কত বড় বেকুবের দেশে আমরা আছি!
‘তিনি (সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম) একেবারে হাসির কথা বলেছেন। কত বড় বেকুবের দেশে আমরা আছি! একটি বৃহত্তম দলের বড় নেতা মনে করেন, শান্তিতে নোবেল পেতে হলে যুদ্ধ থামাতে হবে।’
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল জয় নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে এ কথা বলেছেন প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হক।
আজ শনিবার বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে গুম-অপহরণ ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তৃতা করেন রফিক-উল হক। মুক্তচিন্তা নামের একটি সংগঠন তাঁর এই একক বক্তৃতার আয়োজন করে।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কৃষকদের মধ্যে ভর্তুকির অর্থ বিতরণের এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে জড়িত কেউ একজন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কোন যুদ্ধে তিনি শান্তি এনেছেন, কোন মহাদেশে তিনি শান্তি এনেছেন? কোথায় তিনি ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করেছেন।’
ড. ইউনূস ও ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদের সমালোচনা করায় শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ারও কঠোর সমালোচনা করেন রফিক-উল হক। তিনি বলেন, তাঁর (শিল্পমন্ত্রী) প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলি, তিনি ড. ইউনূসের নখের যোগ্যও নন।
শিল্পমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘আপনাদের যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এতই ভালো লাগে, তাহলে আপনারা রাজনীতিতে আসুন, রাজনীতিতে এসে কথা বলুন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য ঘুষ দিয়েছেন—এই বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন, এরও কঠোর সমালোচনা করেন রফিক-উল হক। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য শোভন নয়। এমন মন্তব্য করা উচিত না।’ গুণী লোকের সম্মান দেখাতে হবে, তাহলে নিজের সম্মান বাড়ে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
নির্বাচনের মাত্র দেড় বছর বাকি আছে—উল্লেখ করে রফিক-উল হক বলেন, দেশে যে পরিস্থিতি চলছে, এমন সমস্যার সমাধানে দুই নেত্রীকে সংলাপে বসতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা না হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। তাই বিষয়টি নিয়ে গোঁয়ার্তুমি নয়, একসঙ্গে বসতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে, নইলে হবে না।
উচ্চ আদালতের সমালোচনা করে এক প্রশ্নের জবাবে রফিক-উল হক বলেন, বিচার হচ্ছে মানুষ দেখে, আইন দেখে নয়। আইনের বিচার খুব কম হচ্ছে। আপিল বিভাগকে এখন মানুষ স্থগিতাদেশ বিভাগ (স্টে ডিভিশন) বলছে। তাঁর দাবি, রেল মন্ত্রণালয়ের কেলেঙ্কারি চাপা দিতে ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ইস্যু আনা হয়েছে। আর সেই ইস্যুকে চাপা দিতে এখন বিএনপির বড় বড় নেতাদের নামে মামলা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের প্রধান কাদের সিদ্দিকী ও কল্যাণ পার্টির প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম উপস্থিত ছিলেন।
(কপি পেস্ট)
নোবেল" প্রাইজ নিয়ে এতো কাড়াকাড়ি পর্ছে-তাই আমার প্রপিক চেঞ্জ করে নোবেল পুরস্কারটা নিজেই লাগাইয়া লইলাম
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:০২