somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আধুনিক গবেষনায় দেশের সায়েন্স ও টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গুলির দীর্ঘ ব্যর্থতা।মূল কারনটা কোথায়?যোগ্যতা-প্রতিভার অভাব না অন্যকিছু? কিস্তি-৫ (আপাত শেষ)

২১ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত পোস্টের শেষ দিকের অংশ বিশেষ উল্লেখ করে এই পর্বে কথা শুরু করি। কারন এরই ধারাবাহিকতায় আজকে সামনে আগানোর ইচ্ছা আছে। গত পর্বের আলোচনার প্রায় শেষাংশ ছিল-

“ঝড় হলে পাতা নড়ে, না পাতা নড়লে ঝড় হয় এই তফাৎটা আমাদের বুঝতে হবে। শিল্পোন্নত বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয় শুধু নেচারের কজ (কারণ) আর এফেক্ট (ফলাফল) নিয়ে অবিরাম গবেষনা করে চলে বা এটা নিত্য নুতন জ্ঞানের খোঁজে সদা মরিয়া এক মহাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও এরকম আদর্শিক নয়। বরং, ইন্ডাস্ট্রীর মুনাফার জন্য, তার নিরাপত্তার জন্যে আবশ্যকীয় যে জনবল ও গবেষনা সেটা সম্পাদনই এযুগে তার প্রাথমিক লক্ষ্য। এই লক্ষ্যেই তার প্রতিষ্ঠা , তার এগিয়ে আসা, তার কর্মযজ্ঞ। ইন্ডাস্ট্রীর অর্থেই সে প্রত্যক্ষ বা পরক্ষভাবে পরিপুষ্ট। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয় কেন গবেষনা করেনা, কেন তারা এটা ওটা বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগায়ে দেয়না এই চিন্তাটাই অপরিপক্ক, আদ্যিকালের চিন্তা। কেন? কারণটা আগেই বলেছি, ঝড় হলে পাতা নড়ে, পাতা নড়লে ঝড় হয়না। আধুনিক গবেষনার উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটা তার সামর্থের বা মুরোদের মধ্যেই নাই, এর উদ্যোক্তা লগ্নী পুঁজির মহাকারবারীরা।তাই সুনির্দিষ্ট কি নিয়ে গবেষনা হবে,সমস্যার কোন জায়গাটা খোঁড়াখুঁড়ি করতে হবে, গবেষনার টোটাল ম্যান-আওয়ার কত হবে, গবেষনার ফলাফল প্যাটেন্ট আকারে আসবে না পেপার হিসাবে পাব্লিশ হবে, প্যাটেন্ট হলে কোন মহাদেশে কত বৎসরের জন্য প্যাটেন্ট হবে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ মাস্টারপ্লান ,অর্থ, আনুষাঙ্গিক সাপোর্ট আসে কর্পোরেশন বা ইন্ডাস্ট্রী থেকে। ”

তার মানে যেটা দাঁড়াচ্ছে যেখানে কর্পোরেশন নাই, ইন্ডাস্ট্রী নাই ,বুদ্ধি বৃত্তিক শিল্পে পুঁজির বিনিয়োগ নাই সেখানে রিসার্চ নাই, থাকার কথা না। আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে চিত্র আমাদের মনে আঁকা সেরকম একশতটি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও নয়। পশ্চিমে রিসার্চ করে ইন্ডাস্ট্রী, তাদের RND সেকশন। গবেষনা কাজের একটা অংশ সংঘটিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে, প্রজেক্ট আকারে। এক ম্যান-ইয়ার থেকে শুরু করে একাধিক ম্যান-ইয়ারের প্রজেক্ট হতে পারে । উদাহরণ হিসাবে বলা যায় এরকম এক ৮ ম্যান-ইয়ার প্রজেক্টে ২ থেকে ৩ জন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় ৪ বছর রিসার্চ করায়ে পি এইচ ডি দিতে পারে। এক ম্যান ইয়ার প্রজেক্টে বিনিয়োগকৃত মিনিমাম ক্যাপিটাল হতে পারে আনুমানিক ১২৫ K(হাজার) USD। আরও অনেক কথা বলা যেত, পাঠক চাইলে সেটা পরে কমেন্টে বা আলোচনায় আসতে পারে। তবে এই হোল আধুনিক গবেষনা বা রিসার্চের মূল কথা, মূল স্রোতের সারমর্ম। এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক কিছু ক্ষীণ ধারাও আছে, তবে সেটা শেষ পর্যন্ত ধর্তব্যের মধ্যে পড়েনা।

