ধর্মসুত্রে পাওয়া ১ টা অপরিচিতা মাঝে মাঝে আসে,
মায়াকান্না নয়, কিছু ঋণ ছিল পৃথিবীতে।
গত পরশু বিকেল বেলা,
অশ্রাব্য ভাষায় বকেছেন আমার পাওনাদার।
আমার অবর্তমানে তাকেই শুনতে হচ্ছে।
মহাকালের ঋণচিত্র;
ছমির সাহেবের ৫০ হাজার, সালেহা খালার ৪০ হাজার,
স্বর্ণকারের দোকানে ২০ হাজার, নাসির সাহেবের ২ কাঠা জমির দলিল,
ছেলের স্কুলের বেতন বাকী ৫ মাস,
মাস্টারমশাই বকেছেন,
ফকিরের ছেলেমেয়ে এই স্কুলে পড়ে না, কম টাকার স্কুলে চলে যেতে বলেছেন।
মেয়ের প্যান্ট ছিঁড়ে গেছে, একটা কিনে দিয়েছিলাম
রং পছন্দ হয়নি পড়বে না,
২ বছরের বাচ্চা, কিভাবে জোর করে ? কিছু বললে কান্না করে দেয়
সারাদিন না খেয়ে থাকে, কারো সাথে কথা বলে না, কেবল চেয়ে থাকে।
অত টুকু বাচ্চা না জানি কত সাগর সেঁচে বেড়ায়।
মা কাল এসেছিল, আমার জন্য পাত্র দেখেছে,
ঐ মহল্লার কাশেম চাচা,
আমি যদি বিয়েতে রাজি হই সমস্ত ঋণ পরিশোধ করে দিবে।
আমায় কিনে নিবে, তোমার আয়ান আর আয়াত কেও।
আজ একটা অনুমতি নিতে এসেছি,
আমাকে তোমার কাছে নিবা?
আমি তো তোমার সাথেই অনন্তকালের যাত্রী হতে চেয়েছিলাম
কেন ৫ মাস অপেক্ষা করালে?
কাল আসবো তোমার কাছে, ক্যামন?
কবরের পশ্চিম পাশের জানালা টা খুলবে
একবার দেখিও সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বেলেছি কিনা।
হু হু হু করে কেঁদে প্রস্থান নিলো ধর্মসুত্রে পাওয়া অপরিচিতা ।।।
আমি তাকে বারন করিনি, কারন;
জাহান্নামেই যখন পুড়বো,
আসো একসাথে পুড়ি।
পিয়াস মাহমুদ জিসান
সুবহে সাদিক
১৫.১১.২০১৬
উত্তরা, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:২১