নবজাতক শিশু ধর্ষণ হচ্ছে, হুজুর ছাত্রকে ধর্ষণ করছে, একজন গৃহবধূ স্বামীর হাতে ধর্ষণ হচ্ছে, এমনকি ছেলেমেয়ে ধর্ষণ হচ্ছে নিজের বাবার কাছে। কারণ ধর্ষকের কোন ধর্ম নেই, সে উন্মাদ, তার চোখেমুখে যৌন ক্ষুধা। এমন মূল্যবোধের অবক্ষয়ে রয়েছে অবাধ পর্নোগ্রাফির বিস্তার, পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব আর পুঁজিবাদের ঘেরাটোপে নারীকে ভোগ্যপণ্যে উপস্থাপন করা।
বিশেষত শিশুদের উপর যৌন নিপীড়নের বড় কারণ বিকৃত মানসিকতা, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় পিডোফিলিইয়া। যদিও ধর্ষণের জন্য মেয়েদের পোষাক কিংবা দেহের প্রকাশভঙ্গিমা যতটা মুখ্য বিষয়, তারচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ধর্ষিতাদের বিচার না পাওয়ার সংস্কৃতি।
সমাজ ও রাষ্ট্রে পুরুষতন্ত্র যেভাবে নারীকে কেবল যৌন বস্তুতে পরিণত করেছে, প্রকৃত ক্ষমতা থেকে দূরে রেখেছে। নারীকে অবরুদ্ধ করে দুর্বল ও হেয়প্রতিপন্ন করেছে। তারা ধর্ষণের মতো বর্বরোচিত ঘটনাতে নারীদেরই দোষ খুঁজে ফিরে, আবার এই নারীরাই পুরুষের ওই চাওয়া-পাওয়ার প্রতিধ্বনি করে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৭