বাংলাদেশে কেন রিসার্চ হয়না এই উত্তরটা পাঠকের কাছে এতক্ষনে নিশ্চয় পরিস্কার। যে দেশে ইন্ডাস্ট্রী বলতে বোঝায় বড়জোর গার্মেন্টস, আরও পরিস্কার করে বললে ঢাকা কেন্দ্রিক বহুতল ভবনে স্থাপিত দর্জির দোকান, সেদেশে রিসার্চ কথাটা স্রেফ একটা তামাশা। তাই গবেষনার কথা উঠলেই আমাদের সনাতন যে চিন্তা বাইডিফল্ট বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে গিয়ে আছড়ে পড়ে এবং সেখানে আঁতিপাতি করে সমাধান খুঁজতে থাকে, সেই চিন্তার মধ্যেই আছে শতভাগ গলদ। যতদিননা পর্যন্ত কোন অঞ্চলে সেই পর্যায়ের বুদ্ধিবৃত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠিত হবে অথবা সেখানে মূল ধারার স্বাধীন বুর্জোয়া শ্রেণীর উত্থান ঘটবে যারা ভারী শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা করে ভোগ্যপন্যে তৈরী আর তার উৎকর্ষ সাধনের প্রতিযোগীতায় মরণপণ লড়ায়ে অবতীর্ণ হবে ততদিন পর্যন্ত সেখানে গবেষনার প্রয়োজনীয়তা থাকবেনা। আর প্রয়োজনীয়তা না থাকলে, গবেষনা হবেনা। শুধু জ্ঞানের জন্য জ্ঞান এটা একটা বাকওয়াস। কারন আজকের গবেষনা মানেই ভোগ্যপণ্য তৈরী আর তার উৎকর্ষ সাধনের গবেষনা। লগ্নী পুঁজির নিরাপত্তা প্রদানের গবেষনা। এই গবেষনা চালাবার কোনো তাড়না যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুভব করার কথা নয় তেমনি মূল যে কথা, এটা চালাবার মতো মুরোদও তার থাকার কথা নয়।

সুতায় যখন জট লাগে তখন প্রান্তদুটা ধরতে পারাটাই জট খোলার প্রাথমিক শর্ত। এদিক ওদিক টান লাগালে ঘটনাটা আরও জটিল থেকে জটিলতর হয়, এটা বোঝা দরকার। না বুঝতে চাইলে তর্ক চিরন্তন গোলক ধাঁধার মধ্যে চক্কর খেতে থাকবে, যেমন আজ খাচ্ছে। কখনো আঙ্গুল উঠবে শিক্ষকের যোগ্যতার দিকে, কখনো তার স্বল্প বেতনের দিকে, কখনো নীতি নৈতিকতার দিকে, কখনো রিসার্চের জন্য সরকারী অর্থের অপ্রতুলতার দিকে, কেউ অভাব বোধ করবে চিপ ফ্যাব্রিকেশনের মতো আধুনিক গবেষনাগারের, কেউ মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ ক্লাস রুমের আবার কেউবা ক্লাস রুমে এসি সহ ভার্সিটি আঙ্গিনায় বড়সড় গাড়ি পার্কিং স্পেসেরও। এরই মাঝে কেউ কেউ মওকা মতো কচিশিশুদের গবেষনামুখী সুপ্ত চেতনা উজ্জীবিত করতে জেলায় জেলায় পদধুলি রেখে দেশের তাবৎ মিডিয়া জগৎ কাঁপায়ে দিবে। কোন সরকার হয়ত বিশ্বব্যাঙ্কের চিকিৎসাপত্রের আলোকে শিক্ষকদের মোটাতাজা একটি আলাদা বেতন স্কেল ঘোষনা দিয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজবে, কোন সরকার এসে গবেষনার জন্য কিছুদিন মোটাসোটা অর্থের প্রজেক্ট বরাদ্দ শুরু করবে। কিন্তু কি নিয়ে হবে এই গবেষনা? আছে কোন প্রায়োরাটাইজড লিস্ট বা হোম ওয়ার্ক? সমস্যার কোন জায়গাটা নিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি হবে? কোথায় হবে এর ফলাফলের ব্যবহার? কয়দিন চলবে এভাবে? টাকাটা নিশ্চয় ছাপাইয়া বিতরণ হইবেনা। কাজের কাজ যেটা হবে কয়েকমাস ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে আর মিডিয়াতে একটা গবেষনা অনুকুল ধুন্দুমার কান্ড চলবে।রাত সাড়ে এগারোটার পরে টিভি চ্যানেলে দিশী বিজ্ঞানীদের বিদিশী অভিজ্ঞতার বয়ান হবে। মানে আমি যখন ওখানে ছিলাম তখন... ... ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এটা নিশ্চিত, ফুলফল তো অনেক দূরের কথা, শেষ অবধি সেই গবেষনার গাছে একটা কচি পাতাও ধরবেনা। আসলে তলাটা চরার যে জায়গায় আটকে গেছে সেখানে হাত লাগায়ে নৌকায় ধাক্কা না দিতে পারলে এদিক ওদিক শত জোরাজুরীতেও ওটা নড়বেনা। নদী প্রধান গ্রামাঞ্চলে যারা বড় হয়েছেন তারা এটা ভাল বুঝবেন। যে বাউন্ডারির মধ্যে কোন গানিতিক সমস্যার সমাধান নাই, নিঃরন্তর সেই বাউন্ডারির মধ্যে সমাধান খুঁজে কি হবে । সোজা কথায় আংটি যদি আমার পুকুরঘাটে হারায় তবে তাল গাছে খুঁজতে উঠে লাভটা কি। যাহোক উপরের কোনটাই যে মূল বাধা নয় সেটা গত ৪ পর্বে এক এক করে আমরা মূল পোস্ট ও সংশ্লিষ্ট কমেণ্টে উলটে পালটে দেখেছি।

