চলুন একটু ভেবে দেখিঃ-
বাউল সাধকদের গুরুত্বপূর্ণ সাধনা দেহতত্ত্ব নিয়ে। খাচার ভিতর অচিন পাখির সন্ধান। এই সন্ধান করতে গিয়ে সাধকদের নিজদের ভুলে যেতে হয়, কি ধর্ম, কি জাত, কি রং?
সকল অহংকার মাটিতে মিশিয়ে নিজেকে নতুনভাবে আবিস্কার করতে হয়।
যারা এই পথে হাঁটেন, তাঁরা ভুলে যান নিজেকে, তাঁরা ভুলে যান স্রষ্টাকে, কারন স্রষ্টা তাদের অন্তরে অবস্থান নেয়।
নিরাকার রুপের সাকার হয় সাধক। অন্তরে স্রষ্টা আর বাহিরে সাধক। তখন সাধক বলে ওঠে আমার ভিতরেই স্রষ্টা।
এই সাধনায় নিজ অন্তর কে শান্ত করতে হয়, ছয় রিপু নিয়ন্ত্রন করতে হয়।
সবচেয়ে বড় রিপু কাম রিপু।
বড় বড় সাধক কামের স্রোতে ভেসে গেছেন।
নিজেকে না ভাসিয়ে স্রোতের বিপরীতে দাড় বেয়ে ওপারে যেতে হয়। তবেই তো স্বর্গীয় সুধা।
এখন আসি মূলকথায়ঃ-
কোন ধর্মই মেনে নিবে না আপনি অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন বা আপনি আপনার ইচ্ছামত সব কিছু করেন।
কোন নিয়ম নীতির বাইরে থেকে ইচ্ছেমত বৈরাগী হয়ে ঘুরে বেড়ান।
সামাজিক জীব হয়ে বেঁচে থাকতে হলে ধর্ম, সমাজ -পরিবার, পরিবেশ ও রাষ্ট্রের নিয়ম- কানুন মেনে চলতে হবে।
কিন্তু ফকিরি তত্ত্বে, ধ্যান, ধারনা, চেতনা, কামনা সব আলাদা।
তাই তাঁরা আলাদা একটা গোষ্ঠী।
ধর্ম দিয়ে বিচার করলে এরা ধার্মিক না।
সমাজ দিয়ে বিচার করলে এরা সামাজিক না।
রাষ্ট্র দিয়ে বিচার করলে এরা রাষ্ট্রের নিয়মের বাইরে।
এখন, এরা আসলে কি?
এরা মানুষ জাতি, তবে এদের নির্দিষ্ট কোন ধর্ম নেই। হাঁ একটা মুলতন্ত্র আছে , সেটা হল মানবধর্ম।
যে ধর্মে একই গৃহে ব্যাস করবে হিন্দু-মুসলিম, বুদ্ধ- খ্রিস্টান, নাস্তিক সবাই।
কেউ কেউ মেনে নিচ্ছে তাদের এই জীবন-যাপন, কেউ বিরোধিতা করছে।
আমি মূর্খ, আমি জানিনা কোনটা ভুল, কোনটা সঠিক।
তবে আমি যদি ধার্মিক হই তবে বলবো এরা পথভ্রষ্ট।
জ্ঞানকে সঠিক ভাবে সঠিক পথে ব্যাবহার করলে হয়তো আলোর সন্ধান পাবে।
নতুবা তাঁরা যেদিকে আগ্রসর হচ্ছে সেটাকেই আলোর পথ ভেবে নিয়েছে।
পাগল ইমরান
১০-০২-২০১৭
ঢাকা, বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৩৭