মাকে নিয়ে আজকে আমাদের সবার গভীর ভালবাসা দেখে ভালো লাগছে। সারা বিশ্ব আজ মাকে নিয়ে একটি বিশেষ দিন উদযাপনের পক্ষপাতি বলে আজকের দিনটাকে বেছে নেওয়া। অথচ আমরা ভালো করেই জানি যে ইসলামে মায়ের মর্যাদা আরো কত কত উপরে যা একটি দিনের উদযাপনে কস্মিনকালেও সম্ভব না :-
১. আল্লাহ তার ইবাদতের পরেই অতি জোর দিয়েই মা ও বাবার মর্যাদার কথা বলেছেন, আল কোরানে সর্বদা "তাদের প্রতি সহানুভুতি প্রদর্শন" করতে বলা হয়েছে।
‘আমি (আল্লাহ) মানুষকে নিজের মাতা পিতার সাথে সুন্দর আচরণের তাগিদ দিয়েছি। কেননা তার মা তাকে অত্যন্ত কষ্ট করে নিজের পেটে ধারণ করেছে এবং অতি কষ্টে তাকে ভূমিষ্ঠ করেছে এবং পেটে ধারণ ও দুধ পান করানোর (কঠিন কাজ) মুদ্দত হলো আড়াই বছর।’ (সূরা আল-আহকাফ, আয়াত নং-১৫)।
‘আমি মানুষকে তাদের মাতা-পিতার ব্যাপারে উত্তম আচরণের তাগিদ প্রদান করেছি। কেননা তার মা কষ্টের পর কষ্ট স্বীকার করে তাকে গর্ভে ধারণ করেছে এবং দুই বছর পর সে বুকের দুধ খাওয়া ছেড়েছে। তুমি তোমার নিজের সৃষ্টির জন্য আমার শোকর আদায় করো এবং তোমার লালন-পালনের জন্য পিতা-মাতারও কৃতজ্ঞতা আদায় করো।’ (সূরা লুকমান, আয়াত নং-১৪)
২. বৃদ্ধ পিতামাতার প্রতি যত্নবান হতে বলা হয়েছে, সামান্যটুকু বিরক্তিসূচক শব্দ "উহঃ" উচ্চারণ করতেও নিষেধ করা হয়েছে।
৩. জান্নাতের মর্যাদাকে "মায়ের" প্রতি একনিষ্ট সেবনের সাথে তুলনা করা হয়েছে :- "...মায়ের পায়ের নিচেই জান্নাত।" (ইবনে মাযাহ, নাসায়ি শরিফ)
৪. মা যদি আমাদের ইসলামকেও ঘৃনা করে তারপরেও তার সাথে উত্তম আচরণের কথা বলা হয়েছে।
"অবশ্যই তুমি তোমার মায়ের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে থাক।"(সহিহ বুখারি শরিফ)
ওহে আহবানকারী,
জান্নার তো আমার ঘরে!!! একদিন নয়, জান্নাত পেতে হলে তো প্রয়োজন 'মা দিবস প্রতিদিন'