প্রেমে মরা জলে ডুবে না !
প্রেমে মরা নাকি জলে ডুবে না, আর পাথর নাকি পানিতে ভাসে না ! আমি বলি, পাথর পানিতে ভাসে । যদি বিশ্বাস না হয়, আগ্নেয়গিরির উদ্গৃত লাভা থেকে উৎপন্ন পাথর যাকে পুমিস (Pumice) বলা হয়, সেটি পানিতে ছেড়ে দিয়ে দেখবেন ঠিকই ভাসবে ।
কারো প্রেমে মরেছিল নাকি এটি ?
উটের দুধের দই
উটের দুধ খেয়েছেন কখনও ? না খেয়ে থাকলে খেয়ে দেখতে পারেন । উটের দুধের দই কিন্তু কখনও খাবেন না । কারণ ? আসল উটের দুধে কখনও দই হয় না যে...।
মজার ইংরেজি
১৫ অক্ষরের একমাত্র একটি শব্দ বলুনতো, যেটিতে একটি অক্ষরও দুইবার ব্যবহার করা হয়নি – কি, পারলেন না ? – “uncopyrightable”
বাঘের চামড়া তুলে নেব আমরা
বাঘের শরীর ডোরকাটা বা ছিটফোট কি কারণে হয় জানেন ? এর চামড়ার জন্য, পশমের জন্য না ।
আলফ্রেড নোবেল
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য (শান্তি সহ) যে “নোবেল” পুরুষ্কার দেয়া হয়, সেটি যার নামে সেই “আলফ্রেড নোবেল” (Alfred Nobel) ছিলেন ডাইনামাইটের আবিষ্কারক । অবশ্য তিনি মানব কল্যাণের জন্যই ডাইনামাইট আবিষ্কার করেছিলেন, আর এর পর থেকে মানব জাতি সেটি নিজেদের অকল্যাণের জন্যই বেশী ব্যবহার করে আসছে ।
১৮৮৮ সালে যখন “আলফ্রেড নোবেল” এর ভাই “লুদভিগ” (Ludvig) মারা যান, তখন এ ঘটনায় ফ্রান্সের কিছু দৈনিক পত্রিকা ভুলক্রমে এটিকে “আলফ্রেড নোবেল” এর মৃত্যু হয়েছে বলে তাদের পত্রিকাগুলোতে প্রকাশ করে । পত্রিকাগুলোর হেডলাইন ছিল এরকম – “The merchant of death is dead”, বংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় “মৃত্যুর ব্যবসায়ি আজ মৃত্”। আলফ্রেড নোবেল ব্যপারটি যথাযথই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন সেদিন ।
অতঃপর ১৮৯৫ সালের ২৭শে নভেম্বর আলফ্রেড নোবেল তাঁর সমস্ত সম্পত্তি এই নোবেল প্রাইজের যাবতীয় খরচ বহনের জন্য উইল করে দেন ।
আফসোস্ আমাদের বড় বড় নেতারা যদি এই ব্যপারটি একটু অনুধাবন করতে পারতেন !!
খাদ্য মজুদ
সস্তায় খাদ্য পেলে বেশী করে কিনে রাখেন ? ঐ যে চাল, ডাল, মাছ, মুরগী এই আর কি... । বলি, সস্তায় পেলে মধু’ও একটু বেশী করে কিনে রাখবেন । কারণ আর কিছুই না, সাধারণ একটি কাঁচের জারে রেখে দিন আর অনেকদিন রেখে খেতে পারবেন, কতদিন ? - বেশী না, মাত্র তিন হাজার বছর ! নষ্ট হবে না
কত কষ্টের এই মধু !
এখন মধু তো কিনবেন, খাবেনও । কিন্তু জানেন মাত্র এক পাউন্ড (প্রায় আধা কেজি) মধুর জন্য একটি মৌমাছিকে প্রায় বিশ লক্ষ ফুল ঘুরে আসতে হয় ? এত কস্টকর ! এ জন্যেই বোধহয় অমন হুল ফোঁটায় !
কোকা কোলা"
কোকা কোলার রং কি জানেন? কি... কালো? মোটেই না। রং না মেশালে কোকা কোলার রং হত সবুজ"।
- জানেন? ইন্টারনেটে অনেক জায়গায় প্রকাশিত উপরোক্ত তথ্যটি একটি গুজব! আমিও জানতাম না, কিছুক্ষণ আগে জানতে পারলাম।
তবে আমার কি মনে হয় জানেন? কোকা কোলা সবুজ হলেই বেশী আকর্ষণীয় হোত হয়ত!
ভূমিপম্প ও মথ
মথ আছে না ? ঐ যে, প্রজাপতির মত দেখতে ? ভূমিকম্পের সময় নাকি ওরা আর উড়তে পারে না, কারণ ? আমারতো মনে হয়, ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হবার যায় আরকি... ।
অ্যান্টার্কটিকায় যাবেন নাকি?
অ্যান্টার্কটিকার সাদা বরফের দেশে ঘুরতে যাবেন নাকি ? যান, আমি কিন্তু যাব না ! কেন ? ঐ সাদা বরফের প্রায় শতকরা তিন ভাগই নাকি পেঙ্গুইনের জমীভূত প্রস্রাব ! প্রস্রাব আবার আমার ঘেন্না লাগে কিনা !
