আমি নিশ্চিত আমার অন্য সব লেখার চেয়ে এই লেখায় হিট পড়বে বেশী,
কারণ এখন পর্যন্ত ব্লগে হিট হওয়ার প্রধান তিন উপাদান আমার শিরোনামের মধ্যেই রয়েছে।
আরিফ দা, রাগিব ভাই, কৌশিক, ত্রিভুজ, আরো আরো অনেক সেলিব্রেটি ব্লগার বা ন্যূন্যতমপক্ষে নাফিস ইফতেখার এর মত পর্যায়ে যেতে না পারলে, সোজা পথ হল এই তিন সাবজেক্ট নিয়ে কচলানো।
ভাষার ব্যাপারে আমার আপত্তি থাকলেও অন্যমনষ্ক শরৎ ইমন জুবায়ের'র ব্যাপারটাকে যেভাবে ব্যাখ্য করেছেন, এগুলোও অনেকটা এরকমই।
প্রজ্ঞা তাসনুভা রুবাইয়াৎ এর কথা বলা যেতে পারে। নিকে এই আধুনিক নাম আর পাশে সুন্দরী এক মেয়ের ছবি।
সপ্তাহ তিন চারের মধ্যেই মহা হিট!!
সে মেয়ে, নাকি আসলে মেয়ের নিকে ছেলে এইটা প্রমাণের জন্য তার প্রকাশভঙ্গির উপর গবেষণাজাত দুটো কি তিনটে পোস্টও চলে আসলো, এবং বলা বাহুল্য, সেই পোস্টগুলোও ব্যাপক হিট
আর প্রকৃতপক্ষে তার লেখা ভালো না খারাপ, সমসাময়িক নাকি প্রাগঐতিহাসিক, সেটা গৌণ থেকে গেল সবার অজান্তেই।
এখন আর প্রজ্ঞার লেখা চোখে পড়ছেনা।
প্রজ্ঞার একটা লেখায় ডিপার্টমেন্টের একজন সেমি জুনিয়র স্যারের দ্বিতীয় বিয়ের কথা পড়ার পর অন্তত সে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজী ডিপার্টমেন্টে পড়ে, সেটা আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম,
আমি তানভীর স্যারকে বিলক্ষণ চিনি।
গত ২৯-৩০ তারিখে বিশ্ব মানসিক সাস্থ্য দিবস উপলক্ষে টিএসসিতে
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম।
বাই দ্য বাই রুমানাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কোন প্রজ্ঞাকে চেন নাকি, তোমার ডিপার্টমেন্টের?
প্রজ্ঞা রুমানার পরিচিত, কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখাও হলো। প্রোফাইলের ছবির সাথে আমার কাছে অন্তত মিল মনে হয়নি,
তবে সে যে মেয়ে, সেই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
তো এই হল মেয়ে নিক'র কাহিনী, যা শেষ পর্যন্ত ব্লগের বাইরে বাস্তব জগতেও চলে আসে।
আর গতকাল চনদন নামে একজন আল্লাহ কি গনিত বুজঝননা?শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়ে দিলেন,
যেটি তার ব্লগ ইতিহাসের সপ্তম লেখা এবং তিনি লেখা শুরুই করেছেন গত মাস থেকে।
চনদন আরজ আলী মাতুব্বরের মুসলীম মিরাসী আইন বিষয়ক প্রশ্ন তুলে প্রচ্ছন্ন সিদ্ধান্তের সুরে লিখলেন আল্লাহ কি গণিতে অজ্ঞ।
আমি তাকে মাইনাস দিয়ে বললাম হিট বাড়ানোর এই কৌশল বাদ দিয়ে মুসলিম মিরাসী আইন ফারায়েজ এবং সাথে সাথে কোরআন শরীফের যেসব যায়গায় মিরাসী আইন বিষয়ক আয়াত আছে,
সেগুলোর প্রেক্ষাপট এবং শানে নুজুল পড়ে আসতে।
উত্তরে চনদন বললেন,
১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৩২
লেখক বলেছেন: ধর্ম নিয়া কথা বললেই হিট বাড়ানোর প্রসঙ্গ আসে .... যুক্তি দিয়া খন্ডান। আর না পারলে অফ যা...
এই জায়গায় বাইবেল আসল কোথা থেকে?
এটা যদি চনদন এর প্রথম নিক হয় তাহলে তিনি তো যুক্তিঞ্চ, স্বাতু, আরিফুর রহমান বা আরো অনেককে দেখেননি,
তারা এর চেয়েও কঠিন সব প্রশ্নে ধর্মকে বিদ্ধ করে ব্যাপক প্লাস মাইনাস
পকেটস্থ করে এখন ব্লগ ছেড়ে মহাজাগতিক প্ররিভ্রমণকারী হয়ে নিজের সন্মান রক্ষায় ব্যস্ত আছেন।
ব্লগের অধিকাংশই এই সব মাথায় ছিটগ্রস্থ হিটওয়ালাদের স্বস্নেহে ছাড় দিয়ে দিয়েছেন। রাস্তায় বস্ত্রহীন পাগল দেখলে কেই বা
ঘাটতে যায়। তবে যেহেতু বাঙালী ধর্ম পরায়ণ জাতি; ধর্ম বিরোধিতার গন্ধে একবার হলেও দেখে আসে কি বলতে চায় সে,
তারপর আল্লাহ কি গণিতে অজ্ঞ জাতীয় বেকুবীয় প্রশ্নে বিস্তর আমোদিত হয়ে মাইনাস দিয়ে বের হয়ে আসে।
লাভের মধ্যে লাভ হয়, চনদনদের হিট বাড়ে।
আর রাজাকার বিষয়ক আলোচনায় আমার রুচি নেই। সব রসুনের গোড়াই এক। রাজনৈতিক স্বার্থে দেশকে বলী দিয়ে রাজাকার
ইস্যু এখন বুড়ির চুঁ খেলার মত একবার মোটা দাগের এপারে একবার ওপারে করতে করতে এখন শুধুই ব্লগে হিট বাড়ানো ছাড়া
ঘোড়ার ডিমটাও পাড়তে পারেনা।
চনদনের পোস্টে জেমসবন্ড বলেছেন (১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৫, ): ছাগল গাছে ধরে না ব্লগে ধরে.....এই পোষ্ট ই হইল তার প্রমাণ ।
যার জানার প্রয়োজন সে জায়গা মত গিয়ে জানুক না তাতো কোন সমস্যা নাই, আর যে ছাগল শাহবাগের মোড়ে দাড়াইয়া কয় এই খানে কেন বিমান নামেনা ঝাতি জানতে চায় ?.....
তাকে কি ছাগল কমু না ফাগল কমু ?....পাবনা কি সিট খালি আছে ...?
কমিউনিটি ব্লগে সব বিষয়ে আলোচনা হতেই পারে, যদি যৌক্তিক হয়। কিন্তু একটা বালকসুলভ প্রশ্নের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাসে আঘাত দেওয়াটা কতটুকু যৌক্তিক?
সামহোয়্যার এখন কিসব নিয়ম কানুন করেছে, পর্যবেক্ষণ, নিরাপদ, সাধারণ, হাবিজাবি।
এইসব ছাঁকুনি চক্রে কি এইসব শাখামৃগরা পড়েনা?