দুঃখ লাগে যখন দেখি চিহ্নিত জঙ্গীকে ছেড়ে দেয়া হয়। যখন দেখি মানুষ খুন করে রক্তের খেলা খেলেও বেঁচে যায় সর্বচ শাস্তির হাত থেকে।
কোন জঙ্গী সম্প্রিক্ততা খুজে না পেয়ে ছেড়ে দেয়া হল তাহমিদকে। সারাদেশের মানুষ যখন প্রশাসনকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে এরাই প্রকৃত খুনি, যারা কিনা গুলশান এর রেস্টুরেন্ট এ ২৮ টা তরতাজা প্রান কেড়ে নিল নিশংস ভাবে, তাদের মধ্যে এই তাহমিদ ছিল পরিকল্পনাকারির একজন। এখন তার আর কোন সম্প্রিক্ততা খুজে না পেয়ে ছেড়ে দেয়া হল। জাতির বিবেকের কাছে সন্দিহান হয়ে রইল এই বিষয়টা
অথচ একজন অন্ধ ক্রিকেট ভক্ত, যার ধ্যান-জ্ঞ্যান এ ছিল ক্রিকেট। আর এই ক্রিকেট এর মহানায়ক মাশরাফিকে একবার ছুয়ে দেখার জন্য তার লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য ছুটে গিয়েছিল নিরাপত্তা বেস্টুনী ভেঙ্গে তার প্রিয় মানুষটিকে ছুয়ে দেখতে। এটাই তার সবচেয়ে বড় অপরাধ হয়ে দেখা দিল। তাকে যেতে হল থানায়, জেল হাজতে। সম্মুক্ষিন হতে হল অনেক প্রশ্নের।
তার স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে কিন্ত তার জন্য তাকে অনেক শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে, সারা দিন রাত জেল হেফাজতে তাকে থাকতে হয়েছে, তার সাথে জঙ্গীদের কোন সম্পর্ক আছে কিনা সেই বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হইছে। এই হল আমাদের প্রশাসন ব্যবস্থা।
ভাল থাকুক আমাদের ক্রিকেট প্রেমীরা, তারা আছে বলেই আমাদের ক্রিকেট নিয়ে এত আবেগ। তাদের শুভ কামনা আছে বলেই আমাদের ক্রিকেট দল বিশ্বের কাছে শক্তিশালী ক্রিকেট দল হিসেবে পরিচিত হতে পেরেছে।
আবারো শুভকামনা রইল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এর জন্য.।।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৪২