অমানবিকতা ,নৃশংসতা, আমরা তথাকথিত সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ এই কাজগুলো এড়িয়ে চলি। এর বীভৎস রূপ যেন কোথাও মাথাচাড়া দিতে না পারে তার জন্য অবরোধ অনশন আন্দোলন করি। মানবতার ধ্বজাধারী আমরা, এই অমানবিকতা নৃশংসতার সুস্বাদু ফল ভোগ করতে কিন্তু মনে অপরাধবোধ আসেনা।
কঙ্গো নামে আফ্রিকায় একটা দেশ আছে । ওখানে খনিতে কলম্বাইট ট্যানটালাইটস (কোল্টন) তুলতে গিয়ে রোজ শিশু মহিলা সহ অনেকেই মারা যায়। ওদের গোলামের জীবন। নাম মাত্র পারিশ্রমিক বা বিনা পারিশ্রমিকে ওদের ঘাম, রক্ত, জীবনের বিনিময়ে আমাদের হাতে আসা কোল্টন ব্যাবহার হয় নানান ধরণের ইলেকট্রনিক যন্ত্রে, বিশেষ করে মোবাইলে। যেটা খুবই অল্প দামে আমরা বাজারে পাই। ভুলে যাই মানবতা।
পাঁঠার মাংস প্রায় সবার ই প্রিয়। কিন্তু ছাগল টা কাটতে পারবো ! পারবোনা। মনে হবে নৃশংস কাজ।কারণ ওই জীবন্ত প্রাণী আমাদের মনের মধ্যে মায়াজাল বুনে দেবে ।সেই মায়া কাটানোর সাধ্য সবার নেই। পাঁঠার দুঃখে দুঃখী হয়ে হয়তো প্রতিজ্ঞা করবো আর কোনোদিন মাংস খাবো না। কিন্তু কসাই! ও এসব কিছুই ভাবেনা। ওই কসাই এর নৃশংসতার কারণেই আমাদের পাতে এমন একটা অসাধারণ স্বাদযুক্ত পাঁঠার মাংসের ঝোল পাই।
কচি পাঁঠার মাংস খাই বাকি সব ভুলে যাই।।