু গোবরই দূরীভূত হোক। বাংলাদেশ সত্যিকারের সোনার বাংলা হবে। আশা করা যায় কি?
এবং তারপর আবার সেই শক্ত পাইলিং ও কিন্তু দিতে হবে। না হলে শক্ত ভিত হবে না। আর পুরানো ভিত সব তো শত টুকরো হয়ে গেছে কবেই।
সকালে ব্লগে কবিতায় পড়লাম, চুতিয়া বাংগালী, আরও তো অপ বিশেষন আছে-- বারো চোদা জাতি, আবাল জাতি, ভিখারী জাতি। আসলে কাকে দিচ্ছি গালি। সে গালি যে গায়ে লাগে আমারই।
আসলে এত কথা আমরা কেন বলি ? সে কথার আধিক্য যে খেয়ে ফেলে সম্পাদিত সামান্য সুকর্মটুকুও।
২৫/০৪/০৮