somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাফায়েতুল ইসলাম
জ্ঞান হবার পর থেকে নিজের পরিচয় খুঁজে বেড়াচ্ছি । প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রশ্ন করি- আমি কে? আমি কি? আমি কোত্থেকে আসছি ? আমি কিছুই জানি না । মাঝে মাঝে নিজেকে শূন্য মনে হয় । মনের অজান্তেই নিজেকে ভাবায়, এই জগৎ সংসার কেমন করে সব শূন্য থেকে শূন্যে মিলে যায়।

ধর্মের ব্যাখ্যাতীত বিষয় মেনে নিয়ে কি ধর্ম চর্চা চলতে পারে ?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষের জানার আগ্রহ নিরন্তর, কৌতূহলী মনের খোরাক মেটাতে তাই মানুষ বার বার ছুটে যেতে চায় তার জ্ঞান মনন এবং বিজ্ঞানের কাছে। বিজ্ঞানের আলোকে যেটা সে সত্য বলে প্রমাণ করতে পারে সেটা সে গ্রহণ করে আর যেটা প্রমানাতীত সেটা সে ছুড়ে ফেলে দিতে চায়। দ্বন্দ্ব এবং সন্দেহের সৃষ্টি হয় প্রমাণ অপ্রমাণের মাপকাঠিতে, বিশ্বাসের সেখানে ফুটো-কড়ির মূল্য নাই। আবার পৃথিবীতে সমস্ত ধর্মবিশ্বাস একমাত্র বিশ্বাসের ভিত্তিতেই প্রতিপালিত হয়ে থাকে, সেখানে প্রমাণ বা অপ্রমাণের প্রশ্ন গৌণ। বিজ্ঞান চায় প্রমাণ, ধর্ম চায় বিশ্বাস কিন্তু প্রমাণ বিহীন বিশ্বাস এবং বিশ্বাসবিহীন প্রমাণ দুটোই পারস্পরিক সাঙ্ঘরশিক । ধর্ম এবং বিজ্ঞানের এই সংঘর্ষ নৈমিত্তিক তবুও মানুষ এই দুটো বিষয়কে আলাদা রেখে বিজ্ঞান এবং ধর্মের চর্চা করে আসছে।

একটু উদাহরণ দিয়ে বলি। বিজ্ঞানের একজন ডাকসাইটে অধ্যাপক তার সন্তানের অজানা অমূলক অমঙ্গলের আশঙ্কায় এখনও সাধুবাবার দ্বারস্থ হন বা কবিরাজ বাড়ী’র পড়া পানি খাওয়ান। আবার একই রকমভাবে কোন একজন ধর্মীয় আলেম দোয়া কালামের তোয়াক্কা না করে ছুটে যান এফ সি পি এস ডাক্তারের কাছে। এখানে কোনটা কাজ করছে, পুরোটাই বিশ্বাস নাকি পুরোটাই প্রমাণ? তাই মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে একাধারে বিজ্ঞান এবং ধর্মের চর্চা করে আসছে কোন বাধাবিঘ্ন ছাড়াই। বর্তমানে এই পাশাপাশি চলার পথে বিশ্বাস এবং যুক্তির পরোয়া না করে কাঁটা হয়ে বিঁধেছে উগ্র ধর্মান্ধতা এবং কট্টর ধর্মীয়বিদ্বেষ। নাস্তিকতা তার চরিত্র হারিয়ে পা বাড়িয়েছে কট্টর ধর্মবিদ্বেশের পথে আর পথ বেকে ধার্মিকতা গিয়ে শেষ হয়েছে উগ্র ধর্মান্ধতার ঠিকানায়।

**বিজ্ঞানের ভুলকে মেনে যেমন আমরা বিজ্ঞানের চর্চা করি, সেরকম ভাবে ধর্মের ব্যাখ্যাতীত বিষয় মেনে নিয়ে কি ধর্ম চর্চা চলতে পারে ?

৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অদ্ভুতত্ব.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

অদ্ভুতত্ব.....

আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের কালো রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অধ্যাপক ইউসুফ আলী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮




অধ্যাপক ইউসুফ আলী মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।

উনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক। ৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার দশটা ইচ্ছে

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১



প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয়-
যদি সকালটাকে দেখতে না পাই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস কি? তাহলে বলব মানুষের বেচে থাকা। মরে গেলেই তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×