বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ হিন্দু ধর্মালম্বি, কিন্তু তারা সংসদের সংরক্ষিত সিট চাচ্ছে ২০% । আবার আসছে দুর্গা পূজায় তারা সারা দেশ বন্ধ চায় ৩ দিন!!!!
রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৮ আগস্টের মধ্যে তিন দফা দাবি মেনে নেয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। তা না হলে অক্টোবরে আন্দোলনের নামা হবে বলে হুমকি দিয়েছে ই হিন্দুরা।
মজার বিষয় হচ্ছে, তারা দাবি করছে, এবার তদের ওপর নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটেছে তা মধ্যযুগের বর্বরতাকেও (উল্লেখ্য কাফিররা ইতিহাসে মুসলমানদের ক্ষমতাসীন স্বর্ণযুগকে মধ্যযুগ বা বর্বরতার যুগ বলে দাবি করে) নাকি হার মানিয়েছে।
বলাবাহুল্য ছাগল নাচে খুটির জোরে, তেমনি বাংলাদেশের হিন্দুরা নাচে পাশের ভারতের জোরে।
কিন্তু সেই ভারতে জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মুসলমান (হিন্দুরা মিথ্যা বলে মাত্র ১৫-২০%) হলেও সেখানে চরম নির্যাতিত মুসলমানরা। গুজরাট, আসাম, আহমেদাবাদ, কলকাতাসহ সমগ্র ভারতে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা লেগেই আছে। শহীদ করা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে। মসজিদে আযান বন্ধ করা হয়েছে, গরু কুরবানী বন্ধ করা হয়েছে, অযোধ্যায় বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে রাম মন্দির তৈরী করা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশে মুসলমানদের মাদ্রাসাগুলোতে গিতা পাঠ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এমন কোন যুলুম নির্যাতন নেই যা ভারতের মুসলমানদের উপর হিন্দু সন্ত্রাসীরা করে না। সে হিসেবে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর এমন কি করা হয়েছে যার কারণে তা মধ্যযুগের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে বলে তারা দাবি করছে? বরং তাদের অত্যাচারে বাংলার মুসলমানরা আজ নির্যাতিত। যেমন এরা পবিত্র আল্লাহ-নবীজি, কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ অবমাননা করে পেইজ খুলছে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে বলছে। সাম্প্রতিক সময়ে অতিদি ফাল্গুনি গায়েন নামক এক হিন্দু সাম্প্রদায়িক লেখিকা বোরকাকে পতিতাদের পোষাক বলে বক্তব্য দিয়েছে।
বিটিআসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস নাস্তিক ব্লগারদের সম্পর্কে জেনেও তা চেপে যায়, কিন্তু দীর্ঘ দিন এই অপকর্মের কারণে দেশজুড়ে তৈরী হয় চরম বিশৃঙ্খলতা। দেশজুড়ে অশান্তির জন্য এই সাম্প্রদায়িক হিন্দুগুলো মূল ভূমিকা পালন করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩১