লাইফের ফার্স্ট গিফট,মানে জীবনের প্রথম উপহার!! এক কথা দুইভাবে কেন বললাম জানি না, হয়তোবা ফিলিংসটা অন্যরকম,তাই রিপিট হয়ে গেছে অটো। উপহারটা এমন কারো কাছ থেকে এক্সপেক্ট করি নি! মোটামুটি ভাবে সাপে নেউলে সম্পর্ক তেনার সাথে আমার! সেই তিনি আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই যখন পান্জাবিটা আমার সামনে রেখে চলে গেলেন,তখন একটু কেমন কেমন জানি লাগছিল,সেটা কোন ভাবেই অস্বস্তি ছিল না,বরং ছিল চাপা উচ্ছাস! অপ্রকাশ্য সেই উচ্ছাস কিন্চিত বিরক্তিতে রুপ নিল সকাল বেলা পান্জাবিটা গায়ে চাপানোর পর! ভাইয়ের বদৌলতে বাউন্ডুলে আমি হাজারের উপরে পান্জাবি গায়ে চাপিয়ে আমার ৪০০ টাকার পান্জাবির সাথে তেমন তফাত খুজে পেলাম না। :/ ভাইয়ের গম্ভীর চেহারার সামনে নকল হাসি দেখিয়ে মনে মনে আমি হিসেব কষছিলাম,এই হাজার টাকা যদি ভাই আমায় সালামী দিত,তাহলে কি কি করতাম আমি?? ভেবে দেখলাম,মাস শেষে হাজার টাকা পকেটেই থেকে যেত,কারন টাকা খরচ করার জায়গা খুজে পাই না আমি কখনোই!! :3 তারপরেও পকেটে হাজারের উপর টাকা থাকা সেইই ভাবের বিষয়,ভাব দেখানোর জন্যে হলেও টাকাটা পেলে ভাল হত! ভাইয়ের গম্ভীর চাহনি দেখে চাপা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ঈদগাহের পথে হাটা দেওয়াই শ্রেয় মনে হল,তৎক্ষণাৎ!
ভাইয়ার গম্ভীর চাহনি বুঝলেও গরুর ছলছল চোখের কাছে ধোকা খেতে হল আমার! গরুর শক্তির অবহেলার মাশুল পেতে হল পায়ে গরুটার শিঙের গুতো খেয়ে! ৭ জন ধামড়া ধামড়া আমরা বহু কসরতে গরুটাকে যখন মাটিতে শোয়ানোর চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলাম,ঠিক তখনই কোন এক ফাকে গরু তার ভালোবাসার চিহ্ন রেখে গেল আমার শরীরে!!!!
,
ভাইয়ের উপহার,ভাইয়ের গম্ভীর চাহনি,গরুর মায়াবী চাহনি,গরুর শিঙের গুতো!!
আহ ঈদ,উহহ ঈদ!