আমি ভাবছি অন্য কথা।
সরাসরি ভোট নয় পিকনিক হোক।।
ভোটের নামে মারামারি, চুরি ডাকাতি, গুলিবর্ষণ, খুন, গুম, হত্যা হুমকি না দিয়ে একটা বিকল্প ধারায় নির্বাচন করা যায়।।
সেটা আবার ক্যামন?
শুনুন তাহলেঃ-
✅ভোটের দিন প্রত্যেক উপজেলায় পিকনিক হবে।
✅প্রত্যক প্রার্থী তার নির্বাচনী প্রচারের সমস্ত বাজেট পিকনিকের জন্য ব্যয় করবে।
✅ পিকনিক/ভোট চলবে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।
✅ সারা বাংলাদেশে সকল ভোটার ১ মার্কায় ভোট দিবে।।
✅ সবার মার্কা থাকবে ১ টা কিন্তু প্রার্থী কোড ( ফিঙ্গার, চোখের রেটিনা স্ক্যান, আর জন্মসনদ/ ন্যাশনাল আই ডি/ শিক্ষাগত যোগ্যতা/ সম্পদের হিসেব ভেরিফাই করে প্রাপ্ত একটা নাম্বার) থাকবে আলাদা।
✅ সবাই ১ মার্কায় নির্বাচন করবে ফলে দলাদলি বা মারামারির সম্ভাবনা নেই। কারো কোন মিছিল মিটিং, সমাবেশ, পোস্টার ছাপানোর দরকার নেই।
✅সকল প্রার্থী কেন্দ্রে সুস্বাদু সব খাবার রান্না করবে। কেউ চাইলে নিজ এলাকার উন্নয়নের জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারে, যেমন রাস্তা ঘাট, পুল ব্রিজ, যাত্রী ছাউনি, স্কুল, এনিথিং সামাজিক কাজ, যার যতো পসিটিভ কাজ থাকবে সে তত নমিনেশন পাবার যোগ্য।
✅ যে যেই কেন্দ্রে ঢুকবে সে সেই কেন্দ্রের পিকনিকের আয়োজকের ভোঁটার। কেন্দ্রে ঢোকার সময় আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ঢুকবে মানে ভোট হাফ হয়ে গেছে, পেটপুরে যখন খেয়ে বের হবে তখন চোখের মনি স্ক্যান করা হবে সাথে খুশি কিনা এর জন্য (হ্যাঁ, না ) দুই টা বাটন থাকবে। সবাই গোপনীয় ভাবে সেটা প্রকাশ করবে।।
৫ টা ( না ) তেঁ একটা মূলভোট কাটা যাবে।।
✅ বিভিন্ন রকমের, মাছ মাংস, ফল- ফলের জুস, শরবত, মিষ্টি জাতীয় খাবার, আচার, বিরিয়ানি, তেহারি, কালা ভুনা, খাসি, রোস্ট, ঝাল ফ্রাই, চিকেন, কাবাব, গ্রিল, দেশি- বিদেশী যতো রকম সুস্বাদু রান্নার আয়োজন করা যায় ততই ভালো। প্রতিযোগিতা থাকবে কোন প্রার্থী কত বেশী আইটেমের খাবার খাওয়াইতে পারে।।
✅নির্বাচন কমিশন সারা দেশের জন্য একটা মার্কা আর উপজেলা অফিসারগন ভোঁটার অনুপাতে ভোট কেন্দ্র সিলেক্ট করে দিবেন।
✅দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেউ ভোট/পিকনিকে অংশ নিতে পারবে। সোজা কথা আমার বাড়ি পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়, এখন আমার মনে ধরছে রংপুর এর নেতাকে, তাই আমি রংপুর গিয়ে ভোট দিতে পারবো, তবে শর্ত এই যে, ১ টা স্থায়ী ভোট সমান ৫ টা অথিতি ভোট কাউন্ট হবে এবং ৫০০ এর বেশী অতিথি ভোট কাউন্ট হবে না।।
✅নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সুপরিচিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে দিয়ে লটারির মাধ্যমে কেন্দ্র / পিকনিকের স্পট নির্বাচন করে দিবেন।।
✅সরকার প্রত্যক কেন্দ্রে পর্যাপ্ত প্রসাশন দিবেন, সকল প্রধান সড়ক, ভোটকেন্দ্র লাইভ টিভিতে প্রকাশ করা হবে।
✅সবাই ফিঙ্গারিং ( আঙ্গুলের ছাপ) এর মাধ্যমে ভোট দেবে।
✅ একই ভোঁটার অন্য কেন্দ্রে ভোট/খাইতে গেলে মেশিন অটো সিগন্যাল দিবে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
✅ দিনশেষে কে কত মানুষ খাওয়াইলো বা সমাজের জন্য কি ভালো কাজ করলো সেটার বিবেচনা করে একজন লোককে নির্বাচন করা হবে।।
এভাবে সুন্দর আনন্দঘন পরিবেশে হয়ে যাবে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ নির্বাচন।
তবে সব কথার মূল কথাঃ যেই দেশে শিক্ষা এবং আইন বিলুপ্ত হয়ে যায়, সেই দেশ আর দেশ থাকেনা, অচিরেই রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়। এর ফলে?
উপনিবেশ হতে হয় অন্য কোন রাষ্ট্রের।
আমরা যাচ্ছি কোন দিকে?
ভোট এবং বনভোজন।।
মুহাম্মদ আল ইমরান
১ জানুয়ারি ২০১৯
ঢাকা, বাংলাদেশ।।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০৩