কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের হাটাজারীতে ঘটে যাওয়া হিন্দুদের উপর নির্যাতন। মসজিদ ভাঙার অজুহাতে ওরা মন্দির ভাঙল, লুটপাট করল, বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিল। ধরে নিলাম মসজিদ ভাঙ্গার ঘটনা তাদের মানসিক ভাবে আঘাত করেছে। কিন্তু পড়ে যখন বের হল লোক ভাড়া করে নিজেদের লোক দিয়েই মসজিদ ভাঙা হয়েছে, তখন তো শুনলাম না, যে কাজটা করেছে তার বাড়ি গিয়ে কেউ হামলা করেছে। করে নাই, কারন সে মুসলিম ।
ঘটনা ২:
কয়েকদিন আগে পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া ঘটনা। মসজিদের ইমাম কোরান অবমাননা করে এক খ্রীস্টানমানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ফাসিয়ে দিল। পুলিশ বাধ্য হল মেয়ের বাপ মা কে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসতে, ওই এলাকার সব খ্রীস্টাঙ্কে সরিয়ে ফেলতে। পড়ে বের হল, ওই ইমাম দায়ী। কই শুনলাম না যে ধার্মিক মুসল্মানড়া গিয়ে ওই ইমাম কে হামলা করেছে। করে নাই, কারন সে মুসলিম।
ঘটনা ৩:
রামুতে ঘটে যাওয়া বড়ুয়াদের উপর হামলার ঘটনা। সে ফেসবুকে একটা ছবিতে ট্যাগ হয়েছে। তাতেই চট্টগ্রামের বড়ুয়াদের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা বলে। যে ছবি আপ্লোড করেছে সে নাকি বাইরে থাকে। আসল ঘটনা হয়ত পড়ে বের হবে। ফেসবুকে এরকম অনেক কিছুই শেয়ার হয়।মুস্লিম হইলে কিছু হত না কিন্তু একজন অমুস্লিম এর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় যত সমস্যা।
অন্য ধর্মের লোকেদের উপর আঘাত করে কখনো নিজের ধর্ম, নিজের ধর্মের কৃতি পুরুষের নাম উজ্জ্বল করা যায় না। বরং তাঁকে হেয় করা হয়। একজন সুস্থ মানুষের পক্ষে কখনো এরকম করা সম্ভব না। এরকম মানসিক রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। আমাদের মনে হয় সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। এসব মানুষরূপী জানোয়ারগুলো যখন নিজেদের মাঝে কামড়া কামড়ি করবে, তখন নিরাপদ দূরত্বে থাকা আপ্নিও রেহায় পাবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:১০