কেবল আফগানিস্তান আর স্কটল্যান্ড কে হারালেই কি সব শেষ ? প্রায় একযুগ টেস্ট ক্রিকেট খেলার বয়স যাদের , তাদের কাছ থেকে আরও বেশি কিছু চাইবার থাকেই । আর ১৬ কোটি ক্রিকেট পাগল জাতি যাদের নিয়ে সপ্ন আঁকে , ৩২ কোটি চোখ যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা উম্মুখ হয়ে থাকে একটি বিজয়ের আনন্দে উল্লসিত হবার, তাদের বিশ্বকাপ সপ্ন এত তাড়াতাড়ি শেষ হবার নয়। হতে পারে না। আশা ছিল, আছে, থাকবে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনে এখনও আশার আলো প্রজ্বলিত । ৫ তারিখ স্কটল্যান্ড আর ৯ তারিখ ইংল্যান্ড কে হারানোর প্রত্যাশা করাটা খুব বাড়াবাড়ি হবে না। আর এই দুই জয় ই এনে দেবে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার নিশ্চয়তা । নিউজিল্যান্ড এর সাথে শেষ খেলাটি ১৩ তারিখে তখন জেতার সমীকরণে ততটা গুরুত্বপূর্ণ হবে না।
যাই হোক এবার আসা যাক এই তিন খেলার জন্য একাদশ নির্বাচন কেমন হলে যথার্থ হয়। এক্ষেত্রে আমার পছন্দ ব্যাটিং অর্ডার অনুযায়ী )
১। তামিম - অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে এই বিশ্বকাপে কিছু করতে না পারলে আর কোনদিন ই পারবে বলে মনে হয়না। সাম্প্রতিক ফর্ম খারাপ থাকলেও জ্বলে ওঠার প্রানান্তকর প্রচেষ্টা থাকতেই হবে।
২। আনামুল- ইনার ফর্ম ও তামিমের ন্যায় একই সুতোয় গাঁথা । আর কেউ নেই বিধায় জোড়া পূরণের জন্য আস্থা রাখতেই হবে। আর আস্থার প্রতিদান দেবে এই আকাঙ্ক্ষা থাকবে বরাবরের মতই।
৩। সৌম্য - হাতে মার আছে বলাই বাহুল্য । একটু ধরে খেললে চমৎকার একটা ঝড়ো ইনিংস আসবে-সাথে এগিয়ে যাবে রান রেট এর গতিও।
৪। মুশফিক- আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্বাচকেরা আশা করি মুশফিক কে তার অরিজিনাল পজিশন এই খেলাবেন ।
৫। সাকিব- এই জায়গা থেকে সাকিবের আগ্রাসী ব্যাটিং পাল্টে দেবে ম্যাচের গতিবিধি।
৬। সাব্বির- জি হাঁ , এটাই তার জন্য সঠিক পজিশন । সাকিবের থেকে যে বিস্ফোরণের শুরু- তা ধরে রাখতে সক্ষম হতে পারেন সাব্বির ই।
৭। রিয়াদ- স্বভাবসুলভ ধরেই খেলতে হবে। আর অন্যদের স্ত্রাইক দিয়ে ইনিংস এর শেষ পর্যন্ত এক প্রান্ত আগলে রাখলে বাকিদের মেরে খেলতে সুবিধাই হবে।
৮। মাশরাফি - সভাবসুলভ মেরে খেল্লেই হবে। বস এর কাছ থেকে যা সবসময় ই পাওয়া যায় ।
৯। তাইজুল- খুব ই কার্যকরী হবে বিশেষত বোলিং এ। আর এই পযিশন এ ব্যাটসম্যান দের কাছ থেকে তেমন কিছুই আশা করার থাকে না ছোট্ট মারকুটে ইনিংস ছাড়া- যেটা তে মোটামুটি পারঙ্গম এই বা হাতি ।
১০। রুবেল- লাইন লেংথ রেখে বল করলেই চলবে । সাথে দুর্বার গতি ত থাকছেই। আর ব্যাট হাতে দুএকটা চার ..।.।.।.।(না মারলেও চলবে)
১১। তাস্কিন- ভালো বোলার । গতি ও অসাধারন । আরেকটু লাইন লেংথ ঠিক করে বল করতে পারলে কাঁপন ধরিয়ে দিতে পারে তিন দলের যেকোনোটার ব্যাটিং অর্ডারেই ।
মমিনুল কে অপেনিং এর অপশন ধরা যেতে পারে । তাহলে ছেলেটা চাপ ছাড়া একটু স্বস্তিতে খেলতে পারবে। আর নাসির কে পরে নামিয়ে বল নষ্ট করার চেয়ে বিশ্রাম দিলেই ভালো হবে। আরাফাত সানি আর শফিউল কে দিয়ে আপাতত প্ল্যান করার কিছু দেখছি না ।
সবশেষে খুব বেশি বিশেশায়নে বিশেষিত না করে আমাদের ক্রিকেট দলের কাছ থেকে ভাল কিছুর প্রত্যাশা রইল । শুভ কামনা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। হারলেও পাশে আছি, জিতলেও আছি। থাকব আজীবন।