এখন অযুত ব্যথার নীল বেড়াল গুলোকে বন তোষিণীর গভীর অরণ্যে ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করে বেঁধে দিয়ে গলায় সব অপ্রাপ্তি বোধের দেনা-পাওনার হিসেব। তবে কি তোর জন্যে দু’ছত্র শুভেচ্ছা বানী লিখে দিয়ে দায় সারবো না নিজেও হারাবো তোর মাঝে? আমি গোপন রহস্যাঘাত আবিষ্কারে, দাঁতে দাঁত চেপে-কামড়ে পড়ে থাকবো, তোর সদ্য নিকানো মনের আঙ্গিনায়। হয়তো বিফল-প্রস্থানে কব্জিতে বেধে নিবো হলুদ ঘড়ি আর গাড় কুয়াশায় রেখে ভাঙ্গা বাই-সাইকেলর প্যাডাল। মনে পড়ে এমন ঢের উপেক্ষা করেছিলাম শুধু তোর প্রতীক্ষায়; তোর হবো বলে।
অজস্ত্র কথা মালা আজ জীবিত হয়েছে বেবুশ্য আর্তিতে, কাঠ খোদাইয়ের যন্ত্রেরা মোমদৃশ্য মেঘের দলে খুঁটে খুঁটে তৈরী করছে স্বপ্নের বাসর, গুণটানা ফুলের রথ থেঁতলে দিতে তৈরি আজ ঈর্ষা কাতর পুরোহিত দেহ, বাতাসের ফিনফিনে ঘোড়ায় চড়ে আসছে সব অক্ষরের সৈন্যদল, তোকে ভুলিয়ে দিতে মায়ায়। অনিকেত মুহূর্ত তৃষ্ণায় জাগ্রত হোক আজ পুরুষময় শরীর, প্রত্যাশার পোষাক ঝলমলিয়ে উঠুক অতশি কাঁচের বালুকাবেলার অসীম, হাসুক সমুদ্র জলের ফেনিল ঢেউ খলবল ছবি, মন প্রকৌশলী আঁকুক একটা মোহনা সঙ্গমের স্থির চিত্র।
এবার তোর দুয়ার খুলে দে, আমার প্রণাম করা বাকী আছে। থাকুক তোর চোখের কাজলে প্রকাশ ভঙ্গিমার বিস্ময়, আমি প্রার্থনা আলোয় ডুব দিয়ে তুলে আনবো অবসর প্রতিমার ভালোবাসা। তীব্র হাহাকারের মহানাদ হুংকারে বলবো, সমাধির অন্ধকার তোমরা বিলাপের মলিনতায় প্রশান্ত হও, আমি আজ বাসবো ভালো। আমার আলোছায়া জোব্বার পকেটে-পকেটে আছে অচেনা সুখ রোদ্দুর, রাত গভীর চাঁদ বলয় কম্পাঙ্কের ভালো লাগা মুক্ত দানা জোঁনাক। হাহ: হাহ: হাহ: হাহ: হাহ: ………… তোর বুকের শহর প্রান্তে প্রহরায় রেখেছি দেবদূত, তোর রুগ্ন দিনের হা-ঘরে অতন্দ্র দৈবে ছুঁয়ে দিবো মায়াবী দেবী মুখ। আমি আজ অসময়ের হত্যাকারী, অসতর্কে হামলে পরা আততায়ী, বেলোয়ারী ভাঙ্গা কারুকাজ, অপেক্ষার সম্বল ফেরি করা আনাড়ি পঞ্চম সওদাগর।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫৬