সুকুমার রায়ের কবিতা
সাবধান[/sb
আরে আরে, ওকি কর প্যালারাম বিশ্বাস?
ফোঁস্ফোঁস্ অত জোরে ফেলো নাকো নিশ্বাস!
জানো না কি সে‐বছর ও‐পাড়ার ভুতোনাথ,
নিশ্বাস নিতে গিয়ে হয়েছিল কুপোকাৎ?
হাঁপ ছাড় হ্যাঁস্ফ্যাঁস্ ওরকম হাঁ করে—
মুখে যদি ঢুকে বসে পোকা মাছি মাকড়ে?
বিপিনের খুড়ো হয় বুড়ো সেই হল’ রায়,
মাছি খেয়ে পাঁচমাস ভুগেছিল কলেরায়।
তাই বলি— সাবধান! ক’রো নাকো ধুপ্ধাপ্,
টিপি টিপি পায় পায় চলে যাও চুপ্চাপ্।
চেয়ো নাকি আগে পিছে, যেয়ো নাকো ডাইনে
সাবধানে বাঁচে লোকে— এই লেখে আইনে।
পড়েছ তো কথামালা? কে যেন সে কি করে
পথে যেতে পড়ে গেল পাতকোর ভিতরে?
ভালো কথা— আর যেন সকালে কি দুপুরে,
নেয়ো নাকো কোনোদিন ঘোষেদের পুকুরে;
এরকম মোটা দেহে কি যে হবে কোন্ দিন,
কথাটাকে ভেবে দেখ কিরকম সঙ্গিন!
চটো কেন? হয় নয় কে বা জানে পষ্ট,
যদি কিছু হয়ে পড়ে পাবে শেষে কষ্ট।
মিছিমিছি ঘ্যান্ঘ্যান্ কেন কর তক্ক?
শিখেছ জ্যাঠামো খালি, ইঁচড়েতে পক্ব,
মানবে না কোনো কথা চলা ফেরা আহারে,
একদিন টের পাবে ঠেলা কয় কাহারে।
রমেশের মেজমামা সেও ছিল সেয়না,
যত বলি ভালো কথা কানে কিছু নেয় না—
শেষকালে একদিন চান্নির বাজারে
পড়ে গেল গাড়ি চাপা রাস্তার মাঝারে!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৩৮