আজ তোমাকে বসন্তরাণীর মত লাগছে
নব জোয়ারে তুমি আজ পরিপূর্ণ -
তোমার খোঁপায় রাঙা জবা
কানে বিচিত্র কারুকার্য-খচিত কাঠের দুল
গলায় সদ্য কেনা বকুল ফুলের মালা
আর তোমার চারপাশে অপার্থিব এক
মাদকতাময় সুগন্ধ !
তোমার পেলব-নরম সুন্দর হাত দুটি ধরতে
আজ খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো !
কিন্তু সাহস করে বলে উঠতে পারিনি ।
তোমার প্রতি পদক্ষেপে নূপুরের সুরে
আমি বারবার হেরে যাচ্ছিলাম
এক দুর্বার আকর্ষণের দিকে !
আমরা হাঁটছি –
চারদিকে সবুজ আর নীল ।
রাস্তার দুপাশে মেহগনির সুউচ্চ
শাখা গুলো উর্ধ্বমুখী-
আকাশের ঐ শুভ্র-নীলা ছুবে বলে ।
আর বসন্তের মৃদু-হাওয়ায় তোমার খোলাচুলের
ঐ এলোমেলো ঝাপটা পড়ন্ত বিকেলের
সূর্য কিরণের মতো আমাকে ছুয়ে দিচ্ছে !
আমি আবারো তোমার ঐ নগ্ন হাতে হাত
রাখার এক দুর্বার আকর্ষণ বোধ করি ।
কিন্তু তোমার মায়াবী ঐ চোখ জোড়া
দূর দিগন্তে নিবন্ধ -
প্রকৃতির ঔরষে তুমি অজানা
গানের সুর বাঁধতে ব্যস্ত !
তবু আমি চেয়ে থাকি
তোমার ঐ খোলা চুলের দিকে
চেয়ে থাকি মৃদু বাতাসে
দোল খাওয়া দুল জোড়ার দিকে ।
আর মাঝে মাঝে তোমার এলোমেলো
চঞ্চল আলতো চাহনিতে -
শির শির করা একটা মাতাল-শীতল-স্রোত
পৌছে যায় আমার শরীরের
প্রতিটি রক্ত কণায় !
না ! এ কোনো শারীরিক আকর্ষণ নয়
শুধু ভালোবাসার, ভালো লাগার
এক অপার্থিব সুখ !
এ শুধু তোমাকে নিয়ে
সবুজের সমারোহে আর শুভ্র-নীল
আকাশের মধ্যদিয়ে অনন্ত কাল
হেঁটে যাওয়ার, তোমাকে ভালোবাসার-
সুপ্ত বাসনা !
হয়তো কোনো এক সময়
হাত দুটি বাড়িয়ে তুমি বলবে –
‘একটু ধরবে’ ।
পাবনা -০৬/০৫/১২
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