আসিফ মুহীউদ্দিনের নিজের যৌনজীবন নিয়ে তার আগ্রহের সীমা নেই। কবে কোন দাসীকে নিয়ে ছহবত করেছেন, তার প্রতিভা ও গবেষনার প্রায় পুরোটাই ঢেলে দেন এই খাতে। নিজেকে কেবল যৌনতার চোখে দেখলে আমার কিছু যায় আসে না। যায় আসে, হিপোক্রেসি দেখলে। যৌনতা নিয়ে তার নীতিকথা তার ব্লগের পরতে পরতে পাওয়া যায়। অথচ এ যায়গাতে তিনি চরম হিপোক্রেট। যে নীতিকথা তিনি নিজে বিশ্বাস করেন না, সেটা নিয়ে অন্যকে দোষারোপ করাটাই হিপোক্রেসি।
ব্লগের আস্তিকদের হিপোক্রেসি আমরা জানি, নাস্তিকদের হিপোক্রেসির কিছুটা দিক অন্তত জানা থাকা উচিত।
লুইচ্চা কুল শিরোমণি (আশেকে ডারউইন আ ছিক মালাদ্দিন পলায়নপুরী মহা-অশ্লীল) কীভাবে মেয়েদের ব্যবহার করেন তার একটা ঘটনার বর্ণনা করা যাক।
ব্লগে তার লেখা পড়ে একটা মেয়ের ভালো লাগে। ফেসবুকে তাকে এড করে। এর পর লুইচ্চা ছিক মালাদ্দিন সেই মুগ্ধ তরুণীটিকে ইচ্ছে মতো ব্যবহার করা শুরু করলেন। তরুনীটির বয়ফ্রেন্ড থাকা সত্বেও তার মস্তিস্ক ধোলাই করলেন এই বলে, 'বয়ফ্রেন্ড থাকলে কি অন্য ছেলেদের সাথে প্রেমালাপ করা যায় না? তোমরা আসলে বাংলা সিনেমার নায়িকাদের মতো আচরণ করো। আধুনিক হও।' তার পর ফোন নাম্বার দিলেন মেয়েটিকে। যখন তখন ফোন। মেয়েটির বয়ফ্রেন্ড ফোন করলে বলেন, 'তুমি একটা আধুনিক মেয়ে, এসব প্রেম ভালোবাসা কিছু না। দৈহিক চাহিদাটাই আসল।' মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডকে ঘটনা খুলে বলতে চায়, বলতে চায় ছিক মালাদ্দিনের কথা। মহামহিম লুইচ্চা ছিক মালাদ্দিন বললেন, না, শুধু শুধু আরেকজনকে এসবের মধ্যে টেনে না আনার জন্য। 'তাছাড়া তুমি তো অন্যায় কিছু করছো না। আমি তো তোমাকে রেপ করছি না। ঝামেলা বাড়ানোর কি দরকার।' ফোনে ন্যাকামি স্বরে কথা বলে ফোনসেক্স করে দিনের পর দিন। ফোনালাপের অডিও প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মেয়েটির সঙ্গে দেখাও করে। ধানমণ্ডিতে শীশা খেতে নিয়ে গিয়ে অন্ধকার খুপড়ি ঘরে তাকে জড়িয়ে ধরে। উত্তরায় অফিসের পাশে বাসা নিতে জোর করে মেয়েটিকে। মেয়েটি রাজি হয় না। হোটেলে নিয়ে যাওয়ার অফারও করে। সবাই বলবেন, কই এখানে তো দুজনের সম্মতিতেই সবকিছু হচ্ছে। পরের ঘটনা শুনলে সেটা আর মনে হবে না। ধানমন্ডি লাউঞ্জে মেয়েটির ভেজাইনাতে জোর-জবরদস্তি হাত দেয় লুইচ্চা ছিক মালাদ্দিন। মেয়েটি ধাক্কা দিলে তা অগ্রাহ্য করে লুইচ্চা ছিক মালাদ্দিন। মেয়েটাকে চুমু খাওয়া থেকে শুরু করে সবই করে ব্ল্যাকমেইল করে। মেয়েটিকে বোঝায়, 'সেক্স করলে কী এমন ক্ষতি! এটা হচ্ছে টয়লেট ব্যবহার করার মতো। তোমার টয়লেট চাপলে তুমি যে কোনো টয়লেট ব্যবহার করো না? সেক্স করাটাও সেরকম। চাহিদা তোমার, চাহিদা মেটানো হচ্ছে বড় কথা। কে? বা কার সাথে? সেটা বড় কথা নয়।'
মেয়েটি আগেই গলে ছিল, এর পর পুরোটাই গলে যায়। ভুলে যায় তার ৪ বছরের বয়ফ্রেন্ডকে। এর পরই মেয়েটি যখন তাকে তাদের সম্পর্কের কথা বলে, লুইচ্চা ছিক মালাদ্দিন তখন মোড় ঘুরিয়ে নেয়। অস্বীকার করে বলে, 'তোমার সাথে আমার আবার কিসের সর্ম্প্ক? প্রেম ভালোবাসা কিচ্ছু না। শোনো এরপর থেকে দেখা করতে আসলেই সেক্স করতে হবে। নইলে তোমার সাথে আর কোনো যোগাযোগ নাই।' মেয়েটি তখন লুইচ্চা ছিক মালাদ্দিনের আসল রূপ দেখে। নিজের চুল ছেড়া ছাড়া তখন আর কিছুই করার থাকে না মেয়েটির।
.........................
অনেকেই বলবেন, এ ঘটনা বানানো একটা গল্প। কোনো প্রমাণ তো পেশ করা হয়নি। হ্যাঁ, ছবি প্রকাশ করছি না মেয়েটার জন্যই। তবে মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা বেশ কিছু ফোনসেক্স ও কথাবার্তার অডিও এবং ফেসবুকের মেসেজ কিন্তু আছে।
...................
এটাকে কি হিপোক্রেসি বলে না?
এখান থেকে বিস্তারিত পড়তে পারেন!