স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় হিযবুত তাহ্রীরসহ ১২টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ 'জঙ্গী সংগঠন' হিসেবে চিন্হিত করে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ গতকাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কালো তালিকাভুক্ত এ সংগঠনগুলোর কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হিযবুত তাহ্রীরের প্রধান মহিউদ্দিন আহমেদ সরকারের এ সিদ্ধন্তে বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় থেকে দাবি করা হয়, পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সারাদেশে তৎপরতা চালিয়ে সংগঠনগুলোর কার্যক্রমে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর তাদের কালো তালিকাভু করা হয়। জঙ্গি গোষ্ঠী বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে রাজনৈতিক তপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, এমন খবর পেয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের চিন্হিত করতে উদ্দ্যোগ নেয়া হয় বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় জানায়। পুলিশ ও গোয়ন্দা সংস্থা তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে ১২টি সংগঠনকে চিন্হিত করেছে। এগুলোর মধ্যে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ, হিযবুত তাহ্রীর, ইসলামী সমাজ, ওলামা আজ্ঞুমান আল বাইয়ানাত, হিযবুত তাওহিদ, ইসলামিক ডেমোক্রাটিক পাটি, তৌহিদী জার্গ্রত মুসলিম জনতা, শাহাদাৎ-ই-হিকমা বাংলাদেশ, আবিলা আবিন বাংলাদেশ, আল্লাহর দল। কালো তালিকাভুক্ত এসব সংগঠনের কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। তিনি বলেন, সংগঠনগুলোর কোন কোন শাখা থেকে জঙ্গী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আইনগত ব্যবস্থা পাশাপাশি তাদের পলিটিক্যাল মটিভেশনে আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। প্রকাশ্য রাজনৈতিক তপরতা চালানো হিযবুত তাহ্রীরের জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সম্পর্কে দলটির প্রধান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কালো তালিকায় নাম দেখে বিস্মিত হয়েছি। তিনি মনে করেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ভারতীয় সংশ্লিষ্টতা ও সরকারের ভেতরে ভারতীয়দের চিন্হিত করে বক্তব্যরাখার কারণেই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।--- আমার দেশ।
লিংকঃ
Click This Link
সরকারকে যদি বলা হয় যে সব সংগঠনগুলোর কালো তালিকার কারনসহ প্রকাশ করা হোক সরকার তা কখনও পারবে না।
আসলে বাংলাদেশের মূল সমস্যা হচ্ছে জঙ্গী সমস্যা । সরকার তা যে কোন মূল্য প্রমান করতে ব্যাস্ত। কিন্তু সরকারের এটাও ভূলে গেলে চলবে না যে সে নিজেও মুসলিম। ফলে জঙ্গী দমন সঠিক পন্থায় না হলে সে নিজেও জঙ্গীবাদ থেকে রেহায় পাবেনা। তখন সমস্ত লসের ভাগিদার হবে সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ। সরকার্ ও বাংলাদেশের মানুষ তা চাই কিনা সবাইকে তা সম্মিলিতভাবে ভেবে দেখেতে হবে । কারন সামনে আমাদের সামনে খুব ভাল সময় অপেক্ষা করছে বলে মনে হয়না।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৫৩