খাদিজা এখনো লাইফ সাপোর্টে, হয়ত এখান থেকে সে বেঁচে যেতে পারে আমার চলে যেতে পারে চিরদিনের জন্য।
তাহলে আসল কথাটা কিন্তু রয়ে যায়।
আমিও সবার মত খাদিজার এই মর্মান্তিক দুর্ঘনার বিচার চাই, কিন্তু তার আগে যেটা চাই সেটা হল সুষ্ঠ তদন্ত। প্রধান জাতীয় রাজনৈতিক দলের ছত্র-ছায়ায় থেকে যে যঘন্ন, পাশবিক কাজটা করছে তাতে মনে হয়না এর কোনো বিচার হবে। তবে আসল ঘটনাটা যানতে পারলে আমি সন্তষ্ট।
কুমিল্লার মেয়ে তনু কে আমরা সবাই দেখেছি চোখের সামনে, যার কোনো বিচার আজ পর্যন্ত হয়নাই। কি কারন ছিল, কেই বা মেরেছিল সেটা আজও জানা হল না। তাই আমি এর আসল সত্য ঘটনা যানতে পারলেই খুশি।
তবে আমার কিছু প্রশ্ন আছে, যেটা আমার মনের মধ্যে বার বার উকি দিয়ে যাচ্ছে...
১। খাদিজা কি এমন করেছিল যে বদরুল (ছাত্রলীগ নেতা) এতটাই খেপে গিয়েছিল যার কারনে তাকে উপর্জপুরি কুপিয়ে জখম করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিল?
২। শুধু কি প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল বলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে নাকি এর পিছনে অন্য কোনো কারন আছে? শুধু প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার কারনে একজন মানুষ এতটা নৃশংস হতে পারে সেটা আমি মনে করি না।
জানিনা খাদিজা বাচবে কিনা, তবে যদি বেচেও যায় তাহলে তার ভেতরে যে ভয় কাজ করবে, তার থেকে মনে হবে তার মরে যাওয়াই বুঝি ভাল ছিল।
অন্য প্রসঙ্গঃ
তবে জাতির বিবেকের কাছে একটা প্রশ্ন, যে জাতি মুক্তিযুদ্ধ করে এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল, সেই জাতি এই কয়েক বছরে ভিরু কাপুরুষ হয়ে গেল কিভাবে। এতোটা ভয় এই জাতির তো কোনোদিন ও ছিলনা। একটি মেয়েকে মাত্র একটা ছেলে চা-পাতি দিয়ে কুপাইতেছে আর আমরা ভয়ে পালিয়ে গিয়ে দূর থেকে সেটা ভিডিও করে ফেসবুক, ইউটিউব এ প্রচার করে লাইক আর ভিউয়ার বাড়াচ্ছি। এ কেমন স্বার্থপর দেশে আমরা আছি। ভাবতেই ভয় লাগছে।
এখন যদি খাদিজা মরে যায় তাহলে তো পুরো দোষটাই হবে আমাদের, আমরা তাকে রক্ষা করতে পারিনাই। চোখের সামনে তাকে জখম করা হল আর আমরা তার কাছে গিয়ে তাকে বাচানোর কোনো সাহস পেলাম না। এটা পুরো জাতীর জন্য লজ্জা হয়ে রইল।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১১