বরফ জমান তাড়াতাড়ি
আমি বলি কি, অ্যান্টার্কটিকায় যাবার চেয়ে বরং ঘরেই তাড়াতাড়ি কিছু বরফ জমিয়ে নিন । আর গড়াগড়ি খান ওটার ওপর । লে এবার, তাড়াতাড়ি বরফ জমাবেন কি ভাবে ? সব কিছুই যদি আমার বলতে হয়, তাহলে কি আর করা ! হাতের কাছে গরম পানি আছে ? তাহলে ওটিই রেখে দিন ফ্রিজারে । কারণ ঠান্ডা পানির চেয়ে গরম পানিই নাকি তাড়াতাড়ি বরফে পরিণত হয় । বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন ।
আসল মুক্তা !
আসল মুক্তা চেনার একটি সহজ উপায় আছে । আসল মুক্তা নাকি ভিনেগারে ডুবিয়ে রাখলে গলে যাবে । আরে বাবা গলেই যদি যায়, তাহলে আর আসল মুক্তা চিনে আমার কি লাভ ? বরং অন্য ভাবে চেনার চেষ্টা করি...!
জেনে নিন আপনার মস্তিষ্কের খবর
আপনার মস্তিষ্কের খবর তাও আবার আমার কাছে জানতে চাচ্ছেন ? তবে জেনে নিন, আপনার মস্তিষ্কে বুদ্ধিমত্তা কতখানি আছে তা বলতে পারবনা ঠিকই, তবে আপনার মস্তিষ্কের শতকরা আশি ভাগই কিন্তু – পানি !
মেয়েদের শার্ট, ছেলেদের শার্ট
শার্ট কিনে এনেছেন ? আচ্ছা, বোতাম কোনদিকে আছে বলেন তো ? কি ? বাম দিকে ? তাহলে ওটা মেয়েদের শার্ট । ছেলেদের শার্টে বোতাম থাকে ডান দিকে ।
পিরামিড রহস্য
মিশরের “গীজা” নামক পিরামিডটির নাম শুনেছেন ? ঐ পিরামিডের ভেতরকার তাপমাত্রা নাকি সবসময়ই ৬৮ ডিগ্রী ফারেনহাইট থাকে । ঋতু পরিবর্তনেও এই তাপমাত্রা কম বেশী হয় না । বাবা এটি আবার কোন রহস্য হোল নাকি ? ফারাওরা কতকিছু জানত ! হয়ত কোন তাপামাত্রা নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বসিয়ে রেখেছে কোথাও ? একটু খুঁজে দেখলেই হয় ! তা না ! শুধু বক্ বক্ আর বক্ বক্ ।
রক্ত দিন জীবন বাঁচান
এতো গেল পিরামিডের রহস্যের কথা, আপনার নিজের মধ্যেই তো কত রহস্য লুকিয়ে আছে...। কি রহস্য, জানতে চাচ্ছেন ? আচ্ছা বলি, রক্ত দিয়েছেন কখনও ? এই রক্ত দেবার সময় প্রস্রাব করে দেখুনতো, পারেন কিনা ? যদি পারেন তাহলে আমাকে দয়া করে জানাবেন একটু ।
রক্তে প্লাজমা দরকার? পাচ্ছেন না?
আপনার শরীরের আরেকটি রহস্যের কথা বলি, আপনার বা আপনার নিকটতম কারও যদি কখনও রক্তে প্লাজমা দরকার হয়ে পড়ে আর আপনারা তা জোগাড় করতে না পারেন, তাহলে ডাক্তারকে কষ্ট একটু জিজ্ঞেস করবেন – আপাততঃ কচি ডাবের পানি দিয়ে কাজ চালাবেন কিনা। কারণ কচি ডাবের পানি দিয়ে নাকি এই কাজ চালানো যায় । এবার গেল তো কচি ডাবের দাম বেড়ে !
আবারও মোনালিসা!
“লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি”র মোনালিসার কথা তো এর আগের পোষ্টে লিখেছি । তিনি যে, মোনালিসার ছবিতে ভ্রু দেন নাই তা খেয়ালও করেছেন নিশ্চয়ই । কিন্তু সত্যি সত্যি ভালো করে ছবিটা খেয়াল করেছেন ? ভালো করে খেয়াল করলে দেখতে পেতেন লিওনার্দো ভাই ছবিতে কোন স্বাক্ষর বা তারিখও দেন নাই, তখন যে স্বাক্ষর বা তারিখ দেবার প্রচলন ছিল না তাও না, তবে কেন দেননি ? ঐ আরকি আমাকে একটু খাটিয়ে নেবার জন্য, সবকিছু তো আবার আমারই খেয়াল করতে হয় কিনা...!
আজব ডলফিন !
ডলফিন হচ্ছে একমাত্র প্রাণী (তিমি’র মতই ডলফিনও কোন মাছ না) যে ঘুমন্ত অবস্থায় ঠিকমত চলাফেরা করতে পারে, এরা এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায় । এক্কেবারে আমাদের নাইটগার্ডদের মতো !
