মেহেরপুর জেলার আশরাফপুর গ্রামের ছেলে “সিফাত”।
আর দশটা গ্রামের ছেলের মতই, মাছ ধরা, ঘুড়ি উড়ানো, মার্বেল খেলা, এই ছিল তাঁর ছোটবেলা। গ্রামের স্কুলেই লেখাপড়া শুরু, দিনগুলো চলছিলো ভালই। কোন চিন্তা নেই, কোন ভাবনা নেই, শুধু গরুর পিঠে চড়ে মাঠে মাঠে ঘুরে, ঘুড়ির নাটাইয়ে সুতোর মারপ্যাঁচে জীবনের আনন্দগুলোকে উপভোগ করাই যেন ছিল সিফাতের একমাত্র ভাবনা। শুনেছি মানুষ যত বড় হয় ততই নাকি তাঁর দুর্ভাগ্য বাড়তে থাকে, ফুরাতে থাকে আনন্দের দিন। সিফাতও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। টাকার অভাব তাঁর স্বপ্নের ঘুড়ির সুতো কেটে দিতে আসে, কিন্তু সিফাতের সাথে সে পারবে কেন? সব অভাব, সব ক্লান্তি, সে জয় করে নিপুণ দক্ষতায়। সাফল্য যেন তাঁর পোষ মানা পাখি, সে যা বলে তাই শোনে। কিন্তু মৃত্যু? মৃত্যুকে জয় করবে কিভাবে? মৃত্যুর কাছে হার মেনে যায় সিফাত,আর আমি হারিয়ে ফেলি সদা হাস্যজ্জ্বল আমার বন্ধুটিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের মেধাবী ছাত্র সিফাত।
আচ্ছা, কেও কি বলতে পারেন মৃত্যুকে জয় করা যায় কিভাবে? জানি...জানি যায় না, কিন্তু আমার বয়েশি ২৪ বছরের এক তরতাজা, হাস্যজ্জ্বল মানুষটা যখন আমাকে আর বলবে না, দ্যুতি কেমন আছিস? তখন মনে হয় ইস! যদি মৃত্যুকে জয় করা যেত!!!