ডেসটিনির মাস্টার প্লান সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। ২০০০ সালে ব্যবসা শুরু করার পূর্বেই হয়তো রফিকুল আমিন গং এমন প্ল্যান ঠিক করেই চাপাবাজির ব্যবসা শুরু করেছিল। আমার ধারণায়- তাদের প্ল্যানটা অনেকটা স্বঘোষিত দেওলিয়ার মতো। তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক মোটা অংকের টাকা সরকারকে দিয়ে কৌশলে দেশ ছাড়ার জন্য এমন নাটকীয় ঘটনাগুলা ঘটাচ্ছে। আবার এমন সময় ঘটছে যখন তাদের এতোদিনের চাপামাবাজির লক্ষ্য পূরণের সময় ঘনায়ে এসেছে। তারা এতোদিন চাপা মেরে আসছিল যে- ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারমুক্ত আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়তে ডেসটিনি ভিশন-২০১২ বাস্তবায়ন করবে। যে ভিশনগুলোছিল এইরকম-
- ২০১২ সালের মধ্যে প্রত্যেক কর্মীকে প্রাডো গাড়ি দেবে ডেসটিনি
- ২০১২ সালের মধ্যে দেশ থেকে বেকারত্ত্ব দূর করবে
- ২০১২ সালের মধ্যে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থানের ঘোষণা
ইত্যাদি ইত্যাদি। যাইহোক- এখন ২০১২ সাল। তাদের চাপিত (যে চাপা মারা হয়েছে) ভিশন তারা অর্জনের ধারে কাছেও আসতেপারেনি। এখন সময় হয়েছে পণায়নের। তাই বলে অন্যান্য হায় হায় যায় যায় কোম্পানীর মতো পলায়ন করবে? না! ডেসটিনি পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর নয়। পালাবে সত্য তবে অন্যান্যদের পথে নয় একটু ভিন্ন পথে, একটু ভিন্ন ভাবে, চোরের মতো নয় বরং অভিমান নিয়ে। যেমনটা কিছু দিন আগে অভিমানের সুর তুলেছিল নরওয়ে ধেকে আসা টেলিনরের সিউও। প্রধানমন্ত্রীর সাধে বৈঠকের পর সে বলেছিল, এদেশে আর ব্যবসায় কার যাবে না।
ডেসটিনির অভিমানটাও এই স্টাইলেরও হতে পারে। মালকে আর দুদককে খুশি করে দিয়ে একটা নাটক সাজালো হল। যে নাটকের পরিচালক বা ডিরেক্টর হচ্ছে ডেসটিনি আর অভিনেতারা হচ্ছে দুদক, সরকারের কিছু কর্মকর্তা, ডেসটিনির পরিচালকরা সহ আরো কিছু মিডিয়া। নাটকটি শুরু হলো মাল্টিপারপাসের অনিয়ম দিয়ে। তারপর জড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক, জড়ালো অর্থমন্ত্রী মাল মুহিত আর এখন মঞ্চে আছে দুদক। ভালই অভিনয় করছে।
নাটকের বর্তমান পর্বের একটি নমুন:
৪৯০০ কোটি টাকার সবই তুলে নিয়েছে ডেসটিনি
ডেসটিনি গ্রুপের ৩৭টি প্রতিষ্ঠানে এরই মধ্যে প্রায় ৫৯৬১ কোটি টাকা জমা হয়েছে, যা থেকে ৪৯০০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন চেয়ারম্যান মো. রফিকুল আমীনসহ পরিচালক ... এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ডেসটিনি গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শুধু ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের নামেই ব্যাংকে জমা হয়েছে ৩৫৯৭ কোটি টাকা।
সূত্র: মানবজমিন
পাঠক! এসব নাটকের একটা অংশ(আমার ধারণা)। খবর সত্য। তথ্যও সত্য হতে পারে। কিন্তু এইযে তদন্ত করা, প্রতিবেদন প্রকাশ করা এসবই আমার কাছে পরিকল্পিত নাটক বলে মনে হচ্ছে। নাটকের সম্ভাব্য সমাপনী হয়তোবা এমন হতে পারে- রফিকুল আমিন ঘোষনা দেবে যে, ডেসটিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। সরকারসহ একটি মহল ডেসটিনির উন্নয়নমুলক কার্যক্রম দেখে হিংসাবশত ডেসটিনিকে দেশ থেকে উৎখাত করার জন্য ষযযন্ত্র করেছে। এখন আর তারা এদেশে আমাদের থাকতে দিচ্ছেনা। কাজেই এখানে আর আমরা ব্যবসা করতে পারছিনা। গেলাম।
পাছঠক! তাদের এহেন সম্ভাব্য নাটকীয় পলায়নের পদ্ধতিটি সঠিক হতে পারে? আপনি কি মনে করেন?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১২ রাত ১০:২০