চার সিটি নির্বাচনে এক হালি খাওয়ার পর আওয়ামীলীগের মাথা এখন নষ্ট। কি করবে বুঝতে পারতেসে না। এই যুগের বাংলায় একে পুরাই চৈত্র মাসের সেই বিখ্যাত প্রাণীর মত ** পাগল অবস্থা। গাজীপুরে না জিত্তে পারলে তো লূংগি ধইরা টান এই জন্য যত রকমের অবৈধ কাজ করা যায় তার সব কিছুই গুছিয়ে এনেছে হাসিনার আওয়ামীলীগ। গাজীপুরের জনপ্রিয় এবং বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীরকে তাই পিটিয়ে ভর্তি করানো হোলো এপোলোতে। বেশী কথা না বাড়াইয়া আসেন একটু দেইখা নেই বেচারা জাহাঙীরের কি হোল
১) দলীয় সিদ্ধান্তে অজনপ্রিয় আজমত উল্লাহকে মনোনয়ন, জনপ্রিয় প্রার্থী জাহাঙ্গীর কে উপেক্ষা
২) জাহাঙ্গীর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবার সিদ্ধান্ত নিলেন
৩) এক্ষেত্রেও বিপত্তি। নির্বাচন কমিশন নানান কারন দেখিয়ে জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল করলো ১৩ জুন
৪) হাইকোর্টে এক রিটের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষনা এবং জাহাঙ্গীরের জন্য প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ ১৬ জুন
৫) জাহাঙ্গীর এই আদেশের প্রেক্ষিতে আনারস প্রতীকে শুরু করলো তাঁর প্রচারণা
৬) আওয়ামীলীগ চার সিটি নির্বাচনে গো হারা হেরে এখন পাগল প্রায়। তারা গাজীপুরে জিতার জন্য জাহাঙ্গীর কে নির্বাচন থেকে সরে যাবার জন্য নানা চাপ দিতে লাগলো
৭) লোভ দেখালো এম পি বানাবার, লোভ দেখালো আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ দেবার...এক পর্যায়ে হাসিনা জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বললো কিন্তু লাভ হোলো না
৮) লোভের ফাঁদে জাহাঙ্গীর পড়লো না। শুরু হোলো হুমকি। লিয়াকত শিকদারের কমান্ডো অভিজানে জাহাঙ্গীরকে তুলে নিয়ে গেলো আওয়ামীলীগের গুন্ডা বাহিনী, কোনো খোঁজ নেই জাহাঙ্গীরের। প্রচার করা হোলো যে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন
৯) চার দিন পর জাহাঙ্গীরকে আবিষ্কার করা হোলো এপোলো হাস্পাতালে। পিঠ থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত পিটানো হয়েছে জাহাঙীরকে। ভাগ্য ভালো যে মারে নাই
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৯