১.কোন এক সিনেমা হলের টিকেট চেকারের একটা মেয়ে টিয়া পাখি ছিল। টিয়াটা কথা বলতে পারতো। মুলত: চেকারকে সাহায্য করার জন্য টিয়াটি কথা বলতো। হলের প্রতিটি শো এর আগে দর্শকরা টিকেট কেটে যখন হলে ঢুকতো তখন টিয়াটি বলত--" একে একে আয়! লাইন ধরে আয়"! তো একদিন হঠাৎ করে টিয়াটি হারিয়ে গেল। বেচারা টিকিট চেকার দুই তিন দিন অনেক খুজেও টিয়ার সন্ধান না পেয়ে আশা ছেড়ে দিল। একদিন সকাল বেলা হাসপাতাল থেকে টিয়ার খবর এলো। চেকার হন্তদন্ত হয়ে হাসপাতালে গেলেন এবং টিয়াকে জিজ্ঞাস করলেন এতদিন তুই কোথায় ছিলি?? টিয়া বলল--" আর বলিস না। তোর এখান থেকে গিয়েছিলাম জঙ্গলে। অনেক ছেলে টিয়া দেখে অভ্যাসবসত ওখানেও বলে ফেললাম "একে একে আয়! লাইন ধরে আয়", তারপর আমি এখানে!!
২.আবুল আর বাবুল দুই ভাই পট্টিথেকে মদ খেয়ে চূর হয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলে পথে বেরসিকের মতো পুলিশের আগমন অতপর অভ্যর্থনার সাথে হাজতে চালান ।
আবুল সাথে থাকায় রক্ষে মিষ্টি কথায় পুলিশকে পটিয়ে রাতের সিফটের মাইর থেকে রক্ষে মাগার পারদিনে জজের সামনে দাড়াতে গলো । সে খানেও তার প্রতিভা সুলভ চাপাবাজিতে মাহাজনের মন দ্রবিভূতো তাই তিনি বল্লেন তোমাদের ব্যাবহারে খুশি হয়ে তোমাদের একটা চান্স দিতে চাই " তোমরা কালকে আবার ভাটিতে যাবে এবং তোমার পরিচিতো মদ খোরদের বলবে মদ না খেতে " । পরদিন আবুল আর বাবুল জজের সামনে হাজির জজসাহেব জিগাসিলেন বাছা তোমাদের পারফরমেন্স কেমন হলো?. বাবুল আমি কালকে ১০ জনকে চিরদিনের জন্য মদ খাওয়া ছাড়তে প্রেরণা জুগিয়েছি উৎসুক বিচারক বললেন, কিভাবে? বাবুল বলল কাগজ আর কলম দেন। দেওয়া হলো। বাবুল বলল, প্রথমে দুটো বৃত্ত একেছি এরকম। একটা ছোট একটা বড়। বলেছি, এই বড় বৃত্তটা মদ খাওয়ার আগে মানুষের মগজ যেমন থাকে। আর ছোটটা হচ্ছে মদের নেশায় চুর হওয়া মানুষের। ওরা আমার কথায় নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। জজ সাহেব পিঠ চাপরে দিলো
এবার আবুলের পালা। সে বলল, মাননীয় আদালত আমি তো দুশো জনকে মদ খাওয়া ছাড়িয়েছি। জজ চেয়ার থেকে ছিটকে পড়েন আর কি!! কিভাবে কিভাবে???। আবুলে বলে ওই একই ভাবে বৃত্ত একে!!। জজ বলে- ক্যামনে কি? আবুলের বলল, আমি একই বৃত্ত দুটো দেখালাম। আর সবচেয়ে ছোট বৃত্তটা দেখিয়ে বললাম এটা জেলে ঢোকার আগে গুহ্যদ্বারের:-/ ছবি
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:৩৮