“ব্ল্যাক বক্স” মানে “কমলা বাক্স”
ইদানিং কিছু সাড়া জাগানো বিমান দূর্ঘটনায় অনেকেই “ব্ল্যাক বক্স” এর নাম শুনেছেন হয়ত । কোথাও কোন বিমান দূর্ঘটনা ঘটা মাত্রই বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে যে বস্তুটি উদ্ধার করা হয় সেটি হচ্ছে ব্ল্যাক বক্স, এই ব্ল্যাক বক্সেই থাকে বিমানের সকল ডাটা এবং সব রেকর্ড করা কথা বার্তা, ফলে বিমানটির দূর্ঘটনার কারণ জানতে এই ব্ল্যাক বক্সের এত গুরুত্ব । মজার ব্যপার হচ্ছে নামে “ব্ল্যাক বক্স”(কালো বাক্স) হলেও এর রং কিন্তু কমলা ।
আমার তিনটি হৃদয় দিয়েই তোমাকে সমান ভাবে ভালোবাসব
অক্টপাস যদি মানুষ হোত আর মানুষের মতই কথা বলতে পারত তাহলে সে তার প্রেমিক বা প্রেমিকাকে কি বলত জানেন ? – “ও আমার প্রিয়/প্রিয়া, আমি আমার তিনটি হৃদয় দিয়েই তোমাকে সমান ভাবে ভালোবাসব” । কারণ ? -অক্টপাসের হার্ট তিনটে ।
হিটলারও শান্তিতে নোবেল পুরুস্কার !
১৯৩৯ সালে যে কয়জন শান্তিতে নোবেল পুরুস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে হিটলারও ছিলেন। নোবেল পুরুস্কারটা দিয়ে দিলেই বোধ হয় ভালো হোত, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধটা হয়ত আর বাধাতেন না ।
“ব্লু টুথ” মানে নীল দাঁত
ব্লু টুথ চিনেনতো? জানেন এই ব্লু টুথ নামটি ১০ম শতাব্দীর ডেনমার্ক ও নরওয়ের রাজা “হ্যারাল্ড ব্লুটুথ গর্মসন” (Harald Bluetooth Gormsson) এর নাম থেকে নেয়া । আর উনার নাম ব্লু টুথ হয়েছিল কারণ নাকি উনি উনার দাঁতের এতটাই অযত্ন নিতেন যে, একসময় উনার দাঁত গাঢ় নীল রঙের হয়ে গিয়েছিল (এর পক্ষে অবশ্য কোন সত্যতা পাওয়া যায় নি) ।
কিচেন না টয়লেট?
সাধারণ মানের একটি বাসায় সবচেয়ে বেশী জীবাণু থাকে কোথায় জানেন ? হয়ত বলবেন টয়লেটে । আমিও তাই জানতাম। কিন্তু এখন জেনেছি সাধারণ মানের রক্ষণাবেক্ষণে একটি বাসায় নাকি টয়লেটের চেয়ে কিচেনে (রান্নাঘরে) এক লক্ষ গুণ বেশী জীবাণু থাকে ! বলি, থাকবেনা কেন ? ওদের কি ক্ষুধা লাগেনা নাকি ?
“তাজ মহল” এর না জানা কথা
আগ্রার তাজ মহল স্থাপত্যের নাম কে না শুনেছেন বা এর ছবি কে না দেখেছেন ? এর ইতিহাসও অনেকের জানা । কিন্তু এই “তাজ মহল” নামটির ইতিহাস কত জন জানেন ?
মুঘল শাসনামলে তৈরি হওয়া এই অমর স্থাপত্যটিকে মুঘলরা ডাকত “রওযা-এ-মুনাওয়ারা” (Rauza- i-Munavvara)। পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয় “রওযা-এ-মমতাজ মহল” (Rauza-i-Mumtaz Mahal)। সর্বশেষ উনিশ শতকে বৃটিশরা এর নামকরণ করে “তাজ মহল” হিসাবে ।
তো এই তাজমহল যারা দেখেননি, শুধু ছবি দেখেছেন, তাদের বলি- তাজ মহলের যে ছবিটি আপনারা দেখেছেন তা হচ্ছে তাজ মহলের পেছন দিককার ছবি । তাজ মহল এর সম্মুখ ভাগ আসলে যমুনা নদীর দিকে(এই যমুনা নদী টিকে ছবিতে তাজ মহলের পেছনে মনে হয়, কিন্তু তা পেছনে না, বরং সামনে) । তখনকার মুঘল সম্রাটেরা যমুনা নদী দিয়ে রাজকীয় নৌকায় চড়ে তাজ মহলে প্রবেশ করতেন ।
এত কিছু তো জানলেন ? এটি কি জানেন ?
চলবে -
এই সিরিজের অন্যান্য পোষ্টগুলিঃ
১। কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১
৩।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৩
৪।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৪
৫।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৫
৬।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৬
৭।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৭
৮।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৮
৯।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৯
১০।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১০
১১।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১১
১২।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১২