প্রথম পর্বে যখন আলোচনা শুরু করি তখন যে বুঝটা নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয় সেটা ছিল এরকম -“কোন বিষয়ই সমসাময়িক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বাইরে নয়, আলোচ্য বিষয়বস্তুতো নয়ই। তারপরেও উদ্দেশ্য থাকবে তৃতীয় বিশ্বের প্রচলিত দলীয় অস্থিরতার (রাজনৈতিক বলা হয়তো ভুল হবে) বাইরে গিয়ে আর কোন কোন মূল বিষয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে উল্লিখিত বিশ্বমানের আবিষ্কার বা মৌলিক চিন্তা থেকে দূরে ঠেলে রাখছে সেটা অনুধাবনের প্রচেষ্টা।” সেখানে একটা ধারণা হয়তো মনের অজান্তে কোথাও ঘাপটি মেরে ছিল যে এই সমস্যার সমাধান বিশ্ববিদ্যালয় ডোমেইন এর মধ্যে সম্ভবত কোথাও লুকিয়ে আছে। কিন্তু এই চিন্তাটা সমাজে আর দশটা রেডিমেড চিন্তার মত যে অপরিচ্ছন্ন আর ধোঁয়াটে চিন্তা সেটা এখন পরিস্কার। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে শতভাগ কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেও আলোচ্য সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব না। কেন সম্ভব নয় সেটা কিস্তি-১ থেকে ৪ এ আলোচনার চেষ্টা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় ডোমেইনে আমাদের এই সমস্যার সমাধান নাই, যেমন বিশ্বের কোথাও নাই। তাই দৃষ্টি ফিরাতে হবে অন্য জায়গায়, নৌকার যে জায়গা চরায় আটকে আছে সেখানে। সেই জায়গাটাও গত কিস্তি-৪ এ চিহ্নিত করার চেষ্টা হয়েছে। আর তাই “আধুনিক গবেষনায় সায়েন্স বা টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গুলির দীর্ঘ ব্যর্থতা, মূল কারনটা কোথায়?” এই আলোচ্য ইস্যুটা ট্রান্সলেট হয়ে যেটা হবে সেটা হচ্ছে -“এই অঞ্চলে বুদ্ধিবৃত্তিক বা আধুনিক ভারীশিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা বা স্বাধীন বুর্জোয়া শ্রেনীর উত্থানের দীর্ঘ ব্যার্থতা। মূল কারনটা কোথায়?”। ৫ পর্বের দীর্ঘ আলোচনার এখানে একটা তবে ইতি টানা যাক। বাকিটুকু কমেন্টে আলোচনা হতে পারে। সকলকে ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৩৯
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×