বিশ্বের ৮০ শতাংশ উদ্ভিতের (পরোক্ষভাবে মানুষ ও প্রাণীর) প্রত্যক্ষভাবে বংশবৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে মৌমাছি। এরা যেই কাজগুলো করে, তা যদি যন্ত্রের মাধ্যমে করা সম্ভব হতো তবে এই কাজের বাত্সরিক মূল্য দাড়াত আনুমানিক ২৬ হাজার কোটি ইউরো (প্রায় ২৬ লক্ষ কোটি টাকা) ।
শুধু তাই নয়, মধুতে রয়েছে এমন কার্যকরী উপাদান যা হজমে, মাথার চুলপরা রোধে, দেহের রোগ-নিরাময় ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, শরণশক্তি বৃদ্ধিতে, শিশুদের শ্বাসনালীর সংক্রমণে কাশির চিকিৎসায়, ক্ষত ও জখমের উপশমে সহ আরো অনেক অনেক ব্যাপারে অতি কার্যকর।
অপরদিকে এরা যদি না থাকতো (আল্লাহ যদি এদেরকে মানবের/বিশ্বের জন্যে সৃষ্টি না করতেন), তবে প্রকৃতির বিশাল এক বিভাজন-বিস্তৃতি পুরোপুরি অসম্ভব হতো।
"আপনার পালনকর্তা মধু মক্ষিকাকে আদেশ দিলেনঃ পর্বতগাহ্রে, বৃক্ষ এবং উঁচু চালে গৃহ তৈরী কর, এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উম্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।" - (সূরা নাহল :১৬:৬৮-৬৯)