ফেসবুকে এক বন্ধুর সাথে চেট করতেসিলাম মাস দুইয়েক আগে। কথায় কথায় বন্ধুদের সাথে আলাপ হইলে যা হয় আর কি একটু আধটু গালি গালাজ আইসাই পড়ে। বন্ধু গালি শুইনা বইলা বসলো কিরে ব্যাটা হ্যান্নাইনার মত গালি দেস কি মনে কইরা? অবাক হইয়া জানতে চাইলাম হান্নাইনা আবার কে? এরপর বন্ধু এক কুতুবের ফেসবুক আইডি দিলো। ফেসবুক আইডি দেইখাই তো আক্কেল গুড়ুম। এইসব কি দেখি। এই পোলা তো আসতে যাইতে খাইতে গালি দেয়। শালা থেইকা শুরু কইরা এমন কোন গালি নাই যে এই পেইজে চর্চিত হয়না। এক দঙ্গল পোলা পাইন সমানে গালি দিতেসে আজাইরা সব নিক দিয়া। নাম হইলো দলকানা বিলি আর কিসব বাল ছাল। এসব দেইখা হাসতে হাসতে জান শেষ।
প্রথম দিন ভালোই মজা পাইলাম। একটা মানুষ গালি ছাড়া একলাইনও লিখতে পারে না এইটা দেইখা মনে হইল এই পোলার সমস্যা কি? তারপর দেখলাম অমি রহমান পিয়াল ভাইরে নিয়া সারাদিন উলটা পালটা একটার পর একটা লেখা লিখতাসেই আর লিখতাসে। পুরা ব্যাপারটা এমন যে পুরা অনলাইনের সবাইরে গাইলানির লীজ নিসে এই লোক। সে গালি দেয় আর তার ভাড়া করা কিছু নিক আইসা সেই গালিরে সাপোর্ট দেয়। অস্থির অবস্থা। অনলাইনের এক বিশাল হ্যাডম ভাব। দেইখা হাসতে হাসতে আর নাই।
দুইমাসে এই পোলার খোজ খবর লাগাইলাম। জানলাম পোলার নাম রাসেল না, আসল নাম মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান। রাসেল রহমা নাম দিয়া ফেসবুকায়। চ্যানেল আই থেইকা লাথি দিয়া বাইর করসিলো ক্যামেরা চুরি করার লাইগা। বাড়ী হইলো নোয়াখালি। এর বাপ ছিলো প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার। দুইটা বোন আছে বিয়া হয় নাই। একটা ছোট ভাই আছে, পাড়ার মাস্তান টাইপের। ধান্দাবাজি কইরা এদিক সেদিক থেকে খায়। একসময় কাম করতো বি এনপির গেয়াস আল মামুনের অফিসে। এখন তাফালিং কইরা এইদিক সেইদিক থেইকা খায়, কোনোমতে সংসার চালায়। একটা মাইয়া আছে চাইর বছরের। সেই মাইয়াও আবার স্কুলে পোলাপাইনরে ধইরা মাইর আর গালিগালাজের লাইগা রিসেন্টলি স্কুল চেঞ্জ করসে। হান্নাইন্ন্যার বউরে মগবাজারের মানুষ জানতো একটা ঝগড়াটে মহিলা হিসেবে। সারাদিন এর তার সাথে গেঞ্জাম, ঝগড়া, গালিগালাজ নিয়াই দিন কাটে।
মানে দাড়াইলো এই হান্নান একটা ভয়াবহ অসুস্থ পরিবার থেইকা আগত। ঘরে শান্তি নাই, ভাত নাই, সংসার চলে না। রেকর্ড খারাপ। ইটালীতে টাকা কামাইতে গেসিলো সেইখান থেইকাও ডিপোর্ট, সৌদির জেদ্দা থেইকা রফিকুল নামে এক চেহেলের ২৭ লাখ টাকা মাইরা চইলা আসছে। দুইটা মামলা আছে এর নামে। বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা।
এমন একটা মানসিক অবস্থানের পর হান্নাইনা ফেসবুকে আইসা সবাইরে তো আর চুমা দিবে না, গালি গালাজ কইরা নিজের সব অশান্তি অন্যের মইধ্যেই দিতে চাবে এটাই স্বাভাবিক।
হান্নানের ফেসবুকে কি অপরাধ হয়না? সাইবার ক্রাইমের এমন কোনো দিক নাই যে সেখানে হয়না। মহিলাদের হয়রানি, হুমকি, ধামকি, ভার্চুয়াল ধর্ষন, কারো পরিবারে অশান্তি, পর্ন মেটারিয়াল আপ্লোড, হেক কইরা জিনিস পত্র আপ্লোড, কুৎসা, গালি গালাজ, প্রতারণা সহ সব ধরনের অপরাধ হয় এই ফেসবুক আইডিতে। আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গাইয়া সমানে চলতেসে এইসব সাইবার ক্রাইম। পুরা ফেসবুকবাসী এই হান্নানের জন্য আসলে অতিষ্ঠ। ফেসবুকের পরিবেশ দুষিত করে ফেলসে আব্দুল হান্নান তার সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে।
কেউ আওয়ামীলীগ সাপোর্ট না করলেই তারে ধরে হুমকি ধামকি গালি গালাজ চলতে থাকে। যেন একটা ফেসবুক আইডি দিয়াই সে একটা বিরাট মস্তান।
আসলে সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে এই হান্নানের কোনো মানসিক নিরাময় সেন্টারে ভর্তি হওয়া উচিত। তা না হলে সে তো সমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।